ক্লাচ দীর্ঘ দিন ব্যাবহার এর টিপস

আগস্ট 23, 2019

ক্লাচ দীর্ঘ দিন ব্যাবহার এর টিপস

ক্লাচ বাইকের অন্যতম প্রধান অংশ। চাবি দিয়ে বাইক স্টার্ট করার পরে বাইক চালাতে ক্লাচের বিকল্প নেই।

অন্যদিকে, একজন ভালো রাইডার এর প্রধান গুন হল সচেতনতার সাথে রাইডের মাধ্যমে বাইকের মেন্টেনেন্স খরচ কমিয়ে আনা।

একটা নির্দিষ্ট সময় পড়ে বাইকের ক্লাচ পরিবর্তন করতে হয় ঠিক আছে। কিন্তু আপনি সচেতন হলে বাড়িয়ে ফেলতে পারেন ক্লাচের স্থায়িত্ব। তো চলুন এই রকম কিছু সচেতনতার ব্যাপারে ধারনা নেই…

#ক্লাচ লিভারের কম বেবহারঃ
বাইকের ক্লাচ লিভার যত কম ব্যাবহার করা যায় ততই ভালো। কারন ক্লাচের সাথে সরাসরি ইঞ্জিনের কানেকশান। বার বার বাইকের ক্লাচ চাপলে ইঞ্জিনে খারাপ প্রভাব পড়বে এটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু শহরের রাস্তায় এটাতো একদম অসম্ভব। ক্লাচ সবচেয়ে কম ব্যাবহারের সবচেয়ে সহজ পধত্তি হল বাইক ধিরে সুস্থে চালানো, উচ্চগতি ও তাড়াহুড়া পরিহার।

#ইঞ্জিন ব্রেকঃ
ইঞ্জিন ব্রেক করার জন্য প্রথমে বাইকের ক্লাচ না ধরে থ্রটল উলটা দিকে ঘুরিয়ে বাইকের এক্সেলারেশান কমিয়ে আনবেন এর পর আস্তে আস্তে পিছনের চাকার ব্রেক প্রেস করবেন। প্রয়োজনে সামনের ব্রেক বেবহার করবেন। এক্সেলাশান কমানো ও ব্রেক প্রেস করা এই দুটো কাজের মধ্য সমন্বয় আনতে হবে। প্রথমে এক্সেলারেশান কমাবেন তার পর পিছনের ব্রেক প্রেস করবেন। কাজ গুল আপনাকে কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যে করতে হবে। অনেকটা বাইক স্টার্ট দেবার সময় আমরা যেভাবে ক্লাচ ও থ্রটল এর কম্বিনেশান করি। এই পদ্ধতিতে আপনাকে ক্লাচ চাপতে হবে না বা গিয়ার কমাতে হবে না।

আবার যখন স্পিড বাড়াবার দরকার তখন থ্রটল ঘুরিয়ে স্পিড বাড়িয়ে নিবেন।

# গিয়ার পরিবর্তনঃ
শুরুতে বাইক চালানোর সময় গিয়ার চেঞ্জ করা বা ভালভাবে গিয়ার শিফট করে বাইক রান করানোটা একটু কঠিন কাজ ।
কিন্তু , আসল কথা হল , যদি বাইকের ক্লাচ , পিকআপ , এবং গিয়ার সম্পর্কে হালকা ধারনা থাকে এবং প্রাকটিস করা যায় তাহলে এটি খুবই সহজ কাজ । ত্তখন আপনি নিজের আজান্তেই সঠিক সময় সঠিক গিয়ারে প্রবেশ করতে পারবেন ।

গিয়ার পরিবর্তনের সময় খেয়াল রাখতে হবে জেন একই সাথে একাধিক গিয়ার যেন পরিবর্তন না হয়। গিয়ার বাড়াবার সময় এই কাজ টা কম হয় কিন্তু কমানো সময় আমরা অনেকেই একসাথে ২/৩ টা পরিবর্তন করে ফেলি। তাই একটা পরিবর্তনের পরে সামান্য চালিয়ে পরবর্তী গিয়ারে প্রবেশ করতে হবে।

#ক্লাচ লিভার সঠিক এডজাস্টমেন্ট বাইকের ক্লাচ লিভার সঠিক ভাবে এডজাস্ট করা না থাকলে গিয়ার পরিবর্তনের সময় বাজে শব্দ হতে পারে। কারন এটা সঠিক ভাবে এডজাস্ট করা না থাকলে আপনি হয়ত ফুল চেপে ধরে আছেন কিন্তু ইঞ্জিনের পাওয়ার থেকে যাচ্ছে আবার যতটুকু ছাড়া প্রয়জন ঠিক ততটুকু হচ্ছে না।

ক্লাচ লিভারের ফ্রিপ্লে থাকবে সাধারনত ১০-১৫ মিলিমিটার। যদি এর বেশি হয় তবে ক্লাচ ও থ্রটলের সঠিক এডজাস্ট হবে না।

স্বাভাবিক ভাবেই এটা প্রতি ৫০০-৮০০ কিমি পর পর নড়চড় হয়ে যাবে। ভালো হয় আপনি প্রতিবার সার্ভিস করাবার সময় এটা এডজাস্ট করে নিবেন।

একটা কথা আমরা বার বার বলি, বাইক চালাতে সচেতনতার শেষ নেই। আপনি যত বেশি নিয়ম মেনে বাইক চালাবেন তত বেশি নিরাপদ থাকবেন।