Motorcycle battery problem and solution

সেপ্টেম্বর 24, 2021

Motorcycle battery problem and solution

আমরা সবাই জানি, যেকোনো বাইকের জন্যই ব্যাটারি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বাইকের অনেক যত্ন নেই। বাইক অনেক পরিস্কার করি। কিন্তু মোটরসাইকেলের ব্যাটারির যত্ন একটু কমই নিই, এমনকি নেই না বললেই ভুল হবে না। বাইকের ব্যাটারির দিকে আমাদের নজর একটু কমই থাকে। কিন্তু যদি একটু খেয়াল করেন বর্তমানে বাজারে প্রচুর বাইক আছে যেগুলো ব্যাটারি ছাড়া স্টার্টই নেয় না। অনেক সময় দেখা যায় আপনার কোথাও এমারজেন্সি যাওয়ার দরকার কিন্তু battery ডাউন, মোটরসাইকেল স্টার্ট নিচ্ছে না। এমন সমস্যায় প্রায় পড়তে হয়। তাই বন্ধুরা বাইকের ব্যাটারি বা মোটরসাইকেলের ব্যাটারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

চলুন তবে জেনে নেয়া যাক, বাইকের ব্যাটারি নষ্ট হওয়ার কারণ কি কি।

অতিরিক্ত লাইটিং ব্যাবহার

মোটরসাইকেলের ব্যাটারি নষ্ট হওয়ার প্রথম কারণ হচ্ছে বিভিন্ন লাইটিং এর জন্য সরাসরি ব্যাটারি থেকে লাইন নেওয়া।

বাইক প্রস্তুত কারক প্রতিষ্ঠান গুলো বাইক প্রস্তুত করার সময় একটি নির্দিষ্ট ভল্টের ব্যাটারি ব্যবহার করে থেকে।

এখন আপনি যদি অতিরিক্ত মোটরসাইকেলের বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত লাইট ব্যবহার করে বা অন্য কোনো কারণে ব্যাটারি থেকে অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করেণ তাহলে তো ব্যাটারি নষ্ট হওয়ারই কথা।

বাইক ওয়াস, রাস ও গ্রিজ

ব্যাটারির দুটি টার্মিনাল থাকে। একটি পজেটিভ টার্মিনাল ও অন্যটি নেগেটিভ টার্মিনাল। একটু খেয়াল করলেই টার্মিনাল দুটি দেখা যাবে। এখন কথা হচ্ছে, আমরা যখন পানি দিয়ে বাইক ধুয় তখন পানি সেই টার্মিনালে পড়ে রাস পরে। রাস পরে টার্মিনাল নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে যদি গ্রিজ ব্যবহার করেন তাহলে এই রাস টা আর পরবে না।

পানি পরিবর্তন

মোটরসাইকেলের দুই ধরণের ব্যাটারি হয়। একটি হচ্ছে ড্রাইসেল ব্যাটারি এবং অপরটি লিকুয়েড জাতীয় ব্যাটারি। ড্রাইসেল ব্যাটারিতে পানির প্রয়োজন হয় না। কিন্তু লিকুয়েড জাতীয় ব্যাটারিতে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর এসিড পানি দিতে হয়। এই সময়টা হলো তিন মাস। তিন মাস পর পর পানি না দিলে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যায়।

বারবার Battery খারাপ হওয়ার পিছনে অনেক কারণ থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাইক চালকের কিছু ভুল থাকে। কয়েকটি ব্যাপার মাথায় রাখলে মোটরসাইকেলের ব্যাটারি ভাল রাখা সম্ভব।

আফটার মার্কেট Headlight এখন Trending. এই হেডলাইটের রেঞ্জ ভাল। দেখতেও আকর্ষণীয়। তবে এই ধরণের হেডলাইট ব্যাটারিতে প্রভাব ফেলে। কারণ, এই হেডলাইট জ্বালানোর ক্ষেত্রে ব্যাটারিতে জোর পড়ে।

স্পার্ক প্লাগ অনেক পুরনো হলে সমস্যা তৈরি করে। স্পার্গ প্লাগ খারাপ হলে মোটরসাইকেল স্টার্ট নিতে সময় নেয়। ফলে ব্যাটারিতে চাপ পড়ে। তাই নিয়মিত ব্যবধানে স্পার্ক প্লাগ পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

হাই ফ্রিকোয়েন্সি হর্ন অনেক সময় ব্যাটারিতে চাপ ফেলে। দেশের বহু শহরে এই ধরণের হর্ন এখন নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। এই হর্ন অনেক পাওয়ার টেনে নেয়। ফলে ব্যাটারির চার্জ শেষ হয় দ্রুত।

মোটরসাইকেলে সস্তার ওয়ারিং ব্যবহার করলে সমস্যা হতে পারে। After Market ওয়ারিং কিনলে সব সময় ব্র্যান্ডেড কেনার চেষ্টা করবেন। না হলে ব্যাটারিতে চাপ পড়তে বাধ্য।

আমরা অনেকেই সারা সপ্তাহ মোটরসাইকেল চালানোর সময় পাই না। সেক্ষেত্রে মোটরসাইকেল গ্যারাজে থাকে অনেকটা সময়। মাঝেমধ্যে তাই মোটরসাইকেল স্টার্ট দিতে পারলে ভাল। এতে ব্যাটারি সচল থাকে।

এখন অনেক Motorcycle-এ কিক স্টার্ট নেই। শুধুই Self Start অপশন রয়েছে। ফলে মোটরসাইকেলের ব্যাটারির স্বাস্থ্য ভাল রাখাটা আবশ্যিক হয়ে পড়েছে। কারণ মাঝরাস্তায় ব্যাটারি গোলমাল করলে মুশকিল হতে পারে।

এখন বেশিরভাগ মোটরসাইকেলে ড্রাই সেল ব্যাটারি ব্যবহার করে প্রস্তুতকারক সংস্থা। এই ব্যাটারির পারফরম্যান্স এমনিতে ভালই। এই ব্যাটারি তাড়াতাড়ি চার্জও হয়। তবুও কিছু ক্ষেত্রে ব্যাটারি ঘন ঘন খারাপ হয়। অনেকের সঙ্গেই হয়তো এমনটা হয়!