Hero Xpulse 200 4V

সেপ্টেম্বর 25, 2021

Hero Xpulse 200 4V

বাইক নিয়ে পাগলামী রয়েছে অনেকের মধ্যেই। বিশেষত লম্বা দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকেন যাঁরা। একটা সময় অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী বাইকারদের এলিট ক্রেতা হিসেবে ধরে মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরার জাতীয় মোটরসাইকেল আনত নানা সংস্থা। তবে এখন সময় বদলেছে। ভারতের বাজারে এখন মধ্যবিত্তের বাজেটের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেল। আর নিঃসন্দেহে তার কৃত্তিত্বের দাবিদার হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp)। Impulse-এর হাত ধরে বছর আটেক আগে ভারতে এন্ট্রি-লেভেল অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরার সেগমেন্টে পা রেখেছিল তারা। ততটা সাফল্য না পেলেও Impulse-এর ফর্মুলার উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে বাজারে আসে Xpulse, ভারতে যা এখন সবচেয়ে সস্তা অ্যাডভেঞ্চার বাইক হিসেবে পরিচিত।

Xpulse বাইকারদের কাছে প্রশংশিত হলেও এই সেগমেন্টে কম পাওয়ার দেওয়ার জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে হিরো। অফ-রোড ও শহুরে রাস্তায় ঠিকঠাক পারফর্ম করলেও হাইওয়ে পারফরম্যান্স নিয়ে অভিযোগ অনেকের। বিএস-৬ মডেলে পারফরম্যান্স ও রিফাইনমেন্ট বিভাগে উন্নতির কথা অস্বীকার করা যায় না। তবে সেটাও যথেষ্ট নয়। তাই এবার শক্তিশালী ইঞ্জিন দিয়ে Xpulse-এর সমস্ত খামতি ঢাকতে কোমর বেঁধে নেমেছে হিরো।

নতুন মডেলের টেস্ট ভার্সন নিয়ে ইতিমধ্যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় Hero Xpulse-এ চেপে টেস্ট রাইড নেওয়ার ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে বাইটটির ফুয়েল ট্যাঙ্কের নিচে ‘4-Valve’-এর স্টিকার লক্ষ্য করা গিয়েছে। সুতরাং, আরও ভাল পারফরম্যান্স দেওয়ার লক্ষ্যে পুরনো টু-ভালভ সেটআপের মোটরের জায়গায় নতুন ফোর-ভালভ মোটরের সঙ্গে আসছে Hero Xpulse৷ এটি অফিসিয়ালি Hero Xpulse 200 4V নামে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Hero Xpulse 200 4V স্টাইল আপডেট

হিরো এক্সপালস ২০০ ৪ভি-এর টেস্ট ভার্সনে ব্র্যান্ড নিউ কালার স্কিম রয়েছে। সেই ডুয়াল টোন পেইন্ট স্কিমে ব্লু কালারের সঙ্গে সাইড প্যানেল, টেল সেকশন, এবং ট্যাঙ্ক শ্রাউড ব্ল্যাকড আউট করা হয়েছে। এ ছাড়া গিয়ারবক্স অ্যাসেম্বলি, হিট শিল্ড, এবং এগজস্ট ক্যানিস্টারের একটি অংশে গ্রে শেড দেওয়া হয়েছে। হিরো এক্সপালস ২০০ ৪ভি-এর ওয়্যার-স্পোকড রিমে ব্লু কালারের ছোপ দেখা যাচ্ছে।

Hero Xpulse 200 4V ইঞ্জিন আপডেট

এবার প্রশ্ন হল, ইঞ্জিনে ৪-ভালভ সিস্টেম যুক্ত করার ফলে লাভটা কি হবে। সে ক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, ৪-ভালভ সিস্টেমের সাথে ইঞ্জিনের সিলিন্ডার হেড এখন আরও ভালভ পাবে যা কম্বাশন চেম্বারে আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে বাতাস ও জ্বালানির দহন ঘটাতে পারবে। যার ফলে আরও বেশি জ্বালানি পুড়বে এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আবার ইঞ্জিনের ব্রিদিং পাওয়ার বৃদ্ধি হওয়ার ফলে ভাল মাইলেজ মিলবে। অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে যা খুব প্রয়োজনীয়।

প্রসঙ্গত, হিরো এক্সপালস ২০০ ট্যুরার বাইকে ১৯৯ সিসি-র অয়েল কুল্ড, ফুয়েল ইনজেকটেড ইঞ্জিন আছে। এর থেকে ৮,৫০০ আরপিএম গতিতে ১৭.৮ বিএইচপি পাওয়ার এবং ৬,৫০০ আরপিএম গতিতে ১৬.৪৫ এনএম টর্ক পাওয়া যায়।

Hero Xpulse 200 4V মেকানিক্যাল স্পেসিফিকেশন

উপরের বিষয়গুলি বাদ দিলে নতুন হিরো এক্সপালস ২০০ ৪ভি-এর স্পেসিফিকেশন আগের মতোই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। সাসপনেশনের জন্য এই ট্যুরিং বাইকের সামনে ও পিছনে থাকবে ১৯০ মিমি ট্রাভেলের সাথে টেলিস্কোপিক ফোর্কস এবং ১০-স্টেপ অ্যাডজাস্টেবল মনোশক ইউনিট।

২১ ইঞ্চির ফ্রন্ট হুইল এবং ১৮ ইঞ্চির রিয়ার হুইলের উপর ভর দিয়ে বাইকটি দুর্গম রাস্তায় পাড়ি দিতে পারবে। ব্রেকিংয়ের জন্য এর দুই প্রান্তেই ডিস্ক ব্রেক দেওযা হয়েছে। এছাড়া রাস্তায় স্কিডিং এড়ানোর জন্য বাইকটিতে রয়েছে সিঙ্গেল-চ্যানেল এবিএস।

Hero Xpulse 200 4V ফিচার

হিরো তাদের নতুন এক্সপালস ২০০ ৪ভি-তে কিছু অতিরিক্ত ফিচার যোগ করবে কি না, এখন সেটাই দেখার। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাইকটিতে ফুল-এলইডি হেডল্যাম্প, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, নেভিগেশন এবং কল এলার্টের জন্য ব্লুটুথ কানেক্টিভিটির মতো উল্লেখযোগ্য ফিচার রয়েছে।

যেহেতু বাইকটি ২০০ সি সি তাই বাংলাদেশে আশার কোন সম্ভাবনা নেই। তাই দাম প্রকাশ করা হল না।