কোন বাইক কিনবো কেন কিনবো

সেপ্টেম্বর 17, 2019

কোন বাইক কিনবো কেন কিনবো

প্রায়শই বিভিন্ন বেক্তিকে প্রশ্ন করতে দেখি, তারা জানতে চান কি বাইক কিনবেন। আবার অনেকে কয়েকটি বাইক এর ছবি দিয়ে তার জন্য বাইক নির্বাচন করে দিতে বলেন।

বাইক কেনার সময় সবচেয়ে বেশি যে দুটো বিষয় আপনার প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ তা হল আপনার প্রয়োজন ও সামর্থ্য।

অনেকের স্পোর্টস বাইক পছন্দ কিন্তু তার দরকার ছিল কমিউটার বাইক। যেহেতু স্পোর্টস বাইকের জন্য একটু বেশি যত্ন নিতে হয় আর যত্ন না নেবার কারনে এই বাইক তার জন্য গলার কাঁটা। আবার কার সামর্থ্য আছে কমিউটার বাইকের কিন্তু সে ধার দেনা কবে হাই সি সি বাইক কিনেছে। এই ধার দেনা আর বাইকের মেন্টেনেন্স খরচ টানতে টানতে সে বিরক্ত।

মানুষের মন কখনো সন্তুষ্ট হয় না। আর তাই সখ আর বস্তবতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাইক পছন্দ করুন।

তো চলুন জেনে আসি বাইক নির্বাচনের জন্য আমাদের আর কোন কোন বিষয়ের দিকে সবচেয়ে বেশি প্রধান্য দেওয়া উচিৎ…

# প্রয়োজনঃ
বাইক কেনার সিধান্ত নেবার সময় সবার আগে যে বিষয়টি বিবেচনা করা দরকার তা হল কি কাজের জন্য আপনি বাইক কিনছেন?

আপনি কি ছাত্র? কলেজ বা ভার্সিটি জাওয়া আসার জন্য বাইক চাই, তাহলে আপনার স্টাইলিশ বাইক লাগবে।

নাকি আপনি বেবসায়ি? মাল ডেলিভারি দিতে হয়, তাহলে আপনার এমন বাইক লাগবে যেটার মাইলেজ ভাল আবার মেন্টেনেন্স খরচ কম।

নাকি বাইক আপনার পছন্দ? মাঝে মাঝে চালাবেন? তাহলে আপনি স্পোর্টস বাইক নিতে পারেন।

সবার আগে প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিন আর এই সকল বিষয় ভেবে আপনার জন্য বাইক নির্বাচন করুন।

# মেন্টেনেন্স খরচঃ
আপনি যে বাইক কিবেন বলে ভেবেছেন তার মেন্টেনেন্স খরচ কেমন? এই বাইকের মেন্টেনেন্স খরচ আপনার ইনকামের সাথে সামঞ্জস্য কিনা। যেমন, স্পোর্টস বাইকের মেন্টেনেন্স খরচ সবচেয়ে বেশি আনার কমিউটার বাইকের মেন্টেনেন্স খরচ কম। বাইকের সিসি যত বেশি হবে তত বেশি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় হবে। নিয়মিত মেন্টেনেন্স করতে না পারলে বাইক বেশি দিন টিকবে না। তখন পুরা ইনভেস্ট টাই জলে যাবে।

# সেইফটি ইস্যুঃ
রাইডিংয়ের সময় সেইফটি গিয়ারগুলি সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু বাইকের সেইফটি গিয়ার সবসময় রাখতে হয় যেমন হেলমেট। আবার রাইডিং এর উপর ভিত্তি করে সেইফটি গিয়ারের কম বেশ করতে পারেন। যেমন কমিওউটার বাইকের শক্তি কম আর গতিও কম, সুতরাং এই সব বাইক রাইডিং এর জন্য আপনাকে নি-গার্ড, হ্যান্ড গ্লাভস ইত্যাদি না পড়লেও চলবে। কিন্তু হাই সি সি বাইক চালানোর জন্য আপনার সবসময় এই গিয়ার গুলা পরার অভ্যাস থাকতে হবে। কারন নিরাপত্তাই প্রথম।

# রাইডিং স্টাইলঃ
বাইক কেনার পরেই মূলত খরচ শুরু হয়। আর আপনার চালানোর ধরনের উপর ভিত্তিকরে খরচের তারতম্য হয়ে থাকে। আপনি যদি ক্রেজি রাইডার হন স্পিডি রাইডার হন তবে আপনার মেন্টেনেন্স খরচ বেশি হবে যেমন নিয়মিত ব্রেক সু ক্লাচ কেবল, ফুয়েল খরচ ইত্যাদি বেশি হবে। আবার শান্ত বা নিয়ম মাফিক রাইডার হন তবে এই খরচ তুলনামূলক কম হবে।

# মাসিক ফুয়েল খরচঃ
ফুয়েল শেষ হচ্ছে আপনি নতুন ফুয়েল ভরছেন। কবার ভেবে দেখেছেন সব মিলিয়ে মাসে কত টাকার ফুয়েল আপনি খরচ করছেন। আপনার প্রয়োজন যদি বেশি হয় তবে আপনি লো সি সি এর বাইক যেগুলোর মাইলেজ অনেক বেশি সে গুলো নির্বাচন করুন।

বাইক নির্বাচনের ক্ষেত্রে উপরের বিষয় গুলি প্রাধান্য দিন। অনেক ক্ষেত্রে দেখবেন আপনার প্রয়োজন, সামর্থ্য সব কিছু মিলে যাবে একাধিক বাইকের সাথে। তখন কি করবেন? আমি যে কাজটি করেছি তা হলে চোখ বন্ধ করে মনের কথা শুনতে চেষ্টা করেছি। জার পক্ষে রায় আসবে নিয়ে নিবেন। সকল বাইকের ভালো ও খারাপ দিক দুটোই আছে।