Decreased speed of your motorcycle?
July 03, 2021

Views
Shares
আপনি কি স্পীড ভালবাসেন? আপনার মোটরসাইকেলের স্পীড কী দিন দিন কমে যাচ্ছে? ভাবছেন বিক্রি করে দিবেন ভালবাসার বাইকটি। ধৈর্য্য ধরে পুরো আর্টিকেল টি পড়ুন। আশা করছি নতুন করে ভালবাসতে শুরু করবেন পছন্দের বাইকটিকে। আমরা আপনার মোটরসাইকেলকে দ্রুততর করার কয়েকটি সম্ভাব্য উপায় নিয়ে এসেছি।
অনুরোধ থাকবে পুরো আর্টিকেল টি পড়ে আপনার মতামত অথবা এই আর্টিকেল টি সম্পর্কে আপনার সাজেশন নিচের কমেন্ট বক্সে জানানোর জন্য।
টায়ার পরিবর্তন করুন
আপনার বাইকের স্পীড বাড়ানো বা কমানোর জন্য বাইকের টায়ার খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভাল মানের টায়ার যেমন আপনাকে ভাল গ্রিপ দিবে, তেমনি আপনি বাইক টি চালিয়েও আরাম পাবেন। নতুন বাইকে টায়ারে সকল গুনাগুন অক্ষুন্ন থাকে বিধায় নতুন অবস্থায় বাইক চালিয়ে আপনি বেশি স্পীড পান ।
বাইকের টায়ার টি পুরাতন হয়ে গেলে স্বাভাবিক গ্রিপ নষ্ট হয়ে যায়। এতে টায়ার টি স্বাভাবিকের তুলনায় একটু মোটা দেখায়। সাধারণত ২০,০০০ কিঃ মিঃ পর বাইকের টায়ার এমনিতেই পরিবর্তন করতে হয়। তবে আপনার বাইক যদি ১০,০০০ কিঃমিঃ এর কম চালানো হয়ে থাকে তবে বাইকের টায়ার প্রেশার টি ঠিক করুন।
আধুনিক ইঞ্জিন সম্পর্কে 5 টি জিনিস আপনি জানেন না
সাসপেনশন
সাসপেনশন একটি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়। আপনার বাইকের সাসপেনশন যদি খারাপ হয় তবে আপনি ভালো পারফরমেন্স পাবেন না। এজন্য আপনি আপনার বাইক টি একজন ভালো ট্যাকনিশিয়ান কে দেখান, এটি যদি স্বাভাবিক অবস্থায় না থাকে তবে পরিবর্তন করে নিন। মনে রাখবেন অবশ্যই ভালো , অভিজ্ঞ ট্যাকনিশিয়ান দিয়ে কাজ করাবেন। সাসপেনশন সেটআপ সঠিক না হলে বাইকের কন্ট্রলিং নষ্ট হয়ে যাবে।
পুরাতন বাইকের কিছু সমস্যা ও সমাধান
টায়ার প্রেসার
সবসময় টায়ার প্রেশার সঠিক রাখার চেষ্ঠা করুন। এক্ষেত্রে সামনে এবং পিছনে কত পি এস আই প্রেশার রাখতে হবে সেটি লেখা আছে আপনার বাইকের পিছনের চাকার আশে পাশেই। একটু চেষ্ঠা করলেই খুজে পাবেন। সাধারনত সামনে ২৯ এবং পিছনে ৩৩ রাখাই উত্তম, তবে যাদের ওজন একটু বেশি বা পিলিয়ন নিয়ে চলেন তারা সামনে সর্বোচ্চ ৩৫ এবং পিছনে ৪০ পিএস আই রাখতে পারেন।
তবে বৃষ্টির দিনে ভেজা রাস্তায় টায়ার প্রেশার অবশ্যই একটু কম রাখুন ভাল গ্রিপের জন্য।
সঠিক টায়ার প্রেশার রাখলে ভাল গ্রিপ, ভাল ব্রেকিং এবং ভাল মাইলেজ পাবেন ।
বাইকের চেন
মোটরসাইকেলের চেইন রক্ষনাবেক্ষন যেমন বাইকের স্পীড বাড়াবার পেছনে কাজ করে তেমনি নিরাপদ ভ্রমনের প্রধান অংশ। চেইন হল মোটরসাইকেলের না বলা যান্ত্রিক হিরো। ইঞ্জিন হতে পিছনের চাকায় শক্তি সরবরাহের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ চেইনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। যথাযথ তদারকি ও রক্ষনাবেক্ষন করা না হলে এটা ছিঁড়ে যেতে পারে যা মোটরসাইকেলকে পঙ্গু করে দেবে।
ইঙ্গিন গরম করে নিন
দিনের শুরুতে বাইক স্টার্ট দেবার সময় কিক ব্যবহার করুন। যে সব বাইকে কিক নেই (এবং বাকিরা সবাই) বাইক টি স্টার্ট করে ১ মিনিট অপেক্ষা করুন। কয়েকবার থ্রটল ঘুরিয়ে RPM লাল দাগ পর্যন্ত নিয়ে নিন। বাইকের ইঙ্গিন গরম করে তার পর চলতে সুরু করুন। সুরুতেই তারাতারি গিয়ার পরিবর্তন করবেন না বা উচ্চ RPM এ বাইক চালাবেন না। আপনি যেমন ঘুম থেকে উঠেই দৌড়াতে সুরু করেন না , একটু সময় নেন , তেমনি বাইক কে সময় দিন। আস্তে আস্তে গতি তুলুন , RPM বাড়ান। দেখবেন ইঞ্জিন খুব ভাল পারফরমেন্স করছে , এবং সারাদিন দিন ভালোভাবেই সঞ্চালিত হবে। এটি কেবলমাত্র সামান্য জিনিস, অভ্যাসে পরিনত করুন।
বাইক ইঞ্জিন ওয়েল ও কার ইঞ্জিন ওয়েল
টাইট ব্রেক
আপনার বাইকের ব্রেক যদি খুব টাইট হয় তবে ইঞ্জিনের অতিরিক্ত শক্তি খরচ করতে হবে আপনার বাইক কে দ্রুত গতি এনে দিতে। যদি বাইকের ব্রেক খুব টাইট হয় বা অনেক পুরনো হয় তবে এটি পরিবর্তন করে ফেলুন। নতুন ব্রেক সঠিক ভাবে স্থাপন করুন।
এয়ার ফিল্টার
বাইকের এয়ার ফিল্টার টি পরিস্কার করুন। সাধারণত প্রতি ১০০০ কি.মি. পর পর এটি পরিষ্কার করতে হয়, তা না হলের এর স্বাভাবিক দক্ষতা থাকে না। নষ্ট হয়ে থাকলে বদলিয়ে ফেলুন ।
ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ কি, কেন, কিভাবে?
অয়েল ফিল্টার
আমাদের দেশে তেলের অবস্থা বেশি ভালো না। সঠিক ফুয়েল পাওয়া খুব কষ্টের। প্রতি বার ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তনের সময় , অয়েল ফিল্টার টাও পরিবর্তনের চেষ্ঠা করুন।
কার্বুরেটর নাকি ফুয়েল ইঞ্জেকশন ইঞ্জিন ?
ভাল ফুয়েল নিন
ফুয়েল ভাল না হলের একটি সময় আপনার বাইকের ইঞ্জিন ফল(fall) করতে পারে। এজন্য ভালো ফুয়েল নির্বাচন করা খুবই জরুরি। আপনার কাছা কাছি বিভিন্ন ফুয়েল পাম্প থেকে ফুয়েল নিন। আপনার বাইকের জন্য সঠিক ফুয়েল পাম্প টি নির্বাচন করুন।
Which engine oil is a best for motorbike
যদিও বাংলাদেশে ভালো ফুয়েল পাম্প খুজে বের করা রাজ্য জয় করার সমতুল্য।
ভাল ইঙ্গিন অয়েল
বাইকের জন্য সবচেয়ে ভাল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করুন। সঠিক আবহাওয়া তে সঠিক ইঞ্জিন অয়েল নির্বাচন করুন যেমন শিতের সময় ও গরমের সময় আলাদা গ্রেডের অয়েল ব্যবহার করুন। প্রতিবার ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করার সময় নাট টি ভালো ভাবে লাগানো হয়েছে কিনা পরিক্ষা করুন। কোন লিকেজ থাকলে সারিয়ে নিন।
Motorcycle #frame and its classification
কারবোরেটর টিউন
কারবোরেটর টি সঠিক ভাবে টিউন করুন। যদিও প্রতি ৭৫০০ কি.মি. পর পর এটি টিউন করতে হয়। আপনি চেক করুন , অসামঞ্জস্যতা থাকলে ঠিক করে নিন।
ভালভ সেটিং:
যদি আপনি উপরে সমস্ত বিষয় সমূহ যাচাই করে থাকেন এবং কোন সমস্যা না পান, তাহলে আপনি যা করতে পারেন তা হল ভালভ সেটিং, এটি করার জন্য অভিজ্ঞ মেকানিক প্রয়োজন। বাইকের ভালভ টি সঠিক আছে কিনা পরিক্ষা করুন। সাধারনত এটি নষ্ট হয় কম, যদি হয়েই থাকে বা এর স্বাভাবিক দক্ষতা না থাকে তবে পরিবর্তন করে ফেলুন।
এখানে কয়েকটি সহজ পয়েন্ট নিয়ে আলচনা করা হয়েছে , যে গুলো একজন বাইকার হিসেবে আপনার মনে রাখা উচিৎ। এর বাইরেও অনেক বিষয় রয়েছে। আপনার যদি এরকম কিছু জানা থাকে তবে আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
মোটরসাইকেল চালনা মজা এবং কিছু লোকের জন্য মোটরসাইকেল মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ এবং আপগ্রেড করা দৈনন্দিন কাজের অংশ। সম্ভাব্য সেরা, সবচেয়ে শক্তিশালী মেশিন তাদেল প্রথম চাওয়া ।
আপনি যদি তাই চান, তবে আপনার প্রথম পদক্ষেপ সর্বদা বাইকের ভাল যত্ন নেওয়া যাতে এটি তার সেরা পারফরম্যান্স প্রদান করতে পারেন। মনে রাখবেন পরিবর্তনের চাইতে ,ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ বুদ্ধিমানের কাজ।