বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মোটরসাইকেল মানেই হোন্ডা এরকম একটা ব্যাপার আছে। কারন একটা সময় জাপানিজ মোটরসাইকেল ব্রান্ড হোন্ডার বাইকগুলো তার কোয়ালিটি এবং লংজিভিটির সাথে লো-মেইন্টেনেন্স খরচের কারনে আমাদের দেশে এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলো যে "মোটরসাইকেল মানেই হোন্ডা" এই ব্যাপারটা অটোমেটিক মানুষের মনে গেথে গিয়েছিলো।
জয়েন করুন ৫০ হাজারের বেশি বাইকারের গ্রুপ কিউরিয়াস বাইকার
অন্যদিকে হোন্ডাও মানুষের এই প্রচন্ড ভালোবাসার ভ্যালু দেয়ার চেস্টা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ইঞ্জিন রিফাইনমেন্টের দিক থেকে হোন্ডার প্রতিদ্বন্দ্বী পাওয়া কঠিন। নতুন নতুন মডেল এবং ডিজাইন তো বটেই পাশাপাশি নিয়মিত নতুন টেকনোলজির বাইক লঞ্চ করে হোন্ডা লাভারদেরকে উপহার দিচ্ছে জাপানিজ ব্রান্ড হোন্ডা।
১৫০ সিসি ফোর স্ট্রোক কমিউটার সেগমেন্টে হোন্ডা ইউনিকর্ন এবং ট্রিগারের সাফল্যের পর বাজারে আসে এর আপডেটেড মডেল হোন্ডা হরনেট। রাস্তায় প্রচুর হরনেট দেখে এর জনপ্রিয়তা সহজেই বোঝা যায়। পাশাপাশি তারা একই সেগমেন্টে আরো একটা মডেল নিয়ে আসে এক্সব্লেড নামে। খুব বেশি ফিউচারিস্টিক না হলেও হোন্ডার কোনো বাইক কিনে কেউ হতাশ হয়েছে এমন স্টোরি খুজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।
রিসেন্টলি ইন্ডিয়ান মার্কেটে লঞ্চ হলো হোন্ডা এসপি ১৬০
নাম শুনেই বোঝা গেলো এটা ১৬০ সিসি কমিউটার সেগমেন্টের বাইক৷ বেশ কিছু ছবিও হাতে পেলাম যেগুলো দেখে মনে হলো বাইকটার ডিজাইন খুব পরিচিত লাগছে। আরেকটু ভালো করে খেয়াল করলাম, এবার আবিষ্কার করলাম, বাইকের ইনস্ট্রুমেন্ট প্যানেল হুবহ ন্যাকেড স্পোর্টস বাইক হোন্ডা এক্সমোশনের মত। সার্ভিস রিমাইন্ডার, ঘড়ি, গিয়ার ইন্ডিকেটর, সাইডস্ট্যান্ড ইন্ডিকেটর সহ প্রয়োজনীয় সকল ইনফরমেশন সহজেই রিড করা যাবে এর ইনভার্টেড LCD প্যানেল থেকে৷
ট্যাংক কাউল ডিজাইন হোন্ডা লিভোর মত তবে বেশ বোল্ড এবং মাস্কুলার। লুক এনহ্যান্স করার পাশাপাশি এই কাউলগুলো বাইকের এরোডায়ামিকেও হেল্প করবে৷ চমৎকার একটা ইঞ্জিন কাউল দেয়া হয়েছে যা বাইকের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে।
HMSI এই বাইকটির কোয়ালিটি নিয়ে এতটাই কনফিডেন্ট যে তারা ১০ বছরের ওয়ারেন্টি অফার করছে৷ ৩ বছর স্ট্যান্ডার্ড এবং ৭ বছর এক্সেন্ডেড ওয়ারেন্টি এনজয় করতে পারবে এই বাইকের ইউজাররা৷ Honda SP160 পাওয়া যাবে ৬ টা এক্সাইটিং কালার ভেরিয়েন্টে।
হার্ট হিসেবে এতে ইউজ করা হয়েছে ১৬২ সিসির একটা OBD2 কম্পলায়েন্ট প্রোগ্রামড এফ আই [PGM-fi] ইঞ্জিন যা ১৩.৫ বিএইচপি এবং ১৪.৬ নিউটন মিটার অফ টর্ক ডেলিভারি করবে। সাথে ইঞ্জিন ওয়ার্ম আপের জন্য থাকছে অটোচোক টেকনোলজি এবং সিগনালে বসে থাকার সময় সহজে ইঞ্জিন বন্ধ করার জন্য দেয়া হয়েছে ইঞ্জিন কিল সুইচ।
জয়েন করুন ৫০ হাজারের বেশি বাইকারের গ্রুপ কিউরিয়াস বাইকার
এলইডি হেডলাইট ও টেইল লাইটের সাথে বাড়তি ফিচার হিসেবে যোগ হয়েছে হ্যাজার্ড ইন্ডিকেটর সুইচ। তবে হেডলাইট ডিজাইনটাও হর্নেটের সিমিলার।
গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৭৭ মিমি। বেশ লম্বা এবং চওড়া কমফোর্টেবল সীট ইউজ করা হয়েছে যার লেংথ ৫৯৪ মিলিমিটার। সামনে টেলিস্কোপিক এবং পিছনে মনোশক সাসপেনশনের কম্বিনেশন থাকছে এই বাইকে। সিংগেল এবং ডুয়াল ডিস্কের দুটি ভ্যারিয়েন্ট এভেইলেবল থাকবে। সিংগেল চ্যানেল এবিএস থাকার কারনে ব্রেকিং ও সেফটি নিয়েও বেশ নিশ্চিন্ত থাকবে এই বাইকের ইউজাররা। ভারতের বাজারে এই বাইকের দাম ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ১৮ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২২ হাজার রুপির মধ্যে।
আশা করছি বাংলাদেশের বাজারেও বাইকটি খুব দ্রুত লঞ্চ হবে। আমাদের দেশে এলে এই বাইকের দাম কত হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন? কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।
