কিভাবে বাইকের টায়ারের স্থায়িত্ব বাড়াবেন?

জুলাই 09, 2019

কিভাবে বাইকের টায়ারের স্থায়িত্ব বাড়াবেন?

মোটরসাইকেল একটা ভালোবাসার নাম। একজন বাইকারের সামান্য দুরোত্ত বাইক ছাড়া অতিক্রম করতে ভালো লাগে না। আর আপনি যত বেশি রাইড করবেন স্বভাবতই আপনার বাইকের টায়ারের স্থায়িত্ব কমতে থাকবে।

হয়ত একজন পেশনেট বাইকারের কাছে একটা টায়ারের মূল্য খুব বেশি না। কিন্তু আপনি ভেবে দেখেছেন? নতুন টায়ার, টায়ার লাগানোর খরচ, আবার এই টায়ারের সাথে আপনার সখ্যতা গড়ে ওঠা সাথে টায়ার পরিবর্তনের বিড়ম্বনা সবমিলিয়ে বিরাট এক ঝামেলার কাজ।

কিন্তু একটু সচেতন হলেই আপনি আপনার বাইকের টায়ারের স্থায়িত্ব বাড়িয়ে ফেলতে পারেন। তো চলুন জেনেনেই সেইসব টিপস গুলো।

#টায়ার প্রেসারঃ সঠিক টায়ার প্রেশার বাইকের টায়ারের স্থায়িত্তের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। অধিক টায়ার প্রেশার যেমন টায়ারকে ভেতর থেকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে থাকে তেমনি বাইরের অংশ বেশি শক্ত হবার কারনে ঘর্ষণের ফলে বাইরে থেকে ক্ষয় হতে থাকে। আবার কম টায়ার প্রেশার বাইকের টায়ারের সাথে সাথে চাকার রিমকেও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার বাইকের টায়ার প্রেশার চেক করা উচিৎ।

#সার্ভিস পয়েন্ট: শুধুমাত্র টায়ার নয়, পুরো বাইকের স্থায়িত্তের সাথে একটি ভালো সার্ভিস পয়েন্ট এর সম্পর্ক রয়েছে। যে এয়ার পাম্প থেকে টায়ারে বাতাস ভরা হচ্ছে তা ফ্রেশ আছে কিনা, যে যন্ত্র দিয়ে চাকার নজেলের সাথে লাগানো হচ্ছে তা যথার্থ আছে কিনা বা যে মেশিন দিয়ে টায়ারের প্রেশার চেক করা হচ্ছে তা সঠিক আছে কিনা, তাও গুরুত্ব পূর্ণ । বাইকের টায়ারের সাথে পুরো বাইকের সু স্বাস্থ্যের জন্য ভালো সার্ভিস পয়েন্টের কোন বিকল্প নেই।

#ভালো রাস্থাঃ বাইক চালানো সময় যথাসম্ভব ভালো রাস্থা নির্বাচন করুন। চালানো সময় ছোট খাট গর্তকে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই না। কিন্তু খেয়াল কোরে দেখবেন যে আপনার বাইক যতবার পাংচার হয়েছে তার বেশির ভাগের জন্য এই সব ছোট খাট গর্তই একমাত্র কারন। সেইসাথে রাস্থায় পড়ে থাকা ছোট ছোট নুড়ি পাথর বা গাড়ী/বাসের ভাঙ্গা কাচের টুকরো ক্ষতি করতে পারে বাইকের টায়ার কে। সপ্তাহে অন্তত একবার বাইকের টায়ার ভালো মত পরীক্ষা করুন, সারানোর মত ছোট খাট গর্ত সাড়িয়ে নিন।

#পিলিয়নঃ যারা রেগুলার পিলিয়ন নিয়ে চলাফেরা করেন তাদের বেশি নজর দেওয়া প্রয়জন। অতিরিক্ত ওজন টায়ারের সাথে বাইকের জন্যও ক্ষতিকর। পিলিওন নিয়ে চালাবার সময় নতুন ভাবে টায়ার প্রেশার সেট করে নিন। বাড়িয়ে নিতে পারেন সামান্য।

#পুরনো বাইকঃ আপনি যদি পুরাতন বাইক কিনে থাকেন, তবে টায়ারের প্রতি আরো যত্নবান হতে হবে। চেস্থা করবেন সরাসরি সূর্যের আলোতে পার্ক না করতে। এসি বা জেনারেটর থেকে নিঃসরিত রশ্মি বাইকের টায়ারের জন্য ক্ষতিকর। সেইসাথে যে কন প্রকার তেল থেকেও চাকাকে মুক্ত রাখতে চেষ্টা করুন।

#আপনার বাইকের টায়ার টি যদি কোন কারনে পাংচার হয়ে থাকে তবে খুব দ্রুত সাড়িয়ে নিন। অবশ্যই ভেতর ও বাইরে দু অংশেই। শুধু মাত্র একদিকে মেরামত ঝুঁকিপূর্ণ।

#মূলত টায়ার জেল ব্যবহার একটি সাময়িক সমাধান। এটি রিপেয়ার করার পর বেশী দিন টিকে না। আপনাকে আবশ্যই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টায়ারটি ঠিক করতে হবে।

আপনি যদি স্বাভাবিকভাবে বাইক চালান তবে আপনার বাইকের টায়ার খুব সহজেই ২০ হাজার কিমি পর্যন্ত চলতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা ৩০ হাজার কিমি পর্যন্তও চলতে পারে। তবে আপনি যদি হরহামেশাই হার্ড ব্রেক করেন বা টায়ার বার্ন করেন তবে খুব তারাতারিই নস্থ হয়ে যাবে। তবে আপনি যেভাবেই বাইক চালান না কেনো, আপনার নিজের ও বাইকের নিরাপত্তার জন্য টায়ারটি নিয়মিত প্রজবেক্ষন করবেন।