ঢাকায় এত বেশি জ্যাম হওয়ার কারন কী?

মার্চ 31, 2024

ঢাকায় এত বেশি জ্যাম হওয়ার কারন কী?
শহরে এখন অনেক বেশি পরিমাণে মোটরসাইকেল বেড়ে গেছে। এর অন্যতম একটা প্রধান কারণ রাইড শেয়ারিং পাশাপাশি মানুষ মোটরসাইকেলটাকে দ্রুত তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাওয়ার বাহন হিসেবে পছন্দ করছে। আবার একসাথে সিগনালে অনেকগুলো মোটরসাইকেল জমে যাচ্ছে চলে দেখা যাচ্ছে মানুষ মোটরসাইকেল কে জ্যাম হওয়ার অন্যতম একটা কারণ বলেও আখ্যায়িত করতে চেষ্টা করছে। রাস্তায় জ্যাম হওয়ার জন্য যে সকল যানবাহন দায়ী তার মধ্যে মোটরসাইকেল এর ভূমিকা আছে তবে তা খুব অল্প।

শহরে এখন অনেক বেশি পরিমাণে মোটরসাইকেল বেড়ে গেছে। এর অন্যতম একটা প্রধান কারণ রাইড শেয়ারিং পাশাপাশি মানুষ মোটরসাইকেলটাকে দ্রুত তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাওয়ার বাহন হিসেবে পছন্দ করছে। আবার একসাথে সিগনালে অনেকগুলো মোটরসাইকেল জমে যাচ্ছে চলে দেখা যাচ্ছে মানুষ মোটরসাইকেল কে জ্যাম হওয়ার অন্যতম একটা কারণ বলেও আখ্যায়িত করতে চেষ্টা করছে। রাস্তায় জ্যাম হওয়ার জন্য যে সকল যানবাহন দায়ী তার মধ্যে মোটরসাইকেল এর ভূমিকা আছে তবে তা খুব অল্প।

অনেকের মতামত অনুযায়ী যানজটের কারণ ১। রোডের প্রশস্থতা ২। যেখানে সেখানে গাড়ি স্টপেজ ৩। দূর্ঘটনা এবং গাড়ির যান্ত্রিক সমস্যা ৪। প্রাইভেট কার

৫। জনসংখ্যা

(১) রোডের অপ্রশস্থতা :

বর্তমানে ঢাকা সিটির প্রধান সড়ক গুলো মোটামুটি প্রসস্থ হিসেবে ধরা যায় এবং অপ্রশস্থ সড়ক প্রসস্থ করা সঠিক। কিন্তু অনেক প্রসস্থ সড়কেও যানজট বিদ্যমান। কারণ কয়েক কিলোমিটার ফাঁকা থাকা স্বত্বেও অন্য গাড়ীকে সুযোগ দিতে গিয়ে ট্রাফিককে সিগন্যাল দিতে হয়। প্রকৃতপক্ষে পরিদর্শন করলে দেখা যায় যে পরিমাণ যানজট তারচেয়ে বেশি পরিমাণ সড়কই ঐ সময় অব্যবহৃত। সঠিকভাবে ব্যবহার হলে এত গাড়ির যানজট থাকতো না। প্রতিটি ২/৩মিনিট সিগন্যাল মানেই শতশত গাড়ির যানজট। যেখানে প্রতি মিনিটে / ২মিনিটে অন্তত গাড়ি গুলো ১ কিলোমিটার অতিক্রম করতে পারতো, সেখানে সব গাড়িকে জড়ো হয়ে বসে থাকতে হয়।

(২) যেখানে সেখানে স্টপেজ:

বেশির ভাগ গাড়িই মাঝ রাস্তাতেই স্টপেজ দেয় তাই পেছনে একের পর এক গাড়ী গুলো বাধাগ্রস্থ হয়। তাই এমন জায়গায় স্টপেজ দেওয়া উচিত নয় যেখানে গাড়ী বাধাগ্রস্থ হয়। লোকাল গাড়ি বা স্টপেজ দিবে এমন সব গাড়ী সব সময় বাম লেনে সিঙ্গেল লাইনে করলেই হয়। এই জন্য ট্রাফিক পুলিশকে সচেতন থাকতে হবে।

(৩) দূর্ঘটনা এবং যান্ত্রিক সমস্যা :

কোন কোন সময় দুর্ঘটনার কারনে যানজট সৃষ্টি হয় এবং মাঝ রাস্তায় গাড়ির যান্ত্রিক ক্রটির জন্য পেছনের গাড়ী গুলো চলতে পারে না তাই যানজট সৃষ্টি হয়। কিন্তু সব সময় তো আর গাড়ির যান্ত্রিক ক্রটির / সড়ক দূর্ঘটনা হয় না। তাহলে সম্পূর্ণরূপে ইহাকে দায়ী করা যায় না। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির মূল কারণ পুরাতন গাড়ী। তাই বেশি পুরাতন গাড়ী ব্যস্ততম সড়কে চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণাই সঠিক।

(৪) প্রাইভেট কারঃ

যানজটের জন্য প্রাইভেটকারকে আপনি কিছুটা দায়ী করতেই পারেন। শহরে পাবলিক পরিবহন সঠিক নিয়ম মাফিক না হওয়াতে মানুষ বেক্তিগত যানবাহনের দিকে ঝুঁকছে বেশি। সিগনালের দীর্ঘ সময়ের কারনেই এত গাড়িকে এক সঙ্গে দেখা যায়। তবে প্রাইভেটকার আরোহণকারী জনগণ যাতে বাসে যেতে অভ্যস্ত হয় সেই ধরনের উন্নত বাস ঢাকা সিটির জন্য প্রয়োজন। তখন তারাই প্রাইভেটকার বর্জন করবে পার্কিং এর ঝুট ঝামেলার হাত থেকে রেহাই পেতে।

(৫) জনসংখ্যাঃ

অনেকের মতামত জনগণ বেশি হওয়ায় যানজটের এই সমস্যা। আমি মনে করি বর্তমানে ঢাকার জনসংখ্যা অনুযায়ী যানজটের মাত্রা অনেক বেশি। একটু ভাবুন, মানুষ কিন্তু সব একসাথে বের হয়ে যায় না রাস্তায়, সিগন্যাল পয়েন্ট গুলোই মানুষকে একসঙ্গে জড়ো করে। মানুষ রাস্তায় যে সময়টুকু থাকার কথা ছিলনা তার চেয়ে অধিক সময় থাকতে হচ্ছে রাস্তায়। দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে গাড়ির আশায়।

১মিঃ – ৩০মিঃ পর্যন্ত গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে করতে জড়ো হয়ে যাচ্ছে অনেক মানুষ। আসলে সবাইতো একত্রিত হয়ে এক বারে আসে নাই। একজন ২ জন করে আসতে আসতে এই অনেক লোকের ভিড়। আর গাড়ী আসতে পারছে না, সিগন্যালের কারণে। আর যখন সিগন্যাল ছাড়ে তখন সব গাড়ী আসে একসাথে হুলুস্থূল ভাবে স্বল্প সময়ে সকল গাড়ী হতে লোকজন নামে এবং ওঠে।