Curious Biker
মুলপাতাবাইকিং টিপসটেকনিক্যাল বিষয়বাইকের দামবাইক ব্র্যান্ডবাইকিং ভিডিওমোটরবাইক যন্ত্রাংশভ্রমণ গাইড
  • মুলপাতা
  • বাইকিং টিপস
  • টেকনিক্যাল বিষয়
  • বাইকের দাম
  • বাইক ব্র্যান্ড
  • বাইকিং ভিডিও
  • মোটরবাইক যন্ত্রাংশ
  • ভ্রমণ গাইড
  • ব্যবহারের শর্তাবলী
  • প্রাইভেসি নীতি

© 2025 কিউরিয়াসবাইকার. সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ওয়েবসাইটটি তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণ করেছে গ্রাফল্যান্ড আইটি।

Version 0.2.3

Curiousbiker Facebook Group এ যোগ দিন

বাইক প্রেমীদের সাথে আলোচনা করুন এবং নতুন তথ্য জানুন

টেকনিক্যালটিপস

ইঞ্জিন গরম হবার কারন ও প্রতিকার

জুলাই 09, 2019
ইঞ্জিন গরম হবার কারন ও প্রতিকার

শৈশব থেকে যখন একটি ছেলে কৈশোরে প্রবেশ করে তখনকার সময়টাতে তার যে চাওয়া পাওয়া কিংবা স্বপ্ন থাকে তার অনেকাংশ জড়িয়ে থাকে মোটর বাইক বা মোটর সাইকেলে। প্রায় অনেকের স্বপ্নটাই একসময় সত্যি হয়। অর্থাৎ স্বপ্নের বাইকটা হাতের মুঠোয় চলে আসে। তবে স্বপ্ন সত্যি হওয়াটা যেমন আনন্দের তেমনি যদি প্রিয় মোটর বাইক বা মোটর সাইকেলের সঠিক যত্ন না নিতে পারলে তখন দেখা দেয় ব্যর্থতার। আমরা আসলে সঠিকভাবে একটি মোটর বাইকের যত্ন নিতে পারি না বলেই কিছুদিন পর পরই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। হয়তো একটু সময় প্রয়োজন হয় প্রতিদিন কিন্তু এই সময়টাই বাঁচিয়ে দিবে আপনার প্রিয় মোটর বাইক। আজ আমরা আলোচনা করবো মোটর সাইকেল বা মোটর বাইকের ইঞ্জিন গরম হওয়ার যে প্রধান সমস্যা ও তার প্রতিকার নিয়ে। যারা বাইকার অর্থাৎ যারা বাইক চালায় তাদের কাছে একটা চিরাচরিত প্রধান সমস্যা অতিরিক্তভাবে বাইকের ইঞ্জিন গরম হওয়া। মোটামুটি সব বাইকের ইঞ্জিনের বেলায়ই এমনটা ঘটে। বাইল চালালেই ইঞ্জিন গরম হয়। কিন্তু স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম হয়ে যাওয়া মোটর বাইকের জন্য ক্ষতিকারক। এবার জেনে নেওয়া যাক মোটর বাইকের ইঞ্জিন গরম হবে কেন এবং তার প্রতিকার।

মোটর বাইকের কুলিং সিস্টেম দুই ধরনের। একটি এয়ার কুলিং সিস্টেম আর অন্য আরেকটি লিকুইড কুলিং সিস্টেম। এখন আমার বা আপনার মোটর বাইকটি যদি লিকুইড কুলিং সিস্টেমের হয় তবে আমাদের উচিত রাইড শুরু করার আগে কুলিং সিস্টেমের যথাযথ উপকরণ সঠিক মাত্রায় আছে কি না সেটা জেনে নেওয়া। সঠিক মাত্রায় না থাকলে সকল উপকরণ সমূহ সঠিক মাত্রায় নিশ্চিত করতে হবে। আর তবেই রাইড শুরু করতে হবে আমাদেরকে। এর পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার আছে। মোটর বাইকের রেডিয়েটর ক্যাপটি দেখে নিতে হবে। আর তা সঠিকভাবে আছে নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও কুলিং সিস্টেমে আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম আছে যেগুলো মানার বিকল্প নেই। যেমন, সবসময় বাইকের ইঞ্জিন পরিষ্কার রাখতে হবে, এবং এর জন্য নিয়মিত ইঞ্জিন পরিষ্কার করার বিকল্প নেই। কাঁদা বা ময়লা অবস্থায় মোটর বাইক কোন ভাবেই চালানো যাবে না। আর ইঞ্জিনের উপর অতিরিক্ত কিট লাগানো যাবে না। এবার আসা যাক ইঞ্জিন অয়েলের ব্যাপার টায়। ইঞ্জিন অয়েল একটি মোটর বাইকের জন্য মহা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আর এই ইঞ্জিন অয়েল একটি প্রধান ফ্যাক্টর মোটর বাইকের ইঞ্জিন গরম হওয়ার পেছনে। আমরা সবাই জানি মোটর বাইকের জন্য ভালো ইঞ্জিন অয়লের বিকল্প নেই। কিন্তু এই ভালোর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ আছে। এই পরিমাণ ঠিক মত ব্যবহার না করলে আপনার বা আমার এই ভালো ইঞ্জিন অয়েলই বিপদ ডেকে আনবে। ভাল ইঞ্জিন অয়েল মোটর বাইকের ইঞ্জিন স্বাভাবিক রাখে আবার তেমনি ঘর্ষণ কমিয়ে দেয়। এর মূলত এটাই মোটর বাইকের ইঞ্জিন গরম হওয়ার কারণ। এজন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে হয়। আরো সহজ করে যদি বলি, ভালো ইঞ্জিন অয়েল সঠিক পরিমাণ মত ব্যবহার করতে হয়। এবার আরেকটা ব্যাপার জানতে হবে। ইঞ্জিন অয়েল আবার আবহাওয়া বিবেচনা করেও ব্যবহার করতে হয়। এটা না মেনে চালালে তখনও মোটর বাইকের ইঞ্জিন গরম হয়। যখন প্রচুর গরম আবহাওয়া বা রোদ থাকে তখন ঘন ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে হয়। কারণ এই রোদ কিংবা গরমে মোটর বাইক রাইডের ক্ষেত্রে ঘন অয়েল ব্যবহার না করলে বাইকের ইঞ্জিন গরম হওয়াটা কেবল সময়ের ব্যাপায় হয়ে দাঁড়ায়। আমরা যারা নিয়মিত বাইক নিয়ে কাজ করি এবং যারা মোটর বাইকের ইঞ্জিনিয়ারেরাও বলেন সিনথেটিক ইঞ্জিন অয়েল সবচেয়ে সঠিক নির্বাচন হতে পারে এই সময়টায়। এছাড়া অনেকেই আছেন যারা এয়ার কোল্ড ইঞ্জিনের মোটর বাইক ব্যবহার করেন তাদেরকে অবশ্যই ইঞ্জিন অয়েলের দিকে নজর দেওয়া উচিত। এবার আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে সঠিক ইঞ্জিন অয়েল নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে কি না নিশ্চিত হবেন কি করে। কিন্তু এটারও সহজ সমাধান আছে। আপনার মোটর বাইকের সাথে দেওয়া অনার্স ম্যানুয়েলের সাহায্য নিয়ে সহজেই ইঞ্জিন অয়েল নির্বাচন করতে পারবেন।

এবার কথা বলবো যাত্রার শুরুতে কি কি করণীয় সেসব নিয়ে। একটা নতুন দিনের শুরুতে যখন আপনি বাইক নিয়ে রাইড দিবেন একদম শুরুর দিকটায় অর্থাৎ শুরুতেই উচ্চ RPM ব্যবহার করে বাইক রাইড দিবেন না। এবং একই সাথে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাইকের গতি কমানো থেকে বিরত থাকতে হবে। সময় নিয়ে অল্প অল্প করে বাইকের গতি বাড়াতে হবে। এতে করে ইঞ্জিন দীর্ঘস্থায়ী হয়ে উঠবে। একইসাথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো কারবোরেটর সেটিংস। কারবোরেটর সেটিংস আবার কি? এমন প্রশ্ন এত সময়ে আপনাদের মনে চলে এসেছে। কারবোরেটর সেটিংস হলো মোটর সাইকেল বা মোটর বাইকের ওভারহ্যাটিংকে রোধ করার জন্য ইঞ্জিন সিলিন্ডারে বাতাস আর জ্বালানীর সঠিক মিশ্রণ নিশ্চিত করা। ইঞ্জিনে এই মিশ্রণ সঠিকতর না হলে আপনার আমার মোটর বাইকের ইঞ্জিনের ওভারহিটিং এর সম্ভবনা শতভাগ। সুতরাং একটি সঠিক মিশ্রণ দিতে CARB সেটিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এবার কথা হবে আরো একটা সমস্যা নিয়ে যার নাম ক্লাচ বা ড্রিভ্রেইন সমস্যা। মোটর বাইকের গিয়ার না কমিয়ে ক্লাচ হালকা চেপে ধরে বাইক চালাতে থেকে বিরত থাকুন। নির্দিষ্ট গিয়ারে নির্দিষ্ট গতিতে বাইক চালাতে হয়। এ ধরনের অভ্যাস গত সমস্যার কারণে ক্লাচে যেমন সমস্যা হয় তেমনি মোটর বাইকের ইঞ্জিন অল্প সময়ে অধিক গরম হয়ে যায়।

আমাদের আরো একটি সমস্যা হলো অতিরিক্ত ব্রেক চাপা। যেমন মোটর বাইক নিয়ে স্টান্ট করতে যায় অনেকেই। অথবা অতিরিক্ত বেক চেপে মোটর বাইক চালাতে পছন্দ করে অনেকেই। কিন্তু এতে করেও ক্ষতির সমস্যা শতভাগ। শতভাগ আমি এ কারণেই বললাম যে এত বেশি ব্রেক চেপে রাইড দিলে বাইকের ডিস্ক প্লেট ক্ষয় বা গরম হয়ে যায় আর ঠিক তখনই বার বার ব্রেক চাপার কারণে বাইকের ইঞ্জিন গরম হয়। কিন্তু দেখা যায় অনেক সময় ব্রেক সিস্টেমের জটিলতার কারণে বার বার ব্রেক করতে হয়।

একদম শুরু থেকে দেখে আসলেই বুঝা মোটর বাইকের একটি বড় সমস্যা পেছনে কত গুলো ছোটখাটো কারণ জড়িয়ে থাকে। একটা থেকে আরেকটা করতে করতে সমস্যাটা একটা সময়ে বড় সমস্যা ধারণ করে। মোটর বাইক একটি মেশিনের মাধ্যমে তৈরি। আর এই মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত আমাদের। প্রতিনিয়ত এর যত্ন করতে হয় না হলে এর থেকে ভালো সার্ভিস আশা করাটাও বোকামি ছাড়া কিছু না। আপনি যে জিনিসটাকে সঠিক ভাবে যত্ন করে পরিচালনা করবেন সেটা থেকে সার্ভিস যেমন পাবেন ভালো তেমনি চলবেও অনেক দিন। কিন্তু যদি একেবারেই ইচ্ছে মত নিয়ম না মেনে পরিচালনা করা হয় তবে কোন ভাবেই ভালো সার্ভিস পাওয়া যাবে না। একটি মোটর সাইকেল বা মোটর বাইক যখন আপনার হয় তখন সত্যিকার অর্থে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এতে সময় করে খাবার দিতে হয়, সময় মত তার পরিচর্যা করতে হয়, খাবাবের মান, পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হয়। কারণ এটি মেশিনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত। এখানে ইচ্ছে মত কাজ করলে বা জোর করে কিছুই করা সম্ভব না। আগে বুঝতে হবে মোটর বাইকের জন্য কোন ব্যাপারটা ভালো আর করণীয় এবং কোনগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। তা না করে ইচ্ছে মত বাইক রাইড দিলে বাইকের ক্ষতি ছাড়া বিন্দুমাত্র লাভেরও দেখা পাওয়া সম্ভব না। কাজেই এই নিয়ম গুলো সঠিকভাবে মেনে চলে মোটর বাইকের ইঞ্জিন গরম হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হবে।

শেয়ার করুন
সব লেখা দেখুন

সোশ্যাল মিডিয়া

প্রাসঙ্গিক লেখা

কম খরচে দৈনিক বাইক মেইনটেন্যান্স টিপস – নতুন ও পুরাতন বাইকারদের জন্য গাইড

আগস্ট 23, 2025

বাইকের ফুয়েল ট্যাংকে মরিচা: কারণ ও কার্যকর সমাধান

জুন 30, 2025

বাইকের জন্য ফুয়েল এডেটিভ: কি, কেন এবং কখন ব্যবহার করবেন?

এপ্রিল 29, 2025

হ্যান্ডেল কাঁপে বা বাইক কাঁপে – এর পেছনের কারণ কী?

মার্চ 22, 2025

সাম্প্রতিক লেখা

শীতকালে কোন ইঞ্জিন অয়েল ভালো? মিনারেল নাকি সিনথেটিক – বাইকারদের জন্য সম্পূর্ণ গাইড (2025

নভেম্বর 25, 2025

হাজারো রাইডারের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ইয়ামাহা বাইক কার্নিভ্যাল ২০২৫ | Yamaha Bike Carnival Bangladesh

নভেম্বর 12, 2025

Fuel Efficiency বাড়ানোর ৭টি উপায় – বাইকের মাইলেজ বাড়ানোর টিপস

নভেম্বর 04, 2025