ACI, YAMAHA 4 year in Bangladesh

নভেম্বর 18, 2020

ACI, YAMAHA 4 year in Bangladesh

ইয়ামাহা মোটর কোম্পানি পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর মাঝে একটি। জাপানের ইয়োটা, শিজুওকা শহরে ইয়ামাহা মোটর কোম্পানি প্রথম যাত্রা শুরু করে। মোটরসাইকেল উৎপাদন ছাড়াও ইয়ামাহা মোটর কোম্পানি গলফ কার, মেরিন ইঞ্জিন, অটোমোবাইল ইঞ্জিন ইত্যাদি ছাড়াও মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুুুমেন্ট তৈরি করে।

এসিআই মোটরস বাংলাদেশে ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের একমাত্র ডিস্ট্রিবিউটর ও টেকনিক্যাল কলাবোরেটেড পার্টনার। স্বনামধন্য এসিআই কোম্পানির একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০৭ সালে এসিআই মোটরস যাত্রা শুরু করে। শুরু থেকেই এসিআই মোটরস প্রযুক্তিনির্ভর পণ্যের বিপণনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে।

এরই অংশ হিসেবে ২০১৬ সালে ইয়ামাহা এসিআই মোটরস এর হাত ধরে বাংলাদেশের বাজারে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করে। যাত্রা শুরুর পর বাংলাদেশে চাহিদার শীর্ষ মোটরসাইকেল হিসেবে ক্রেতাদের কাছে প্রধান আকর্ষণ ইয়ামাহা ব্রান্ড।

সম্প্রতি ইয়ামাহা এসিআই মোটরস এর সাথে সফলতার ৪ বছর পার করেছে। এই ৪ বছরে তাদের চুম্বক অংশ নিয়েই আজ আমাদের আলোচনা…

শুরুটা যেভাবে ( ২০১৬ )

কার্যক্রম ২০১৬ তে শুরু হলেও এ সি আই মোটরস ২০১৭ সালে প্রথম দেশের বাজারে নিয়ে আসে ফুয়েল ইঞ্জেশন প্রযুক্তির মোটরসাইকেল। ফুয়েল ইঞ্জেশন প্রযুক্তি হচ্ছে সেন্সর নির্ভর প্রযুক্তি এবং এই প্রযুক্তির বাইকগুলোতে ৮টি সেন্সর ও বেশকিছু একচুয়েটর রয়েছে। ফুয়েল ইঞ্জেশন ইঞ্জিন হাওয়ায় এটি জ্বালানি খরচ কম এবং কার্বন মনো-অক্সাইড নিঃসরণ এর পরিমাণ অনেক কম, যেটা পরিবেশবান্ধব।

 আরো জনাতে

মডেল গুলো ছিল, ট্যুরিং সেগমেন্টের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় Fazer এবং FZS V2, স্পোর্টস সেগমেন্টে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল R15 V 2, আর কমিউটার ও লাইফস্টাইল সেগমেন্টে আছে Saluto (125 CC) .

Which engine oil is a best for motorbike

ইয়ামাহার বেশিরভাগ বাইক যেহেতু ফুয়েল ইঞ্জেশন প্রযুক্তির, সেহেতু এর সার্ভিসে ডায়াগস্টিক টুলস (YDT) ব্যবহার করতে হয়। ডায়াগস্টিক টুলস (YDT) হচ্ছে এমন একটি টুলস যা দিয়ে কম্পিউটারের সাহায্যে বাইকের যেকোনো সমস্যা নির্ণয় করা যায়।

উৎপাদন ও সংযোজন ( ২০১৮ )

২০১৮ সাল টি , এ সি আই মোটরস এর জন্য খুব গুরুত্ব পূর্ণ। এই বছরে বেবসায় পাশাপাশি বিভিন্নি সামাজিক কার্যক্রমে তারা নিজেদের সম্প্রিত্ত করতে থাকে।

এই বছরে তারা বাজারে আরো একটি নতুন মডেল SZ RR বাজারে আনে। সেই সাথে পূর্বের আরেকটি মডেলের নতুন সংজোজন FZS FI V2 DD আনে। সাথে লাইফস্টাইল সেগমেন্টে Street Rally ও N Max সংযুক্ত হয়।

ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ কি, কেন, কিভাবে? 

২০১৮ সালে এ সি আই মোটরস এবং ইয়ামাহা মোটর কোম্পানির মধ্যে টেকনিক্যাল কোলাবোরেশন সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে এসিআই মোটরস পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে ইয়ামাহার বিভিন্ন মডেলের মোটরসাইকেল সংযোজন ও উৎপাদন করার অনুমতি পায়।

এর ধারাবাহিকতায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি আন্তর্জাতিক মানের কারখানা প্রতিষ্ঠা করে। কারখানাটি সম্পূর্ণভাবে জাপানিজ তত্ত্বাবধায়নে, নানান ধরনের জাপানিজ প্রযুক্তি দিয়ে মোটরসাইকেল সংযোজন করা হচ্ছে।

রিলে কি, কিভাবে কাজ করে?

২০১৮ সালেই সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে তারা গড়ে তুলেছে ইয়ামাহা রাইডিং একাডেমি । যেখানে জাপানের প্রশিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষিত ট্রেইনাররা আগ্রহীদের বিনামূল্যে বাইক রাইডিং প্রশিক্ষণ দেয়। গত ২ বৎসরে ১৪০০-র বেশি ছেলে-মেয়েরা এই প্রশিক্ষণের আওতায় আসে এবং দক্ষতার সাথে প্রশিক্ষণ নেয়।

Covid-19 and Biker Activity in Bangladesh

বাইকারদের জন্য ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাইকিং ক্লাব। সারা দেশে রয়েছে এর প্রায় ৬০,০০০ এর অধিক সদস্য যারা বাইকিং এক্টিভিটির পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে থাকে।

শিতকালে বাইক রাইডিং টিপস

তাদের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, ভালোবাসার লাল সবুজ, ডেঙ্গু সচেতনতা কার্যক্রম, শীতার্তদের মাঝে তাঁবু বিতরণ, করোনাকালে ২০০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ইত্যাদি।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তি (Antilock Braking System) ( ২০১৯ )

২০১৯ সালে এসিআই মোটরস নিয়ে আসে অত্যাধুনিক (Antilock Braking System) প্রযুক্তির FZS V3 ও R15 V3 বাইক যা বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক ব্রেকিং প্রযুক্তি। এই ব্রেকিং প্রযুক্তি দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেকাংশে হ্রাস পায়। অন্য যেকোনো ব্রেকিং প্রযুক্তির থেকে এটি ৩০ শতাংশ বেশি কার্যকরী। এই ধরনের প্রযুক্তি আগে শুধু গাড়িতে ব্যবহার হতো।

পেট্রল নাকি অকটেন?

২০১৯ এর শেষে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় ‘কক্সবাজার রাইডিং ফিয়েস্তা’। এর আয়োজনে ছিল ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব (ওয়াইআরসি)। দেশের সব জেলা থেকে ৮০০ জনের বেশি বাইকার যোগ দেন দুই দিনের এই মিলনমেলায়।

করনা কাল ( ২০২০ )

২০১৯ এর শেষে ও ২০২০ এর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সারা পৃথিবী এক মহা ক্রান্তিকাল পার করছে। সারাবিশ্বেই এখন ব্যবসা-বাণিজ্য ভাটা চলছে। মানুষের চলাচল সীমিত। প্রায় সকল বাইক পরিবেশক এর ৪ মাস যাবৎ মোটরসাইকেল এর বিক্রি বন্ধ রাখতে হয়েছে।

বলাচলে এখন করনা ২য় পার করছে বাংলাদেশ। আশা করা হচ্ছে এই খুব সিগরই প্রথিবি নতুন সূর্য দেখবে। আবার প্রান চাঞ্চল্য আসবে, আসবে বাইকের জগতের সুদিন।