টায়ার প্রেসার কম বা বেশি , ক্ষতি কি ?

ফেব্রুয়ারি 16, 2023

টায়ার প্রেসার কম বা বেশি , ক্ষতি কি ?
বাইকের টায়ার সঠিক প্রেশারে না থাকলে মাইলেজ কমে যায় এবং পারফরম্যান্সের ব্যাঘাত ঘটে। বাইকের সাসপেনশন থেকে শুরু করে বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম ও স্পিড সব কিছুই ভালো নিয়ন্ত্রণে থাকে যদি টায়ার সচল থাকে। বাইকের গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ের সাথে টায়ার জড়িত রয়েছে। তাই টায়ারের যত্ন নেওয়া মানে নিজের নিরাপদ রাইডিং নিশ্চিত করা।

বাইকের অন্যান্য পার্টস এর মধ্যে টায়ার এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাহিরের কড়া রোদ, বৃষ্টি, ঝড় এসব কিছু সবচেয়ে বেশি সহ্য করে বাইকের টায়ার। অথচ টায়ারের যত্ন করতে বেশ অবহেলা দেখায় বেশিরভাগ চালকেরা।

বাইকের টায়ার সঠিক প্রেশারে না থাকলে মাইলেজ কমে যায় এবং পারফরম্যান্সের ব্যাঘাত ঘটে। বাইকের সাসপেনশন থেকে শুরু করে বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম ও স্পিড সব কিছুই ভালো নিয়ন্ত্রণে থাকে যদি টায়ার সচল থাকে। বাইকের গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ের সাথে টায়ার জড়িত রয়েছে। তাই টায়ারের যত্ন নেওয়া মানে নিজের নিরাপদ রাইডিং নিশ্চিত করা।

মনে রাখবেন ম্যানুফ্যাকচার দ্বারা নির্ধারিত টায়ার প্রেশার বজায় রাখলে বাইকের কন্ট্রোলিং পাওয়ার বৃদ্ধি পায়।

ভিডিওঃ--

বাইকের টায়ার প্রেশার কখন চেক করা প্রয়োজন

কিছু সঠিক নিয়মে টায়ার প্রেশার চেক করার উপায় রয়েছে। বাইকের টায়ার প্রেশার চেক করার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো যখন বাইকের টায়ার ঠাণ্ডা অবস্থায় থাকবে। রাতে বা সকালে যেকোনো সময়ে আপনি টায়ার প্রেশার মেপে দেখতে পারেন। তবে এর জন্য আপনার বাইকের টায়ার ঠান্ডা বা স্বাভাবিক তাপ মাত্রায় থাকা বেশি প্রয়োজন।

বাইকের টায়ার প্রেশার বেশি বেড়ে গেলে কি করবেন

বাইকের টায়ার প্রেশার নরমাল থেকে যদি বেশি বেড়ে যায়, সেক্ষেত্রে টায়ার থেকে প্রয়োজন মতো অতিরিক্ত বাতাস বের করে ফেলা উত্তম। একটু একটু করে টায়ার থেকে বাতাস ছেড়ে দিলে টায়ারের মধ্য থেকে অতিরিক্ত চাপ কমে আসে। এখানে খেয়াল রাখতে হবে যেন টায়ার প্রেশার আগের মতো নরমাল হয়ে যায়। এতে আপনার বাইকের টায়ার ক্ষতি হওয়া থেকে নিরাপদ থাকবে। পরবর্তীতে, ভালো ব্র্যান্ডের একটি প্রেশার গজ দিয়ে পরীক্ষা করে নিন আপনার টায়ার প্রেশার স্বাভাবিক আছে কি না।

টায়ার প্রেশার বেশি থাকলে বাইক চলার সময় একটু বেশি ঝাঁকুনি অনুভব হবে। এমতাবস্থায়, বাইক রাইডিং এর সময় হঠাৎ ব্রেক করলে বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যেতে পারে। টায়ারে হাই প্রেশার থাকলে গ্রিপ পেতে অসুবিধা হয়।

ভিডিওঃ--

অন্যদিকে, অধিক প্রেশারের ফলে বাইক পাংচার হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে এবং ব্রেকিং সিস্টেমে সমস্যার সৃষ্টি হয়। সুতরাং, টায়ার প্রস্তুতকারকের নির্ধারিত ম্যানুয়াল অনুযায়ী বাইকের টায়ার প্রেশার সেট করে নিতে হবে। টায়ারের প্রেশার স্বাভাবিক থাকলে নিরাপদে দীর্ঘ পথ চলা সম্ভব হয়।

টায়ার প্রেশার বেশি কমে গেলে করণীয় কি

আপনার বাইকের টায়ার প্রেশার যদি বেশি কমে যায় সেক্ষেত্রে বাইসাইকেল পাম্প ব্যবহার করে নরমাল প্রেশারে নিয়ে আসতে পারেন। এই পদ্ধতিও বেশ কার্যকর। প্রতিবার বাইকে ফুয়েল নেবার পর টায়ার প্রেশার চেক করা উচিত। যদি দীর্ঘদিন বাইক না ব্যবহার করে থাকেন সেক্ষেত্রে প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর চেক করানো উত্তম। এই নিয়মগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার বাইকের টায়ারের সঠিক খেয়াল রাখতে পারবেন।

টায়ার প্রেশার কম থাকলে কি কি লক্ষণ দেখা যায়—-

১) টায়ারের দুইপাশ ক্ষয় হয়ে যায়

২) বাইকের গতি আগের তুলনায় কমে যায়

৩) ফুয়েল খরচ বেড়ে যায়

৪) বাইক সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়না

৫) টায়ার ডেবে যায়

৬) টায়ারের তাপমাত্রা বেড়ে যায়

৭) টায়ারের আকৃতি ও সাইজের ক্ষতি হয়

ভিডিওঃ---

কিছু কমন প্রশ্ন ও উত্তর

টায়ার প্রেশার কম থাকলে কি কি লক্ষণ দেখা যায়?

বাইকের গতি আগের তুলনায় কমে যায়, ফুয়েল খরচ বেড়ে যায়, টায়ার ডেবে যায় এবং বাইক সহজেই নিয়ন্ত্রণে আসে না।

টায়ার প্রেশার পরিমাপের জন্য কি ব্যবহার করা হয়?

টায়ার প্রেশার গজ অর্থাৎ প্রেশার পরিমাপের যন্ত্র দিয়ে বাইকের টায়ার প্রেশার পরিমাপ করা হয়।

টায়ার প্রেশার মাপার আগে কি করা প্রয়োজন?

বাইকের টায়ার বেশি গরম থাকলে সঠিকভাবে পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না ফলে বাইকের প্রেশার মাপার ক্ষেত্রে ভুল হয়। টায়ার বেশি গরম থাকলে প্রেশার মাপা উচিত নয়। অবশ্যই, আপনার বাইকের টায়ার প্রেশার মাপার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন টায়ার ঠান্ডা আছে কি না।

টায়ারের কত পিএস আই প্রেশার রাখতে হবে?

টায়ারের কত পিএস আই প্রেশার রাখতে হবে তা আপনার বাইকের পিছনের চাকার উপরেই উল্লেখ করা আছে।

আরো পড়ুন