বাইক ইঞ্জিন ওয়েল ও কার ইঞ্জিন ওয়েল

ডিসেম্বর 04, 2019

বাইক ইঞ্জিন ওয়েল ও কার ইঞ্জিন ওয়েল

কখনো কি আপনার মনে এই প্রশ্ন এসেছে যে গাড়ি আর বাইকের ইঞ্জিন ওয়েলের মধ্যে কোন তারতম্য আছে কিনা? আমার এটা নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল কজ করতো। আমি সব সময় ভাবতাম দুটোই তো ইঞ্জিন, কাজ প্রায় একি। মনেহয় ইঞ্জিন অয়েলের কাজও একিই। আমার মত হয়তো এমন অনেকেই আছেন। বেশ কিছুদিন ধরে মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল, তাই এটা নিয়ে সামান্য স্টাডি করে যা অর্জন করলাম তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি…

সমস্ত তেল সমানভাবে তৈরি হয় না। গাড়ি এবং মোটরসাইকেলের তেলের ক্ষেত্রে এটি বিশেষত সত্য। নতুনদের ক্ষেত্রে, এটি ভাবা স্বাভাবিক যে হতে পারে আপনার গাড়ির তেল পরিবর্তন করা আপনার মোটরসাইকেলের তেল পরিবর্তন করার সমান। ভুল তেল ব্যবহার করা আপনার মোটরসাইকেলের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। যদিও তেল প্রক্রিয়া একই রকম হতে পারে তবে দুটি তেলের উদ্দেশ্য এবং গঠন আলাদা।

আসুন কি কি প্রকার বা গ্রেডের অয়েল রয়েছে সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।

মিনারেল অয়েল

প্রকৃতিতে পাওয়া যায় এমন অপরিশোধিত তেলকে পরিশোধনের পর যদি গাড়ির ইঞ্জিন চালনার জন্য ব্যবহার করা হয় তাহলে সেগুলোকে মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল বলা হয়। মিনারেল ইঞ্জিন অয়েলে কোনো ধরণের কেমিক্যাল যোগ করা হয় না। প্রাকৃতিক ভাবে যে তেল পাওয়া যায় সেটিই শুধু পরিশোধন করে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত ক্রুড অয়েল থেকে মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল পাওয়া যায়।

সিনথেটিক অয়েল

গাড়ির ইঞ্জিনের সেরা এবং সর্বোচ্চ পারফর্মেন্স নিশ্চিত করার জন্য যেসব তেল উচ্চমাত্রার পরিশোধিত এবং প্রয়োজনীয় রাসায়নিক কেমিক্যাল যুক্ত করে তৈরি করা হয়ে থাকে সেগুলোকে সিনথেটিক অয়েল বলা হয়ে থাকে। সিনথেটিক ওয়েলে যেসব কেমিক্যাল যুক্ত করা হয় সেগুলো ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুক্ত করা হয়ে থাকে।

সেমি সিনথেটিক অয়েল

সেমি সিনথেটিক বলতে সিনথেটিক এবং মিনারেল অয়েলের মিশ্রণকে বুঝানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ যেসব ইঞ্জিন অয়েলে একই সাথে প্রাকৃতিক এবং সিনথেটিক ওয়েল দুটোই থাকে সেগুলোকে সেমি সিনথেটিক অয়েল বলা হয়ে থাকে। মূলত মিনারেল অয়েলের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য তার সাথে সিনথেটিক অয়েল যুক্ত করে সেমি সিনথেটিক অয়েল তৈরি করা হয়ে থাকে। তবে এই দুই ধরণের অয়েলের মিশ্রনের অনুপাতে সিনথেটিক অয়েলের পরিমান সর্বোচ্চ ৩০% । বাকি ৭০ ভাগ মিনারেল অয়েল।

এখন আসেন মেইন প্রশ্নে, কেন গাড়ির ইঞ্জিন ওয়েল বাইকে আর বাইকার টা গাড়িতে ব্যাবহার করা যাবে না।

গাড়ি বা বাইকের ইঞ্জিনের কাজ প্রায় কাছাকাছি। আর এদের ইঞ্জিন অয়েলের কাজও প্রায় এক। যদি কাজ একি হয় তবে কেন একটির টা অন্য টায় ব্যাবহার করা যাবে না।

আসোলে দুটী ইঞ্জিন এর গঠন আলাদা, আর ইঞ্জিন অয়েলের যে কাজ তাও ভিন্ন ভিন্ন।

এই যেমন ধরেন ইঞ্জিন অয়েলের অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে ইঞ্জিন কে ঠাণ্ডা রাখা ইঞ্জিন কে পিচ্ছিল রাখা। কিন্তু একই সময় ধরে চলা বাইক আর গাড়ির ইঞ্জিন এর গরম হওয়া বা পচ্ছিলতার প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন।

আবার একই গ্রেডের বাইকের ও গারির ইঞ্জিন ওয়েলের ঘনত্তের তারতম্য থাকে আকাশ পাতাল।

তাই বাইকের টা গাড়িতে বা গাড়ির টা বাইকের ব্যাবহার, দুধ মনে করে বিষ পানের মত।

সুতরাং, বাইকের বিষয়ে যে কোন সিধান্ত নিতে সবার আগে অনার্স ম্যানুয়াল চেক করে নিবেন।