পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘুরতে যাই। অনেকেই দেশ থেকে বাইক নিয়ে যেতে চাই আবার অনেকে চাই যে নির্ধারিত দেশে গিয়ে ওখান থেকে বাইক ভাড়া করে চালাবো।
নিজের দেশে একটা ভ্যালিড লাইসেন্স থাকলেই কিন্তু অন্য দেশে গিয়ে আপনি বাইক চালাতে পারবেন না।
অন্যদেশে বাইক চালানোর জন্য আলাদাভাবে একটা পারমিশন নিতে হবে।
আরো পড়ুন
- মোডিফিকেশন উপকারী নাকি ঝুকিপূর্ণ?
- কলিজা কাপানো সাংঘাতিক বিপদের নাম ট্যাংক স্ল্যাপার
- কোনটা ভালো? BS4 নাকি BS6
কোথা থেকে নিবেন, কিভাবে নিবেন, কত টাকা লাগব, কি কি কাগজপত্র লাগে , কিরকম ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারেন ইত্যাদি নানান বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা করব।
প্রথমেই তার লোকেশন টা আপনাদের কে জানিয়ে দেই
বাংলাদেশ অটোমোবাইল এ্যাসোসিয়েশন
৩বি আউটার সার্কুলার রোড, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
মোবাইল: +৮৮০-১৭১১৮১৯৯৫৮-৯, +৮৮০-১৯৭৯২৯৯৭৮৬
ফোন: +৮৮০-০২-৯৩৬১০৫৪, ওয়েবসাইট: www.aabangladesh.com
কোন কোন দিন খোলা থাকে ?
Wednesday - 10:30AM–3:30PM
Thursday - 10:30AM–3:30PM
Friday - Closed
Saturday - 10AM–3:30PM
Sunday - 10:30AM–3:30PM
Monday - 10:30AM–3:30PM
Tuesday - 10:30AM–3:30PM
প্রথমেই আপনাকে যেটা মাথায় রাখতে হবে সেটা হচ্ছে বেলা 11 টা থেকে দুপুর তিনটার মধ্যে তারা আপ্লিকেশন সংগ্রহ করে এর সময় এর মাঝখানে আপনাকে যেতে হবে।
নির্ধারিত জায়গায় গিয়ে আপনি একটা ফ্রম চাইবেন তারা আপনাকে একটা ফ্রম প্রোভাইড করবে।
আরো পড়ুন
- ইঞ্জিন অয়েল ফিল্টার নিয়ে আর হেলাফেলা নয়
- ইঞ্জিন ফ্লাশিং, ক্ষতি না লাভ ?
- মোটর বাইকের ব্যাটারি কতদিন টিকে?
নিচের ওয়েবসাইট থেকেও আপনি সরাসরি সে ফর্ম টি ডাউনলোড করে নিয়ে যেতে পারেন।
খুব মনোযোগ সহকারে পুরো ফরমটি পূরণ করতে হবে কারণ এই ফর্মে আপনি যে যে তথ্য দিবেন আপনার আন্তর্জাতিক রুট পারমিটে কিন্তু সেই তথ্যগুলো লেখা থাকবে।
কি কি লাগবে সাথে ?
সুন্দরভাবে ফরমটি পূরণ হয়ে গেলে ফরমের সাথে আপনি আপনার পাসপোর্ট এর ফটোকপি এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফটোকপি সেইসাথে 4 কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি এবং এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করে জমা দিবেন।
এবার আসেন কত টাকা লাগবে?
আপনি যদি মিরপুর বিআরটিএ অধীনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার শুধুমাত্র ২৫০০ টাকা জমা দিতে হবে।
মিরপুর বিআরটিএ বাদে অন্য যে কোন বিআরটিএ থেকে যদি আপনি পেপারস জমা দিতে চান সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ থেকে আপনাকে একটা এন ও সি অথবা সেই বিআরটিএ থেকে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স টি সত্যায়িত করে আনতে হবে।
যদি আপনি করতে না পারেন সে ক্ষেত্রে আরো 1000 টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে। মানে ২৫০০+১০০০=৩৫০০
ইমারজেন্সি বেসিসের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ৪৫০০ টাকা জমা দিতে হবে।
এখন আসেন কতদিন সময় লাগে সেটা জানি
সাধারণত তারা 7 কর্ম দিবস সময় নিয়ে থাকে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর আগেই হয়ে যায়।
সুতরাং ইমারজেন্সি কেইসে হয়তো আপনি তিন থেকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে পাবেন।
তবে আমাদের মতামত হচ্ছে স্বাভাবিক নিয়মেই করা এবং এতে করে আপনার কিছু টাকা সাশ্রয় হবে।
সবশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দিতে চাই আপনাদের কে
সরকারি কাজ মানে আমরা মনে করি অনেক ঝামেলা এখানে অনেক পেপারস লাগে যে পেপারস গুলো আমরা সাধারন মানুষ হিসাবে সেগুলো পূরণ করতে সক্ষম না।
এ জন্য আমাকে কি করতে হবে? হয় ফটোকপির দোকান গুলোতে যেতে হবে সেখানেই নির্ধারিত অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সেটা পূরণ করে আনতে হবে অথবা দালাল ধরতে হবে।
কিন্তু এখানে এ ব্যাপারটা একদম ভিন্ন একদম সহজ আপনি আপনার মত করে ফর্ম পূরণ করবেন সরাসরি জমা দিবেন এবং খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।