ফুয়েল চাবি নিয়ে যত কথা

আগস্ট 21, 2019

ফুয়েল চাবি নিয়ে যত কথা

ফুয়েল, বাইকের জন্য খাদ্য। আমরা সবাই জানি বাইক চালাতে ফুয়েল লাগে। কেউ হয়ত অকটেন ব্যাবহার করেন আবার কেউ পেট্রল ব্যাবহার করেন। যদিও দুটির মধ্যে খুব সামান্য পার্থক্য আছে।

কিন্তু যারা নতুন বাইক চালান তার অনেকই দিধাদন্দে থাকেন বাইকের ফুয়েল চাবি নিয়ে। অনেক রকম প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায়। এই চাবি কিভাবে কাজ করে? রিসার্ভে দিয়ে চালালে বা সবসময় অন করে চালালে বাইকের কোন ক্ষতি হয় কিনা? ইত্যাদি ইত্যাদি…

আসোলে যে কোন কিছুর সম্পর্কে ধারনা না থাকলে নানান প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাবে এটাই স্বাভাবিক। আর আপনার মাথায় যদি এই রকম কোন প্রশ্ন ঘুরপাক খায় তবে তা জানাতে ভুলবেন না কমেন্ট বক্সে…

আসু ইতিমধ্যে পাওয়া কিছু প্রশ্ন নিয়ে সামান্য আলোচনা করা যাক

সাধারণত যে সকল বাইকের ফুয়েল টেঙ্কে রিসার্ভ সিস্টেম আছে সেগুলোর তিনটি অংশ থাকে।

০১. অব্যাবহার যোগ্য ফুয়েলঃ
বাইকের টেঙ্কির একদম তলদেশে সামান্য কিছু ফুয়েল থাকে যা কখনোই ফুয়েল লাইন দিয়ে ইঞ্জিনে প্রবেশ করতে পারে না। এটা বাইকের টেঙ্কির নির্মাণ শৈলীর উপর নির্ভর করে কতটুকু ফুয়েল এই অংশে থাকবে।

০২. রিসার্ভ ফুয়েলঃ
টেঙ্কির নির্দিষ্ট একক অংশ ফুয়েল এই রিসার্ভ কি এর আণ্ডারে থাকে। তবে কি পরিমাণ ফুয়েল রিসার্ভের অন্ডারে থাকবে তা নির্ধারিত হয় প্রস্তুত কারক ভেদে। আমার দেখা কোন বাইকেই ১ লিটারের কম পাই নি। রিসার্ভ রাখার উদ্দেশ্য হল অন্য সকল অংশের ফুয়েল শেষ হয়ে গেলে এই রিসার্ভ ফুয়েল ব্যাবহার করে যেন ফুয়েল নেবার নির্দিষ্ট যায়গায় যাওয়া যায়।

০৩. নরমাল ফুয়েলঃ
উপরের দুই অংশ ছাড়া বাকি সকল অংশের ফুয়েল এই ভাগের দখলে। এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ধরেন আপনার বাইকের ফুয়েল টেঙ্কের ফুয়েল ধারন ক্ষমতা ১২ লিটার। ধরেন অবেবহিত ও রিসার্ভ মিলে ১.৫ লিটার, তাহলে বাকি সকল ফুয়েল (১০.৫ লিটার) এই ভাগের দখলে।

নিচের এই ছবিটির দিকে লক্ষ করুন

এবার আসুন বাইকের ফুয়েল কি নিয়ে সামান্য আলোচনা করা যাক।

রিসার্ভ যুক্ত বাইকের ফুয়েল কি এর তিনটি অবস্থান থাকে…

০১. অনঃ যদি আপনার বাইকের ফুয়েল কি অন থাকে তবে একদম উপরের অংশ থেকে ফুয়েল খরচ হতে থাকবে যতক্ষণ না পর্যন্ত বাইকের ফুয়েল রিসার্ভ লেবেলে না আসে। যখন রিসার্ভে আসবে তখন ফুয়েল আর ইঞ্জিনে প্রবেশ করতে পারবে না।

০২. অফঃ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝতে পারছেন, যখন বাইকের ফুয়েল কি অফ থাকবে তখন কোন অবস্থায় ফুয়েল ইঞ্জিনে প্রবেশ করতে পারবে না।

০৩. রিসার্ভঃ আপনি জদি রিসার্ভ অবস্থায় বাইক চালান তবে আপনার বাইকের ফুয়েল একবারে শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফুয়েল ইঞ্জিনে প্রবেশ করতে পারবে।

এবার আসুন কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাক

প্রশ্নঃ কোন অবস্থায় বাইক চালানো নিরাপদ, অন না অফ?

উত্তরঃ সবসময় বাইকের ফুয়েল কি অন করে চালানো নিরাপদ। কারন বাইকের ফুয়েল লেবেল যখন রিসার্ভে আসবে তখন আপনি সতর্ক হবার সুযোগ পাবেন। কিন্তু আপনি জদি সবসময় রিসার্ভে দিয়ে চালান, আপনি ভুলে গেলে রাস্থার মাঝখানে ফুয়েল শেষ হয়ে যাবে। কপাল খারাপ হলে ঠেলতে হতে পারে কয়েক মাইল।

প্রশ্নঃ সবসময় অন বা অফ করে চালালে বাইকের কোন ক্ষতি হবে কিনা ?

উত্তরঃ আসোলে বাইকের ফুয়েল কি এর সাথে ইঞ্জিনের সরাসরি কন ফাংশান নেই। অন থাকলে ফুয়েল ইঞ্জিনে যাবে, অফ থাকলে যাবে না। এই সুবিধা শুধুমাত্র আপনাকে সতর্ক করার জন্য। আপনি জদি সারা জীবন অন করে চালান তাতেও ইঞ্জিনে কোন ক্ষতি হবে না আবার রিসার্ভে থাকলেও হবে না।

যেকোন ভালোবাসার বস্তু সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বা প্রশ্ন থাকে বেশি। আর সন্তোষ জনক উত্তর সে ভালোবার বস্তুটির উপর ভালোবাসার পরিমাণ বাড়ায় বৈকি কমে না।