বাইকে টর্ক এবং বিএইচপি এর মধ্যে পার্থক্য
এই সকল বিষয় সম্পর্কে অনেকেই সঠিকভাবে জানে না। তাই আজকে আমরা এই ব্লগে পাওয়ার টর্ক নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি, আজকের পর মোটরসাইকেলের টর্ক এবং বিএইচপি সম্পর্কে আর কোনো ভুল ধারণা থাকবে না।
বাইকের টর্ক কী? শব্দগত অর্থ অনুযায়ী টর্ক হলো কোনো একটি বস্তু ঘূর্ণন অবস্থায় থাকলে তা কত পরিমাণের শক্তি নিয়ে ঘুরছে তার পরিমাপ। ঘূর্ণনের গতির সাথে অনেকেই টর্ককে এক করে ফেলেন কিন্তু পাওয়ার টর্ক হলো কোনো একটি বস্তু কি পরিমাণ শক্তি নিয়ে ঘুরছে সেটা। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে টর্কের ব্যবহার বিভিন্ন রূপে করে থাকি।
আমরা যখন মোটরসাইকেল চালায় তখন কি শুধুমাত্র ইঞ্জিনের সাহায্যে বাইক চলে? বাইকের চাকার ও তো একটা বিশেষ ভূমিকা রয়েছে তাই না? টর্ক হলো সেই বিদ্যুৎ শক্তি যা আপনার মোটরবাইকের ইঞ্জিনের সাহায্যে চাকা ঘোরানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বাইকের চাকা ঘোরানোর পাশাপাশি বাইকের স্পিড বা স্থিতি থেকে চলাচল করার জন্য প্রয়োজন হয়। এক কথায় টর্ক হলো সেই শক্তি যা আপনার মোটরবাইককে গতি প্রদান করতে সহায়ক হয়।
বিএইচপি BHP হলো “ব্রেক হর্সপাওয়ার” এর ক্ষুদ্রতম একক। এটি মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনে যে শক্তি তৈরি হয় তা দেখায়। এটি মোটরসাইকেলের শক্তির মাত্রা বুঝাতে ব্যবহৃত হয় এবং যত বেশি BHP থাকে, ততটুকু মোটরসাইকেল শক্তিশালী হয়। মানুষ বিএইচপি মোটরসাইকেলের গতি ও দক্ষতা বোঝার জন্য ব্যবহার করে।
সাধারণত, বাইকের ক্ষমতা হলো সে শক্তি যা বাইকটি চলাচল করার জন্য প্রয়োজন হয়। এটি মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন দ্বারা তৈরি হয় এবং বাইকটি গতি তৈরি করতে এবং সমভাবনা দেখাতে সাহায্য করে। আর বিএইচপি হলো এই ক্ষমতা পরিমাপের একক।
আশা করি আমাদের আজকের ব্লগ থেকে আপনি মোটরসাইকেলের টর্ক এবং বিএইচপি শম্পর্কে একটি ধারণা লাভ করেছেন। ভবিষ্যতে এমন আরো সহায়ক ব্লগ পেতে CuriousBiker এর সাথে থাকুন।
তত্থঃ bikesguide