টায়ারের রং কালো হয় কেন?

ডিসেম্বর 13, 2022

টায়ারের রং কালো হয় কেন?
টায়ার তৈরি হয় রাবার দিয়ে, যার রং হালকা ধূসর। টায়ার মজবুত করতে এর সঙ্গে আগে মিশানো হতো জিংক অক্সাইড। যার দরুন টায়ার হয়ে যেত সাদা। কিন্তু এখনো জিংক অক্সাইড মেশানো হয়। তাহলে এমন হচ্ছে কেন? এর পিছনে রয়েছে এক গল্প।

টায়ারের রং কালো হয় কেন তার পিছনে একটি গল্প আছে।

ইতিহাস বলছে, আগে টায়ারের রং সাদা ছিল, হঠাৎ পরিবর্তন ঘটেছে। টায়ারের সাদা রংকে আভিজাত্যের প্রতীক বলা হত। "ক্লাসিক"গাড়ির পরিচয় ছিল সাদা টায়ার। যা পরিষ্কার করার জন্য নিতেও হতো বিশেষ ব্যবস্থা।

জানা যায়, টায়ার তৈরি হয় রাবার দিয়ে, যার রং হালকা ধূসর। টায়ার মজবুত করতে এর সঙ্গে আগে মিশানো হতো জিংক অক্সাইড। যার দরুন টায়ার হয়ে যেত সাদা। কিন্তু এখনো জিংক অক্সাইড মেশানো হয়। তাহলে এমন হচ্ছে কেন? এর পিছনে রয়েছে এক গল্প।

আরো পড়ুন

টায়ারের রং পরিবর্তনের বিষয়টি সর্বপ্রথম দেখেন সাংবাদিক ডেভিড ট্রেসি। তিনি ফোর্ড গাড়ির একটি মডেলে দেখেন কাল টায়ার। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো 1917 সাল থেকে টায়ারে কার্বন ব্লাক ব্যবহার শুরু করেন।তিনি জানান, গ্যাস বা তেলের অসম্পূর্ণ জ্বলনের ফলে সৃষ্টি হয় কার্বন ব্ল্যাক। এটি টায়ারকে ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।ফলে অতিরিক্ত গরমে ও টায়ার ফেটে যায় না। কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহারে টায়ারের কর্মক্ষমতাও বাড়ে। সংস্থাগুলোর দাবি, আগে যেসব টায়ারে কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার করা হতো না সেগুলো পাঁচ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত ভালোভাবে চলত। কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার শুরু করার পর টায়ার গুলো প্রায় 50 হাজার কিলোমিটার চলে।

মূল কথা হচ্ছে, কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহারের পিছনে অন্য আরেকটি কারণও রয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বুলেট তৈরিতে প্রচুর পরিমাণে জিংক অক্সাইড দরকার ছিল তাই টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা গুলো জিংক অক্সাইডের পরিবর্তে কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার শুরু করে বাধ্য হয়ে।

আরো পড়ুন

এরপর থেকে টায়ারে কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার শুরু হয়। তবে এখনো কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহারের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ জিংক অক্সাইড ও ব্যবহার করা হয়।বর্তমানে প্রায় 70 শতাংশ কার্বন ব্ল্যাকই টায়ার প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়। ফলের টায়ারের রং কালো হয়ে যায়।

আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন।

আরো পড়ুন