না জেনেই টায়ার জেল ব্যবহার করছেন, বিপদ ডেকে আনছেন না তো ?
এপ্রিল 03, 2023

Views
Shares
আমরা যারা বাইক বা মোটর সাইকেলে পারদর্শী কিংবা মোটর বাইকে বেশ কমফোর্টেবল তাদের কাছে টায়ার জেল শব্দটি বেশ পরিচিত। আবার যাদের এসব সম্পর্কে বিন্দুমাত্রও ধারণা নেই তারাও কিন্তু শব্দটা শুনেই বুঝতে পারেন এটা টায়ারের সাথে রিলেটেড বা সম্পৃক্ত কিছু একটা। আচ্ছা তবে আগে জেনে নেওয়া দরকার টায়ার জেলটা আসলে কি।
আমরা যারা বাইক বা মোটর সাইকেলে পারদর্শী কিংবা মোটর বাইকে বেশ কমফোর্টেবল তাদের কাছে টায়ার জেল শব্দটি বেশ পরিচিত। আবার যাদের এসব সম্পর্কে বিন্দুমাত্রও ধারণা নেই তারাও কিন্তু শব্দটা শুনেই বুঝতে পারেন এটা টায়ারের সাথে রিলেটেড বা সম্পৃক্ত কিছু একটা। আচ্ছা তবে আগে জেনে নেওয়া দরকার টায়ার জেলটা আসলে কি।
জয়েন করুন আমাদের ফেইসবুক গ্রুপে
ভিডিওঃ বাইকে কোন ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করবো এবং কেন
টায়ার জেল বা সিলেন্ট কি: টায়ার জেল বা সিলেন্ট মূলত এক প্রকারের রাসায়নিক পদার্থ। একটি মোটর বাইক বা মোটর সাইকেলে এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমি অপরিসীম বলছি কারণ এই রাসায়নিক পদার্থ চাকার লিক প্রতিরোধ করে থাকে বা লিক প্রতিরোধে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে। যদি একজন মোটর বাইক চালককে জিজ্ঞেস করা হয় মোটর বাইকের সবচেয়ে বিরক্তিকর ব্যাপার কোনটা? তাহলে নিঃসন্দেহে তিনি বলবেন টায়ার পাংচার হওয়া। আর এই বিরক্তিকর সমস্যার সমাধান হিসেবেই কাজ করে থাকে টায়ার জেল বা সিলেন্ট।
ভিডিওঃ ৩২৫ টাকার ফিরিয়ে দেবে পুরোনো যৌবন
টায়ার জেল বা সিলেন্ট ব্যবহারের সুবিধা
১. টায়ার জেল ব্যবহার করলে যাত্রা পথে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভবনা কম। যেমন, রাস্তায় টায়ার পাংচার হলেও টায়ার জেল এই পাংচার হওয়া বা টায়ারের ক্ষত স্থান খুব সহজেই পূরণ করে দেয়। যার ফলে যাত্রা পথে ব্যাঘাত ঘটে না।
২. অনেকেই বলে থাকেন হাই স্পিডে রাইড দিলে টায়ার জেল ব্যবহার করা যায় না। এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। টায়ার জেল হাই স্পীডেও ব্যবহার করা যায়। বরং হাই স্পীডে পাংচারের সম্ভবনা থাকেই না টায়ার জেলের কারণে।
৩. টায়ার জেল ব্যবহার করা ভার বোঝা কোন কাজ না। খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়। তবে ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম জানা উচিত। তবেই আআমাদের বাইক রাইড আরো সহজতম হয়ে উঠবে।
৪. টায়ার জেল একবার যদি বাইকে ধরা হয় তবে দ্বিধা ছাড়াই অনেক দিন ব্যবহার উপযোগী। বাইকের ইঞ্জিনিয়াররা বলে থাকেন যতদিন না টায়ারে লিক দেখা দিচ্ছে ততদিন টায়ার জেল ঠিকঠাক থাকে। আবার অনেকেই সময় বুঝে টায়ার জেল পরিবর্তন করে নেন। এ ব্যাপারে মোটর সাইকেল বা মোটর বাইক ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
টায়ার জেল ব্যবহারের অসুবিধে
১. এমনটা না যে টায়ার জেল ব্যবহার করছেন বলে টায়ারের চিন্তা মাথা থেকে চিরতরে দূর হয়ে যাচ্ছে। বরং খেয়াল রাখতে হবে। এবং টায়ারে ছিদ্র দেখা দিলে সেটা মেরামত করিয়ে নেওয়া উচিত।
২. টায়ার জেল যেমন বাইক রাইডকে অনেক সহজতর করে তেমনি দুঃচিন্তাও নিয়ে আসতে পারে রাইডারের জন্য। যেহেতু এটা একটি রাসায়নিক পদার্থ সেজন্য ঠিক মত ব্যবহার করতে হবে। অন্যতায় নানা অসুবিধের সম্মুখীন হতেই হবে।
৩. টায়ার জেলকে সঠিকভাবে চাকায় প্রবেশ করাতে হবে। যদি চাকায় প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হোন তবে এই রাসায়নিক পদার্থ এক জায়গায় জমা হয়ে টায়ার নষ্ট করে দিবে।
৪. টায়ার জেল এক জায়গায় জমে থাকলে বাইক রাইডের সময় বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। কেননা এক জায়গায় জমা হয়ে থাকে তবে চাকা সঠিকভাবে ঘুরতে পারবে না।
অনেকেই জানতে চান টায়ার জেল সব বাইকের টায়ারে ব্যবহার করা যায় কি না। এ ব্যাপারে সঠিক ইনফরমেশন না থাকার কারণে অনেকেই দুঃচিন্তায় পড়ে যান। বাইকে সাধারণত দুই ধরনের টায়ার থাকে। একটি টিউব টায়ার বা টিউব সহ টায়ার আর অন্যটি টিউবলেস টায়ার। টিউবলেস টায়ারে টায়ার জেল ব্যবহার করা যায়। আর টিউব সহ টায়ার বা টিউব টায়ারে টায়ার জেল বা সিলেন্ট ব্যবহার করা যায় না।
আরো পড়ুন