পুরাতন বাইকের কিছু সমস্যা ও সমাধান

সেপ্টেম্বর 13, 2019

পুরাতন বাইকের কিছু সমস্যা ও সমাধান

পুরোনো বাইক একটা সম্পদ। তবে যদি আপনি এর সঠিক মেন্টেনেন্স করতে না পারেন তবে এটা আপনার গলার কাটা হয়ে দাড়াবে। নিয়মিত একের পর এক সমস্যা নিয়ে আসবে, আর আপনার কষ্টের উপার্জনের টাকা হু হু করে বের হতে থাকবে।

বাইক পুরাতন হলে আমাদের এর প্রতি আদোর ভালোবাসা কমে যায়। আমারা আগের মত আর যত্ন করতে চাই না বা করি না। ফলে কি হয় ? এরে ছাড়া তো আমরা চলতে পারি না সুতরাং চালাতেই থাকি আর এ আমাদের একের পর এক খরচের লিস্ট ধরিয়ে দিতে থাকে।

আজ কিছু টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করবো যে গুলো ফলো করলে আপনার পুরাতন বাইক একদম নতুনের মত হয়ে যাবে। কি সেই টিপস…

# ফুয়েল ট্যাঙ্কের মরিচাঃ

বাইক পুরোনো হয়ে গেলে ফুয়েল ট্যাঙ্কে মরিচা ধরতে পারে। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। আপনি যদি জ্বালানী ট্যাঙ্কে জং খুঁজে পান তবে এটি একটি বড় সমস্যা ও অবিলম্বে এতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার। অন্যথায়, এগুলি আরও ছোট ছোট টুকরা হয়ে জ্বালানী সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করতে পারে। ফলাফল এটি জ্বালানীর ফিল্টার এবং কার্বুরেটরগুলি আটকে নষ্ট করে দিবে।

বাজারে অনেক ধরনের এন্টি রাশ পণ্য পাওয়া যায় যা আপনাকে মরিচা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে। মরিচা স্ক্র্যাপ করার জন্য আপনি অ্যাব্রেসিভ ব্যাবহার করতে পারেন এগুল নাট বল্ট কে জং থেকে রক্ষা করবে। হাইড্রোক্লোরিক বা মুরিয়াটিক অ্যাসিড ব্যবহার করাও একটি ভালো সমাধান। তবে যখন করবেন সঠিক প্রতিরক্ষামূলক গিয়ার নিশ্চিত করে নিবেন।

# ভ্যাকুয়াম লিকঃ
চালু অবস্থায় বাইক অনেক সময় ধাক্কায়, আবার মাঝে মাঝে স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়, এর অন্যতম প্রধান কারন ইঞ্জিনে বাতাস ও ফুয়েলের মিশ্রন সঠিক ভাবে হচ্ছে না। আবার অন্যদিকে বিভিন্ন সিল দিয়ে ইঞ্জিনে উৎপাদিত শক্তি বের হয়ে যাচ্ছে।

বাইক পুরোনো হয়ে গেলে অনেক সময় যেই সব সিল গুলি রাবারের তৈরি সেগুলো শক্ত হয়ে যায়, ফলে দুটী ধাতব পাতের মাঝখানে এর কার্যকারিতা লোপ পায়।

কয়েকটি উপায়ে এই ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারেন, অন্যতম হচ্ছে একধরনের আঠা আছে যেগুলো আপনি ব্যাবহার করতে পারেন, অথবা একবারে পরিবর্তন করে নিতে পারেন।

# কার্বুরেটর ইস্যুঃ
কার্বুরেটরের সমস্যা আছে কিনা তা জানতে, ইঞ্জিনের দিকে মনোযোগ দিন। পুরানো মোটরসাইকেল এর সবচেয়ে বেশি যে অংশটির দিকে নজর দেওয়া দরকার তা হল কার্বুরেটর। সম্ভাবনা রয়েছে, আপনার মোটরবাইকটির পারফরম্যান্স বজায় রাখতে এটি পরিষ্কার বা পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন হবে। জ্বালানির সাথে আসা প্যাসেজগুলি সময়ের সাথে আটকে থাকতে পারে, যা কার্বুরেটরগুলিতে ক্ষতির কারণ হবে। আবার অনেক দিন ধরে মোটরসাইকেলটি অব্যবহৃত থাকলে এটি ঘটার সম্ভাবনা থাকে প্রচুর।

# Fork Oil লিকঃ
Fork Oil এর দাম খুব বেশি না। আবার একবার দিলে অনেক দিন পর্যন্ত চলে। তবে বাইক পুরোনো হলে মাঝে মাঝে এই তেল ফুরিয়ে যায়। তখন রিপ্লেছ করতে হয়। আপনি কখনোই চাইবেন না যে ব্রেক করার সময় হঠাৎ বাইকের ব্রেক কাজ না করুক। এই জন্য এই বষয়ে নজর দিতে হবে।

# টায়ারঃ
টায়ার পুরাতন হলে বদলে ফেলুন।প্রতিটি টায়ারের লোড নেবার একটি সর্বোচ্চ ক্ষমতা রয়েছে। টায়ারের গায়ে সেটি লেখা থাকে। অতিরিক্ত লোড বহন করলে টায়ার গরম হয়ে ক্ষয় হয়ে যায় এমনকি ফেটে যেতে পারে। টায়টাটুবকিআটায়ারের লোড ক্ষমতা বিশেষ নম্বর দিয়ে বলে দেয়া থাকে বা অনেক টাযারে সরাসরি উল্লেখ থাকে। যেমন ৩০ মানে তার ধারন ক্ষমতা ১০৬ কেজি, ৪০ মানে তার ধারন ক্ষমতা ১৪০ কেজি, বা ৯০ মানে তার ধারন ক্ষমতা ১৬০ কেজি।

আপনি কোনও পুরানো মোটরসাইকেল চালানো শুরু করার আগে এবং রাস্তায় এর সর্বোত্তম কর্মক্ষমতা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য, উপরে উল্লিখিত সমস্যাগুলির দিকে মনোযোগ দিন।