Curious Biker
বাইকিং টিপসটেকনিক্যাল বিষয়বাইকের দামবাইক ব্র্যান্ডবাইকিং ভিডিওমোটরবাইক যন্ত্রাংশভ্রমণ গাইড
Curious Biker

কিউরিয়াস বাইকার বাংলাদেশের মোটরসাইকেল প্রেমীদের জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। এখানে রিভিউ, খবর, ভিডিও কনটেন্ট এবং মোটরসাইকেল সম্পর্কিত নানা তথ্য শেয়ার করা হয়।

+880 1674884352

Quick Links

  • বাইকিং টিপস
  • টেকনিক্যাল বিষয়
  • বাইকের দাম
  • বাইক ব্র্যান্ড
  • বাইকিং ভিডিও
  • মোটরবাইক যন্ত্রাংশ
  • ভ্রমণ গাইড

Support

  • FAQs
  • Privacy Policy
  • Help

Social Media

  • Facebook
  • Youtube
  • Tiktok
  • Instagram
© 2025 curiousbike. All Rights Reserved. Developed and maintained by Graphland

টায়ারের পোস্টমর্টেম

ফেব্রুয়ারি 08, 2022
1096 ভিউ
3 শেয়ার
Post thumbnail
টায়ার হচ্ছে সিলিকন, রাবার, সুতা/স্টিল এবং কেমিক্যাল এর সংমিশ্রণে তৈরি এমন একটা রিং আকৃতির উপাদান যা চাকার রিমকে ঘিরে থাকে এবং একটি গাড়ির এক্সেল লোডকে চাকার মধ্য দিয়ে চাকা থেকে মাটিতে স্থানান্তর করতে এবং চাকাটি যে পৃষ্ঠের উপর দিয়ে যায় তার উপর ট্র্যাকশন প্রদান করে থাকে।

টায়ার কি জিনিস?

টায়ার হচ্ছে সিলিকন, রাবার, সুতা/স্টিল এবং কেমিক্যাল এর সংমিশ্রণে তৈরি এমন একটা রিং আকৃতির

উপাদান যা চাকার রিমকে ঘিরে থাকে এবং একটি গাড়ির এক্সেল লোডকে চাকার মধ্য দিয়ে চাকা থেকে মাটিতে স্থানান্তর করতে এবং চাকাটি যে পৃষ্ঠের উপর দিয়ে যায় তার উপর ট্র্যাকশন প্রদান করে থাকে।

  • টায়ারে জেল ভরার সুবিধা ও অসুবিধা
  • কিভাবে বাইকের টায়ারের স্থায়িত্ব বাড়াবেন?

সহজ করে বললে টায়ার হচ্ছে যানবাহনের জুতা।

আমাদের যেমন বিভিন্ন রাস্তায় চলতে গেলে আলাদা আলাদা জুতার প্রয়োজন বাইক বা গাড়ির ক্ষেত্রেও তাই।

যেকারনে রোড, অফরোড, স্নো টায়ার, অল টেরেইন, অল সীজন, ডুয়াল পারপাস, স্পোর্টস, রান ফ্ল্যাট, হেভি ডিউটি ইত্যাদি বিভিন্ন ক্যাটাগরির টায়ারের উৎপত্তি।

মুলত টায়ারের কন্সেপ্ট আবিস্কৃত হয় ১৮শ শতকের মাঝামাঝি যার পেছনে ছিলেন স্কটল্যান্ডের ইনভেন্টর রবার্ট উইলিয়াম থমসন।

  • সিনথেটিক নাকি মিনারেল, কোন ইঞ্জিন অয়েল উত্তম?
  • বাইকের চেইন পরিষ্কার ও লুব করার নিয়ম

যাই হোক বেশি গভীরে না গিয়ে আপাতত বাইকের টায়ারের দিকে ফোকাস দেই, বাইকের ক্যাটাগরি ভেদে একেক ধরনের বাইকে আমরা একেক ধরনের টায়ার দেখতে পাই, যেমন রোড টায়ার, অফরোড টায়ার এবং ডুয়াল পারপাস টায়ার।

কন্সট্রাকশন এর উপর ভিত্তি করে এই টায়ারগুলো আবার দুই ধরনের হয় যেমন রেডিয়াল এবং বায়াস।

  • Motorcycle Wheels Why pull to one side?
  • 5 Motorcycle common problem

রেডিয়াল টায়ারে স্টীল বেল্ট ব্যাবহার করা হয় যা ৯০ ডিগ্রি এংগেলে বসানো থাকে এবং বায়াস টায়ারে ব্যাবহার করা হয় রি এনফোর্সিং কর্ড যা ৪৫ ডিগ্রি এংগেলে বসানো থাকে।

রেডিয়াল এবং বায়াস টায়ারের মধ্য কিছু ব্যাবহারিক পার্থক্য এবং সুবিধা-অসুবিধা আছে, আসুন জেনে নেই।

রেডিয়াল টায়ারের সুবিধাঃ

১. উচ্চ গতিতেও টায়ার তেমন গরম হয়না ফলে পার্ফর্মেন্স হেরফের হয়না।

২. পাংচার হবার প্রবনতা কম থাকে।

৩. ওয়াইড ফুটপ্রিন্টের কারনে বেশি স্ট্যাবিলিটি দেয়।

অসুবিধাঃ

১.টায়ার নয়েজ তুলনামূলক বেশি হয়

২. দাম বেশি

বায়াস টায়ারের সুবিধাঃ

১. শক্ত সাইড ওয়াল

২. অসমান রাস্তায় স্মুথ রাইড এক্সপেরিয়েন্স দেয়

৩. দাম কম।

অসুবিধাঃ

১. ট্র‍্যাকশন বেশি হবার কারনে দ্রুত ক্ষয় হয়

২. হাই রোলিং রেজিস্ট্যান্সের কারনে ফুয়েল খরচ বেড়ে যায়।

৩. স্মুথ রাস্তায় কিছুটা ভাইব্রেশন অনুভূত হয়।

৪. পাংচার হবার প্রবনতা তুলনামূলক বেশি।

৫. উচ্চগতিতে টায়ার গরম হয়ে যাবার কারনে কর্নারিং এর সময় টায়ার রোল ওভার হবার প্রবনতা থাকে যা হাই স্পিড কর্নারে ঝুকিপূর্ণ।

একটা টায়ারের মেয়াদকাল থাকে ৬ থেকে ৪৫ বছর।

  • বাইক সার্ভিস কখন কেন কিভাবে?
  • ট্রাফিক লাইট কেন অন্য কালার হয় না?

টায়ারের গায়ে ম্যানুফ্যাকচারিং তারিখ উল্লেখ করা থাকে

তাই ভাল পার্ফর্মেন্স পেতে চেস্টা করা উচিত চলতি বছরের উৎপাদিত টায়ার কেনার জন্য।

টায়ারে TWI লেখা থাকে যেটা টায়ার ওয়ার ইন্ডিকেটর, অর্থাৎ টায়ারের TWI খাজের গভীরতাকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে মাঝখানের খাজের গভীরতা যাচাই করা যায়, গভীরতা ২ মিলিমিটারের নিচে নেমে গেলে বুঝতে হবে টায়ার পরিবর্তন করার সময় চলে এসেছে।

সঠিক পার্ফর্মেন্স পেতেও টায়ারে সঠিক টায়ার প্রেশার রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ, টায়ারে কত প্রেশার রাখতে হবে তা আপনার বাইকের ব্যাক চেসিস বা সুইং আর্মে লেখা থাকে, অবশ্যই সেটা ফলো করবেন এবং মাঝে মাঝেই টায়ার প্রেশার চেক করা উচিত।

  • বিকাশে বিআরটিএ’র ফি পরিশোধ করবেন যেভাবে
  • অয়েল ফিল্টার এর সাথে ইঞ্জিন অয়েলের যে সম্পর্ক

এখন বেশিরভাগ বাইকেই টিউবলেস টায়ার ব্যাবহার করা হয়, এর সুবিধা হলো পাংচার হলেও চট করেই হাওয়া বেরিয়ে যায় না ফলে রিপেয়ার শপ পর্যন্ত সহজেই যাওয়া যায়।

দাম একটু বেশি হলেও ভালো ব্রান্ডের টায়ার ব্যাবহার করা উচিত কারন চাকার উপর ভর করেই আপনি ও আপনার বাইক চলাফেরা করেন তাই টায়ার নিয়ে কোনো হেলাফেলা নয়।

টায়ার সম্পর্কিত আরো জিজ্ঞাসা ও মতামত কমেন্টে লিখে যেতে পারেন, আজ এ পর্যন্তই।

লেখাঃ ইকবাল আব্দুল্লাহ রাজ

এডমিন #Curious_Biker

Share Post on:
See All Posts

সোশ্যাল মিডিয়া

প্রাসঙ্গিক লেখা

বাইকের ফুয়েল ট্যাংকে মরিচা: কারণ ও কার্যকর সমাধান
জুন 30, 2025
Bajaj Freedom 125 CNG বাইকের মাইলেজ কি সত্যি 330 কিমি?
জুলাই 08, 2024
নকল চেইন স্প্রোকেট কি কি ঝামেলা হতে পারে
মে 08, 2024
ফ্রি সার্ভিস কেন নিব না
জানুয়ারি 09, 2024

সাম্প্রতিক লেখা

বাইকের ফুয়েল ট্যাংকে মরিচা: কারণ ও কার্যকর সমাধান
জুন 30, 2025
২০ বছর পূর্তিতে নতুন রূপে ফিরল TVS Apache RTR 200 4V
জুন 18, 2025
Yamaha FZ-S Fi Hybrid: বাংলাদেশের প্রথম 150cc হাইব্রিড বাইক?
জুন 16, 2025

Related Posts

বাইক বা মোটরসাইকেল এর পার্টস কেনার আগে যা জানা দরকার

বাইক বা মোটরসাইকেল এর পার্টস কেনার আগে যা জানা দরকার

জানুয়ারি 08, 2024
রেডিয়াল এবং বায়াস টায়ারের মধ্যে পার্থক্য

রেডিয়াল এবং বায়াস টায়ারের মধ্যে পার্থক্য

ডিসেম্বর 20, 2023
ভালো ফর্ক অয়েল, স্থায়িত্ত বাড়াবে ফর্ক সিলের

ভালো ফর্ক অয়েল, স্থায়িত্ত বাড়াবে ফর্ক সিলের

নভেম্বর 13, 2023
বাইকের চাকা একদিকে হেলে পড়ে কেন

বাইকের চাকা একদিকে হেলে পড়ে কেন

অক্টোবর 12, 2023