মোটরসাইকেল কি প্রতিদিন চালু করতে হয়?
প্রতিদিন নিয়ম করে চালু না করলেও চলে। কিন্তু সপ্তাহে অন্তত একদিন বাইকারদের উচিত তাদের মোটরসাইকেল কমপক্ষে ১০-১৫ মাইল চালিয়ে আনা। এতে করে জ্বালানী ট্যাংকে জলীয় বাষ্প জমা থাকলে শুকিয়ে যাবে, ইঞ্জিনে ভালোভাবে লুব্রিকেশন পৌঁছে মরিচা ও ক্ষয় প্রতিরোধ হবে, বদ্ধ ফিল্টার, টায়ার ও ব্যাটারির অবক্ষয় ইত্যাদি রোধ করবে।
কতদিন পরপর মোটরবাইক মেইন্টেনেন্স করাবো?
এটা নির্ভর করে আপনার বাইকের মডেল এবং কীভাবে ব্যবহার করছেন তার উপর। তবে, সাধারণভাবে আপনার বাইকের রুটিন চেক-আপ ও সার্ভিসিং প্রতি ৫০০-৬০০ মাইল, অথবা ৬মাস পরপর করানোর প্রয়োজন হয়।
চালানোর আগে ইঞ্জিন গরম হওয়া প্রয়োজন কেন?
ইঞ্জিন গরম হওয়ার পর চালানো হলে মোটরসাইকেলের নিরাপত্তা ও পারফর্মেন্সের উপর বেশ ভালো প্রভাব লক্ষ্য করতে পারবেন। মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের মধ্যে অনেক রকম রিং, সীল ইত্যাদি রয়েছে, যেগুলো সঠিক তাপমাত্রায় লুব্রিকেশনের সাহায্য নিয়ে মসৃণভাবে কাজ করতে পারে। মোটরবাইকের ইঞ্জিন স্টার্ট দেয়ার পর তাই কয়েক মিনিট সময় নিয়ে ইঞ্জিন গরম হতে দেয়া উচিত, তাহলে এই পার্টসগুলো সুন্দরভাবে কাজ করতে পারে।
আমার মোটরসাইকেলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
মোটরবাইকে যতরকম পার্টস আছে, সবই কোনো না কোনো সময় পালটানো লাগে। তবে সবার কিছু কমন সমস্যা হচ্ছেঃ
- পুরনো বাইকের জ্বালানি ট্যাংকে জং ধরা
- নানা রকম বাইক ফ্লুইড লীক করা, বিশেষ করে ইঞ্জিন অয়েল ও ফোর্ক অয়েল
- কার্বুরেটর নষ্ট হওয়া
- টায়ার পাংচার অথবা ক্ষয়
- ব্রেক লাইন ছুটে যাওয়া
- হেডলাইট বা আয়না ভেঙে যাওয়া, ইত্যাদি
মোটরসাইকেল সারাতে কেমন খরচ পড়ে?
একেক বাইকের ক্ষেত্রে খরচ একেক রকম। আপনার বাইকের মডেল, কোন কোন পার্টস নষ্ট বা পুরনো হয়েছে, ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের ভিত্তিতে এই খরচ কম বা বেশিও হতে পারে। যেই পার্টসগুলো বদলাতে হবে, তার দাম, নিকটস্থ সার্ভিসিং সেন্টারে সার্ভিস চার্জ কত, এই সবকিছু মিলিয়ে খরচ হিসাব করতে পারেন।
মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন কীভাবে নষ্ট হয়?
বিভিন্ন রকম কারণের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেঃ
- ইথানল ভিত্তিক গ্যাসোলিন ব্যবহার
- এক ইঞ্জিন অয়েল বেশিদিন ব্যবহারে ময়লা মিশে জমাট বাধা
- ইঞ্জিন অয়েল শুকিয়ে যাওয়া
- ইঞ্জিন গরম হওয়ার আগেই স্টার্ট দেয়া
- সঠিক সময়ে মেইন্টেইনেন্স না করানো
বাইকের ইঞ্জিন নষ্ট হলে কীভাবে বুঝবো?
ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেলে তো বাইকে পাওয়ার লসই হবে। তবে নষ্ট হওয়ার আগেই কিছু উপসর্গ দেখা দেয়ঃ
জ্বালানী দক্ষতা কমে যাওয়া অদ্ভুত গন্ধ বিকট আওয়াজ ইগনিশন বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ইঞ্জিন চলা, ইত্যাদি
তথ্য সূত্র: bikesguide
