ঈদের পরে দাম কমবে সুজুকির, বাড়বে ইয়ামাহার

জুন 08, 2024

ঈদের পরে দাম কমবে সুজুকির, বাড়বে ইয়ামাহার
খুব সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী সংসদে ১ বছরের বাজেট প্রস্তাব করেছে। বাজেটের একটা স্বাভাবিক রূপ হচ্ছে বাজেট যখন প্রস্তাব হয় তখন কিছু জিনিসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয় কিছু জিনিসের দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়।

জয়েন করুন 72 হাজারের বেশি বাইকারের গ্রুপ কিউরিয়াস বাইকার

  • 1. মোটরসাইকেল ডিস্ট্রিবিউটর/উৎপাদক যারা সম্পূর্ণ ইঞ্জিন আনবে তারা 43% শুল্ক প্রদান করবে (যেমন ইয়ামাহা, বাজাজ)
  • 2. মোটরসাইকেল ডিস্ট্রিবিউটর/উৎপাদক যারা যন্ত্রাংশ আনবে এবং ইঞ্জিন একত্র করবে তারা ২৮% শুল্ক প্রদান করবে (সুজুকি, হোন্ডা, হিরো)
  • 3. ফলস্বরূপ জুলাই থেকে ইয়ামাহার দাম বাড়তে পারে এবং সুজুকি হোন্ডা ও হিরোর দাম জুলাই থেকে কমতে পারে।
  • 4. এই শুল্ক পরিবর্তনের প্রভাবে মোটরসাইকেলের খুচরা মূল্যে 4000 টাকা থেকে 5000 টাকা হবে

যেহেতু আমরা মোটরসাইকেল প্রেমি তাই এই বাজেটটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ওহ আরেকটা কথা বলে রাখি।সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত বাজেট আর আপনার দৈনন্দিন বাজেট করার ধরন দুটো কিন্তু সেইম নয়। আপনি বাজেট করেন কিরকম আয় হয়েছে সেটার উপরে ভিত্তি করে আর সরকার বাজেট করে প্রথমে কোথায় কোথায় খরচ করবে এরপরে সেই বাজেটের টাকা কিভাবে সংগ্রহ করবে সেটার উপরে ভিত্তি করে। এই খরচ গুলো মেটানোর জন্য সরকার ভিভিন্ন খাতে শুল্ক কর বা ট্যাক্স বাড়ায় কিংবা কমায় ।

আরো পড়তে পারেন

এবার আসেন সম্প্রতি যে বাজেট প্রস্তাব হয়েছে সে বাজেটে মোটরসাইকেল নিয়ে কি বলা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে এমন কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে এবং এমন কিছু জায়গায় তারা নতুনভাবে শুল্ক আরোপ করেছে ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের চলমান কিছু ব্রান্ডের মোটরসাইকেলের দাম আগামী মাস থেকে কমে যাবে আবার কিছু ব্র্যান্ডের মডেলের দাম আগামী মাস থেকে বেড়ে যাবে।

আমরা সকলেই জানি CKD এবং CBU দুটো পদ্ধতিতে এনে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল বাজারজাত করা হয়। CBU ইউনিটে পুরো মোটরসাইকেল একদম প্যাকেট হয়ে বাংলাদেশে আসে। CKD পদ্ধতিতে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন আসে এবং বাকি পার্টস গুলো বাংলাদেশের সংযোজন করা হয়।

নতুন এই প্রস্তাবিত বাজেটে যারা CKD পদ্ধতিতে কমপ্লিট ইঞ্জিন নিয়ে আসে এবং তারপরে বাংলাদেশের মোটরসাইকেল সংযুক্ত করে মোটরসাইকেল তৈরি করে এই কমপ্লিট ইঞ্জিনের উপরে বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে। যেখানে এই ইঞ্জিন গুলোর উপরে বাড়তি ৪৩ পার্সেন্ট ডিউটি দিতে হবে যেমন ইয়ামাহা এবং বাজাজ কে ।

অপরদিকে যারা ইঞ্জিনের পার্টস এনে এনে বাংলাদেশের সংযোজিত করে একটা কমপ্লিট ইঞ্জিনের রূপ দেয় এমন কোম্পানিগুলো যেমন Suzuki Honda, Hero এদের কিন্তু ২৮ পারসেন্ট ডিউটি দিতে হবে।

ফলে দেখা যাবে আগামী মাস থেকে Yamaha এবং Bajaj মোটরসাইকেলের দাম বেড়ে যাবে আবার Suzuki হোন্ডা হিরোর মোটরসাইকেল গুলোর দাম অনেক কমে যাবে।

আমরা ধারণা করছি এই নতুন এই বাজেটের ফলে বাইকগুলোর দাম চার থেকে পাঁচ হাজার পর্যন্ত বেড়ে যাবে এবং কোন কোন বাইকের দাম প্রায় ১০ হাজার কমে যাবে।

বাইক সম্পর্কিত ঐরকম আরো তথ্য জানতে এই পুরো সাইটটা ভিজিট করতে পারেন সেইসাথে জয়েন করে ফেলতে পারেন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।