Which engine oil is a best for motorbike

আগস্ট 20, 2020

Which engine oil is a best for motorbike

মোটর সাইকেলের গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস হলো ইঞ্জিন অয়েল। মোটর সাইকেল বা মোটর বাইকে ইঞ্জিন অয়েলের কাজ হলো ইঞ্জিনকে পিচ্ছিল রাখা যেন সহজে ইঞ্জিনের পার্টস মুভমেন্ট হয়। এবং একই সাথে এই ইঞ্জিন অয়েল ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া সঠিক আউটপুট পাওয়ার জন্য ইঞ্জিনের ভেতরে ময়লা জমলে ইঞ্জিন অয়েল সেটা পরিষ্কার করে। ইঞ্জিন অয়েলের মূল নাম হলো মোটর ওয়েল বা ইঞ্জিন লুব্রিকেন্ট কিংবা ইঞ্জিন অয়েল।

বাইকের চাকা একদিকে টানে কেন ?

New Bike কেনার সময় যে বিষয় গুলা মাথায় রাখবেন

বাইকের ইঞ্জিন বেশি গরম হচ্ছে ?

প্রথমেই আসা যাক ইঞ্জিন অয়েলের গ্রেড নিয়ে। বাংলাদেশের অন্যতম বিতর্কিত একটি বিষয়। কোন গ্রেড ব্যবহার করবো, কেন করবো। অন্যটি কেন করবো না। এর সবচেয়ে সহজ উত্তর হচ্ছে আপনার বাইকের ইঞ্জিন স্ট্রাকচার। আপনার মোটরসাইকেলটি তৈরি করার আগে ম্যানুফ্যাকচারাররা কোটি কোটি ডলার খরচ করে রিসার্চ করেছে এবং আপনার ইঞ্জিনের জন্য সবচেয়ে ভালো কি হবে সেগুলো নির্ধারন করেছে। তাই বাইকের ইউজার ম্যানুয়ালে যে গ্রেড লেখা থাকবে, সব সময় সেই গ্রেড ব্যবহার করবেন।

বাইকে ব্যবহার যোগ্য যতসব ইঞ্জিন অয়েল

ক্লাসিফিকেশনঃ

বাজারে সাধারণত তিন ধরণের ইঞ্জিন অয়েল পাওয়া যায়। মিনারেল, সেমি-সিন্থেটিক এবং সিন্থেটিক

মিনারেল অয়েলঃ মিনারেল অয়েল হচ্ছে ক্রুড অয়েলকে সামান্য রিফাইন করে যা বাজারজাত করা হয় এবং এর দাম বেশ সস্তা। সিংহভাগ মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারার মিনারেল অয়েল রিকমেন্ড করে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে একটি মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ৮০০-১০০০ কিলোমিটারের ভেতর পরিবর্তন করা উচিত।

একা রাইডিং এ ভয় পাচ্ছেন?

সেমি-**সিন্থেটিক** অয়েলঃসেমি-সিন্থেটিক অয়েল মিনারেল অয়েলকেই আরও কয়েক ধাপে রিফাইন করে এবং অ্যাডিটিভ যোগ করে তৈরি করা হয়। এর ড্রেইন ইন্টারভাল মিনারেলের চেয়ে বেশি এবং দামও বেশি। সাধারণত একটি সেমি-সিন্থেটিকইঞ্জিন অয়েল ২০০০-২২০০ কিলোমিটার চালানো যায়।

New Bike কেনার সময় যে বিষয় গুলা মাথায় রাখবেন

সিন্থেটিক অয়েলঃসিন্থেটিক অয়েল পুরোপুরি ল্যাবে তৈরি এবং সর্বোচ্চ পারফরমেন্স নিশ্চিত করে। এটির ড্রেইন ইন্টারভাল তুলনামূলক অনেক বেশি এবং দামও বেশ খানিকটা বেশি। সিন্থেটিক সাধারণত লিকুইড কুলড বাইকে ব্যবহার করা হয়।

কেন বাইকের ইঞ্জিন অয়েল কমে যায়

মিনারেল অয়েল এবং সিন্থেটিক অয়েল এর মধ্যে পার্থক্য কি?

মিনারেল এবং সিনথেটিক এর মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে অনু। মিনারেল এর অণুগুলো নির্দিষ্ট আকারে থাকে না। কারণ বেজ অয়েল গুলোর মধ্যে মিনারেল হচ্ছে প্রথম স্টেপ। মোটকথা মিনারেল অয়েলে বিভিন্ন আকারের অনু থাকে যে কারণে মিনারেল অয়েল এর শক্তি সঠিকভাবে কাজ করে না। কখনো দ্রুতগতিতে আবার কখনো ধীরগতিতে কাজ করে এর অণুগুলো। বলা যেতে পারে মিনারেল অয়েল এর অণুগুলো অনেকটাই নিয়ন্ত্রনহীন।

Motorcycle Timing Chain Problem

Motorcycle Mileage problem?

কিন্তু সিন্থেটিক অয়েলের মধ্যে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন এখানে মলিকিউলার অথবা অনু গুলো কতটা নিয়ন্ত্রিত। অনুর আকারে যেমন এক তেমনি এর নিয়ন্ত্রণ থাকে সঠিক এবং কার্য ক্ষমতা থাকে সব সময়।

নতুন বাইকে কোনটি ব্যাবহার করবেনঃ

একটি বাইকের ফুয়েল ইকনোমি বহুলাংশে ইঞ্জিনের অয়েল উপর নির্ভর করে। ইঞ্জিন অয়েল ইঞ্জিনের কম্পোনেন্ট এর মাঝে ফ্রিকশন কমায় এবং এদের লুব্রিকেসনের সহায়তা করে। ভালো ইঞ্জিন অয়েল এবং সঠিক গ্রেড এবং মানের ইঞ্জিন অয়েল আপনার স্বাভাবিক পারফরম্যান্স ১/২% পার্সেন্ট বাড়িয়ে দিবে।

বাইকের ইঞ্জিন বেশি গরম হচ্ছে ?

এক্ষেত্রে আপনি প্রথমেই সিন্থেটিক নির্বাচন করতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই।

সিন্থেটিক, মিনারেল, সেমিসিন্থেটিক অথবা সিন্থেটিক টেকনোলজির ইঞ্জিন অয়েল এগুলো সাধারণত নির্ভর করে যেসব দেশের আবহাওয়া খুব বেশি পরিবর্তন হয়। যেমন ধরেন শীতপ্রধান এলাকা যেখানে (-) ডিগ্রী তাপমাত্রা রয়েছে বা যেখানে অত্যাধিক পরিমান গরম এলাকা। গুলোতে সাধারনত আপনাকে সিন্থেটিকস মিনারেল অথবা সেমি সিন্থেটিক এগুলো বিবেচনা করে বাইক চালাতে হবে।

ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ কি, কেন, কিভাবে?

আমাদের মত নাতিশীতোষ্ণ এরিয়া গুলোতে যেখানে তাপ এবং ঠাণ্ডা সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে সেসব এরিয়াতে আপনি আপনার বাইকের ম্যানুয়াল থেকে গ্রেড নির্বাচন করে আপনি যে কোন একটি ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনার জন্য বেস্ট চয়েজ হতে পারে সিনথেটিক ইঞ্জিন অয়েল যেটা আপনি শুরু থেকেই ব্যবহার করতে পারেন। আগেই বলেছি সিন্থেটিক ইঞ্জিনে অয়েল অণুগুলো একদম সমান পর্যায়ে থাকার কারণে এটার ফ্রিকশান হয় অনেক বেশি মসৃণ এবং সিনথেটিক ইঞ্জিন অয়েল আপনার বাইকের পারফরম্যান্স মাইলেজ অনেকাংশে বেড়ে যাবে যদি আপনি এখন মিনারেল ইউজ করে থাকেন।

আরো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন