ঢাকাতে রাইডিং টিপস

ডিসেম্বর 04, 2019

ঢাকাতে রাইডিং টিপস

ঢাকা জ্যামের শহর। এই শহরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বাস, গাড়ি বাইকের সংখ্যা। জদি শুধু মাত্র বাইকের একটা ছোট পরিসংখ্যান দেই তবেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে…

পরিসংখ্যান বলছে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ঢাকা শহরে প্রায় ১,৩০,০০০ মোটর বাইক রেজিস্ট্রেশান হয়েছে। প্রতিবছর নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ছে। রাইড শেয়ারিং পরিষেবাদি চালু হওয়ার পরে গত দেড় বছরে সংখ্যাটি আকাশ ছোঁয়া।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী রাজধানীতে গত আট বছরে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। জুলাই ২০১৮ সালে ঢাকায় নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৯৫,০০০, ২০১০ সালে এটি ছিল মাত্র ২১০,০০০। উবার ও পাঠাও সহ রাইড শেয়ারিং পরিষেবা চালু হওয়ার পরে ২০১৩ সাল থেকে এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

এই শহরে নিরাপদ ভাবে বাইক চালানোর জন্য দক্ষতার কোন বিকল্প নেই। সামান্য এদিক সেদিক হলেই ঘটবে দুর্ঘটনা।

আজকে আমরা আলোচনা করবো ঢাকাতে নিরাপদ ভাবে রাইডিং করার বিষয়ে…

# কাগজ ও গিয়ার
এই শহরে বাইক নিয়ে বের হতে হলে আপনার সর্ব প্রথম যে বিষয় টি আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে তা হল বাইকের সকল কাগজ ও রাইডিং গিয়ার। বাইক চালানোর সময় কি কি পেপারস সাথে রাখবেন সে বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত একটি আর্টিকেল আছে। আর্টিকেলটি পড়তে ক্লিক করুন।

# সিগন্যাল এর ব্যাবহার
এমিতেই বাইক চালানোর সময় সিগন্যাল ব্যাবহার করতে হয়। কিন্তু ঢাকাতে আপনাকে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে বাইকের ইন্ডিকেটর ব্যাবহার এর পাশাপাশি হাত দিয়ে ইশারা করতে হয়।

সেই সাথে সড়কে ট্র্যাফিক সিগন্যালও যথাযথ মেনে চিলতে হবে। অনেক সময় সড়কে বিদ্যমান ট্র্যাফিক বাতি গুলা ফলো না করে ট্র্যাফিক পুলিশের নির্দেশনা মানতে হয়। সে বিষয়টির দিকেও নজর দিতে হবে।

# নিরাপদ ফুয়েল
বাইক চালানোর জন্য যে জিনিসটি আপনার সবচেয়ে বেশি দরকাল তা হল নিরাপদ ফুয়েল। ভালো ফুয়েল যেমন আপনার জ্বালানি খরচ কমাবে তেমনি ভালো রাখবে বাইকের ইঞ্জিন।

ঢাকার সব গুলো ফুয়েল পাম্প এর ফুয়েল ভালো না। এই জন্য আপনাকে নিরাপদ ফুয়েল পাম্প খুজে বের করতে হবে।

এখন ভালো ফুয়েল চিনবেন কি ভাবে? দুটো পধত্তি বলে দিচ্ছি। একটা হচ্ছে আপনি সচরাচর যে পাম্প থেকে ফুলে নেনে সেগুলা থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফুয়েল নিবেন ও কত কিলো গেল কোন পরিবর্তন হচ্ছে কিনা সেগুলো নটিস করে রাখবেন। প্রে সবগুলা মিলিয়ে যেটার ফল ভালো আসবে সেটা নির্ধারণ করবেন।

২য় ত ফুয়েল নেবার পর এর মোদ্ধে হাতের আঙ্গুন ভিজাবেন, এর পর একসাথে যতটুকু নিঃশ্বাস নেওয়া যায় তা নিয়ে আঙ্গুলে ফু দিবেন যদি দেখেন সাথে সাথে শুকিয়ে গেছে তবে বুঝবেন ভালো ফুয়েল। আর না শুকালে বুঝবেন ঝামেলা আছে।

# ভালো সার্ভিস সেন্টার
নিরাপদ ভাবে রাস্তায় বাইক চালানোর জন্য বাইকের সকল অংশ ওকে থাকা চাই। কোন অবস্থাতেই ত্রুটি যুক্ত বাইক নিয়ে রাস্থায় নামা যাবে না। বাইক ভালো রাখতে নিয়মিত সার্ভিস করা আবশ্যক। সবচেয়ে ভালো হয় সবসময় এক জায়গা থেকে বাইক সার্ভিস করালে।

এই জন্য দক্ষ মেকানিকের সার্ভিস সেন্টার খুজে বের করতে হবে।