আধুনিক ইঞ্জিন সম্পর্কে 5 টি জিনিস আপনি জানেন না

সেপ্টেম্বর 13, 2019

আধুনিক ইঞ্জিন সম্পর্কে 5 টি জিনিস আপনি জানেন না

মোটরসাইকেলের জন্মলগ্ন থেকে প্রতিদিন বাইকের উৎপাদন পক্রিয়ার উন্নতি হচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। আসছে উন্নত মানের যন্ত্রাংশ আর কমছে খরচ বাড়ছে চাহিদা। একটা সময় মোটরসাইকেল মানুষের কাছে বিলাসিতার বস্তু ছিল কিন্তু এখন বাইক আর বিলাসিতা নয়। বাইককে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক বেবসা, জীবিকা নির্বাহ করছে হাজার হাজার মানুষ।

আর যে জিনিস টা মানুষের প্রয়োজন সেটার সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহ থাকে প্রচুর। সেটা ভালো রাখতে থাকে নানান প্রচেষ্টা।

আর এমনি এক ভালোবাসার আর প্রয়োজনীয় বস্তুর নাম মোটরসাইকেল।

এই নিবন্ধে, আমরা আপনাকে জানাব যে নতুন প্রজন্মের বাইকের ইঞ্জিনগুলি কীভাবে তাদের পুরানো সমানুপাতিকদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে পৃথক, পাশাপাশি এটাও জানাবো, সাধারণভাবে লোকেদের ইঞ্জিন সম্পর্কে রয়েছে এমন কিছু অসত্য ধারণা বিষয়ে…

বেশিরভাগ আধুনিক ইঞ্জিনগুলি এত নির্ভুলভাবে তৈরি যে তাদের আসলে কোনও ব্রেকিংয়ের দরকার নেই

প্রায় সকলেই শুনেছেন নতুন বাইক কেনার পরে অনেকেই পরামর্শ দেয় ব্রেকিং পিরিওড মেনে চলার। ব্রেকিং পিরিওড টা কি ?

ব্রেকিং পিরিওড হল, বেশ কিছু ধাতব যন্ত্রাংশ দিয়ে মোটর সাইকেল বা বাইকের ইঞ্জিন তৈরি হয়। আরো সহজ ভাষায় বললে এই ধাতব যন্ত্রাংশগুলো ছাড়া ইঞ্জিন তৈরি সম্ভব হয় না। চেষ্টা করা হয় যথেষ্ট নিখুঁত ভাবে এগুলো স্থাপনের কিন্তু তারপরও কিনারার দিকটায় অমসৃণতা থেকে যেতে পারে। আর বিশেষ করে পিষ্টনের রিং গুলো সঠিকভাবে মসৃণ হওয়া বাঞ্চনীয়। ইঞ্জিনে ব্যবহৃত এই ধাতব যন্ত্রাংশ গুলো সঠিকভাবে মৃসন হওয়ার সময় দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ নিয়মে নতুন মোটর সাইকেল বা বাইক চালাতে হয়, মূলত এই নিয়মটাকেই ব্রেক – ইন – পিরিয়ড বলা হয়।

বিভিন্ন সময় বাইকারদের প্রশ্ন করতে দেখি যে ভাই আমি তো ভুলে ৯০/১০০ তে বাইক চালিয়ে ফেলেছি, আমার বাইকের ইঞ্জিনের কি কোন ক্ষতি হয়ে গেল?

কিন্তু আশার কথা হচ্ছে যে, আধুনিক যে বাইক গুলা বাংলাদেশে আসছে সেগুলতে জদি আপনি কয়েকবার ৯০/১০০ তুলেও ফেলেন তাতে কোন ক্ষতি হবে না উপরন্তু আপনি শুরু থেকেও যদি না মানেন তাও সমস্যা হবে না।

আধুনিক যে হাই সি সি এর বাইক গুলা বাংলাদেশে আসছে প্রায় সবগুলাই স্পোর্টস বাইক। আর স্পোর্টস বাইকে সচরাচর ব্রেকিং পিরিওডের দরকার হয় না। তবে আপনি মেনে ব্রেকিং পিরিওড মেনে চললে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই।

উচ্চ আরপিএম এ অধিক পাওয়ার

আধুনিক ইঞ্জিনগুলি তাদের পুরানো ইঞ্জিনের তুলনায় অনেক বেশি রোটেশান করতে পারে। একটা সময় ছিল যখন ৫০০০ আরপিএম এর বাইক খুজে পাওয়া স্বপ্নের মত ছিল। এমন সময় এর থেকে খুব দূরে চলে গেছে, আজ 12,000 আরপিএম সম্রিধ ইঞ্জিনের বাইক অস্বাভাবিক নয়। আধুনিক ইঞ্জিনগুলি উন্নত ধাতব দিয়ে নির্মিত যা ওজনে হালকা, আবার তাদের পূর্বের চেয়ে আরও চাপ এবং উত্তাপ নিতে সক্ষম।

একটা ধারনা আমাদের সবার মদ্যে আছে যে উচ্চ আরপিএম সম্ম্রিধ বাইকে ফুয়েল খরোচ বেশি। আসোলে কি পরিমাণ ফুয়েল খরচ হবে তা নির্ধারিত হয় নির্মাণশৈলী কারনে।

আধুনিক ইঞ্জিনগুলি হালকা ওজনের

আগে বাইকের ইঞ্জিনের বডি তৈরিতে ব্যাবহার হত ঢালাই লোহা আর এখন ব্যাবহার হচ্ছে প্রক্রিয়াজাত অ্যালুমিনিয়াম ও এলয় ধাতব দিয়ে। ফলে বাইকের ইঞ্জিন আর হাল্কা হচ্ছে সেই সাথে মজবুত ও হচ্ছে।

এটি কেবল জ্বালানী দক্ষতা বৃদ্ধি করে না, এটি তাদের উল্লেখযোগ্যভাবে আরও শক্তি উত্পাদন করতে সহায়তা করে। ইঞ্জিনের ভেতর পার্টস গুলিও হালকা তবে উচ্চ শক্তি সম্পন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি। আপনি লক্ষ্য করবেন যে মোটরস্পোর্টে ব্যবহৃত উচ্চ-পারফরম্যান্স ইঞ্জিনগুলি সাধারণত আল্ট্রা-লাইটওয়েট।

আধুনিক ইঞ্জিনগুলি কম তাপ উৎপাদন কারি ও অধিক নির্ভরযোগ্য

আধুনিক ইঞ্জিন গুলিতে ইঞ্জিনের নকশায় পরিবর্তন, আরও ভাল উপকরণ, জ্বালানি পোড়াতে উন্নত প্রযুক্তি, বায়ু-জ্বালানী মিশ্রণকে বৈদ্যুতিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা এবং নির্ভুল ইনজেক্টর দিয়ে দক্ষতার সাথে চালিত হয় বলে, শীতল অবস্থায় শক্তি উত্পাদন করতে পারে।

বাইক চালালে ইঞ্জিন গরম হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আধুনিক বাইকের ইঞ্জিনে এমন সব প্রযুক্তি ব্যাবহার হয়েছে যার ফলে বাইক আগের তুলোনায় গরম কম হয় আর কুলিং সিস্টেম থাকায় ঠাণ্ডা হয় তাড়াতাড়ি।