Why the authorities chose red-yellow-green for traffic signals?

জুলাই 06, 2021

Why the authorities chose red-yellow-green for traffic signals?

রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতির সংকেত। লাল বাতি জ্বলতে দেখে গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আল জ্বলন্ত সবুজ বাতি দেখে অবাধে এগিয়ে চলে। নগরবাসী প্রায় সবাই এই নিয়ম জানেন। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, নীল রং এগিয়ে চলার এবং বাদামি রং থেমে যাওয়ার সংকেত নয় কেন? কর্তৃপক্ষ কেন লাল-হলুদ-সবুজকেই বেছে নিল? নিশ্চয়ই এর সুষ্ঠু ব্যাখ্যা আছে।

লাল মানে থামতে হবে, আর সবুজ মানে এগোতে হবে—এই ধারণা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে ট্রাফিক বাতি ছাড়াও নানা ক্ষেত্রে প্রভাবিত করেছে। ছোটবেলা থেকে আমরা শিখেছি, লাল মানে বিপদ আর সবুজ মানে সব ঠিকঠাক আছে—এগোনো যাবে।

রাস্তায় রাস্তায় মোটরগাড়ির জন্য ট্রাফিক বাতিগুলোর আগে থেকেই রেলগাড়ির ট্রাফিক সিগন্যালের প্রচলন ছিল। রেল কোম্পানিগুলো প্রথম দিকে লাল রং ব্যবহার করে থামার সংকেত, সাদা রং দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সংকেত আর সবুজ রং ব্যবহার করে সাবধানতার বার্তা দিত। তবে এ নিয়ে ট্রেনের পরিচালকেরা কিছু অসুবিধায় পড়েন।

বিশেষত, সাদা রঙের ব্যবহার নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। যেমন: একজন ট্রেনচালক একটা উজ্জ্বল নক্ষত্রকে সাদা বাতি বলে ভুল করলেন এবং ভাবলেন এগিয়ে চলার পথ উন্মুক্ত আছে। এ রকম ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ে কোম্পানিগুলো একটা সময় এগিয়ে চলার সংকেত হিসেবে সবুজ রঙের ব্যবহার শুরু করল। সেই থেকে রীতিটির প্রচলন এখনো বহাল রয়েছে।

এবার লাল রঙের প্রসঙ্গ। এটা বরাবরই বিপদের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, এমনকি মোটরগাড়ি আসারও অনেক আগে থেকে। লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি। তাই এটা অনেক দূর থেকেও দেখা যায়। সেই বিবেচনায় লাল অন্যান্য রঙের তুলনায় এগিয়ে। এটাই সম্ভবত এই রংকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কারণ। হলুদ রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য লালের চেয়ে কিছুটা কম, তবে সবুজের মতো এতটা কম নয়, সে কারণেই এটি বেছে নেওয়া হয়েছে।

তবে বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, হলুদ একসময় থেমে যাওয়ার সংকেত ছিল। উনিশ শতকের শুরুতে কয়েকটি জায়গায় থামার সংকেত হিসেবে হলুদ বাতি ব্যবহার হতো। কারণ, আলো কম থাকলে লাল রংটা দূর থেকে দেখতে পাওয়া কঠিন। ঘটনাক্রমে উচ্চ প্রতিফলন ক্ষমতাসম্পন্ন বাতি বানানোর উপাদান তৈরি হয়ে যায় এবং থামার সংকেত হিসেবে হলুদকে পেছনে ফেলে লাল রঙের সংকেত চালু হয়। তবে হলুদ রংটা দিনের পুরোটা সময় ভালোভাবে দৃশ্যমান বলেই তাই বিভিন্ন বিদ্যালয় এলাকা, কিছু ট্রাফিক সংকেত এবং স্কুল বাসে রংটির ব্যবহার অব্যাহত রয়েছে।

তাই পরেরবার যখন কোনো ট্রাফিক আলোর সামনে অপেক্ষমাণ অবস্থায় ধৈর্য হারানোর উপক্রম হলেও বাতিগুলোর প্রতি খুব বেশি রাগ পুষে রাখবেন না। কারণ, ওরা দীর্ঘ পথ পেরিয়ে আজকের জায়গায় এসে পৌঁছেছে!

তথ্য সুত্রঃ প্রথম আলো