যারা নিয়মিত বাইক চালান তাদের কাছে বাইক কতটা গুরুত্ব পূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আবার নিয়মিত বাইক থেকে সরবচ্ছ সুবিধা নিতে এর সঠিক পরিচর্যা প্রয়োজন। কিন্তু খুব কম বাইকার এই বিষয়ে সচেস্থ থাকে।
চলতি পথে হঠাৎ বাইক বন্ধ হয়ে গেলে কি যে বিড়ম্বনা তা একমাত্র ভুক্তভুগিই জানেন। এই রকম পরিস্থিতি থেকে মুক্ত থাকতে নিয়মিত বাইকের সার্ভিস করতে হয়।
প্রতিতি বাইক অনন্য হলেও এর সমস্যার কারন কিন্তু প্রায় একি। আসুন এই রকম কিছু সমস্যা থেকে ধারনা নেই
# ইঞ্জিন সাউন্ড
একটা জিনিন আপনি লক্ষ করে থাকবেন যে বৃষ্টির সময় বাইকের ইঞ্জিনের সাউন্ড তাড়াতাড়ি চেইঞ্জ হয়ে যায়। আপনি মাত্র কাল সার্ভিস করে এনেছেন আজ জখন বাইক চালাচ্ছে তখন সাউন্ড বাজে লাগছে।
যারা রেগুলার বাইক চালান তার বাইকের স্বাভাবিক সাউন্ড তার কাছে খুব পরিচিত। সামান্ন পরিবর্তন খুব সহজেই ধরা পরে।
ভয় পাবেন না, সমাধান বলে দিচ্ছি
খেয়াল করে দেখবেন একটা ভালো বাইক ওয়াস বাইকের ইঞ্জিন সাউন্ড সুন্দর করে দেয়। কেন কিভাবে ? বাইক ওয়াস করা হয়েছে, ইঞ্জিনে হাত দেওয়া তো হয় নি। তবে কিভাবে?
আসলে বাইকের ইঞ্জিনে যে কাদা বা ময়লা লেগে থাকে তার সাথে বাতাসের সংঘর্ষে এই শব্দ হয়, পাশাপাশি বাইকের ইঞ্জিনে কাদা লেগে থাকার কারনে বাইকে ইঞ্জিন খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়।
# চেইন থেকে শব্দ আসে
আনেকেই নতুন বাইক কেনার পরে ভালো মত রেগুলার ওয়াস করেন, পরিষ্কার রাখেন। কিন্তু দেখা যায় কিছু দিন পরে চেইন থেকে বাজে শব্দ হচ্ছে।
এর প্রধান কারন হচ্ছে চেইন শুকিয়ে যাওয়া। নিয়মিত চেইনে লুব করতে হবে।
# ক্লাচ লিভার
বাইক চালানোর মজা তখনোই বেশি যখন বাইক, রাইডার এর কথা মত চলবে। আপনি যে ভাবে চাচ্ছেন সেভাবে। তাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনাকে আলাদা এটেনশান দিতে হচ্ছে না।
তাই ক্লাচ লিভার টিকে আপনার সুবিধা মত এডজাস্ট করে নিন। কতটুকু ছেড়ে দিলে বা কোন যায়গা থেকে ধরলে আপনি চালাতে সাদছন্দ বোধ করেন তা নির্ধারণ করে সেই অনুপাতে এডজাস্ট করে নিন।
সাধারনত ক্লাচ লিভারের ফ্রি প্লে থাকে ১০-১৫ মিলিমিটার। আপনি যদি এতে আডজাস্ট হতে পারে খুব ভালো, না হলে আপনার ফ্রিকশান পয়েন্টে সেট করে নিন।
ক্লাচ ও থ্রটলের সঠিক কম্বিনেশান হলে , থ্রটল ঘুরিয়ে আপনি যে পাওয়ার ইঞ্জিনে দিচ্ছেন তার আসোল ফিল পাওয়া যায়। তখন মনে হয়, বাইক আপনি চালাচ্ছেন না, বাইক আপনার মনের ভাষা বুঝে চলছে।
# সাসপেনশান
আপনি যদি নিয়মিত খারাপ রাস্তায় হাই স্পিডে বাইক চালান এটা যেমন বাইকের সাসপেনশনে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করবে পাশাপাশি বাইকের চেসিস এর সমস্যা হতে পারে। নিয়মিত খারাপ রাস্তায় উচ্চ গতিতে বাইক চালালে বাইকের স্বাভাবিক ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যায়।
নির্দিষ্ট ওজনের চাইতে বেশি ওজন নিয়ে বাইক চালালে সাসপেনশনে যে স্প্রিং থাকে, তার শক্তি কমে যায়। এতে সামান্য ঝাঁকিতেই চেসিস এর সাথে সাসপেনশন লেগে বাজে শব্দ করে।
# ব্রেক
আপনার মোটরসাইকেলের ব্রেক ক্যালিপারটি আপনার বাইকের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা আপনার নজর রাখা উচিত। আপনি যদি নিয়মিত রাইডার হন তবে অবশ্যই আপনার বাইকের ক্যালিপারগুলি ভালভাবে বজায় রাখা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে হবে।
এ জন্য নিয়মিত বাইকের ক্যালিপার মেন্টেনেন্স করতে হবে। চলানোর ধরনের উপর বাইকের ব্রেক সু পরিবর্তন করতে হয় কিন্তু বাইকের ক্যালিপার হয় অনেকের সারা জীবনে একবারও পরিবর্তন করতে হয় না। আপনি যদি এর সঠিক মেন্টেনেন্স না করেন তবে হয় তো ব্রেক সু পরিবর্তনের সাথে ব্রেক ক্যালিপারটি পরিবর্তনের জরিমান গুনতে হবে।