মাইলেজ বাড়াবে যে ৫টি কাজ

নভেম্বর 02, 2019

মাইলেজ বাড়াবে যে ৫টি কাজ

প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য আপনি যে ব্যয় করেন তা নিয়ে আপনি অংক কষলেন। অংকের ফলাফল আপনাকে একটা বাইক কেনার পরামর্শ দিল। আপনি আবার হিসেব মিলিয়ে দেখলেন একদিনের যাতায়াত খরচ দিয়ে ফুয়েল ভরলে আপনি দু-দিন যাতায়াত করতে পারবেন।

ব্যাস আপনাকে আর ঠেকায় কে? অংকের হিসেব আর আপনার পছন্দকে একসাথে করে নিয়ে নিলেন বাইক।

কিন্তু বাইক কেনার পরে আর হিসেব মিলছে না। যেখানে একবার ফুয়েল ভরে আপনি দু দিন যাতায়াত করবেন বলে ভেবেছেন সেখানে আপনাকে কোন কোন ক্ষেত্রে দিনে দুবার ফুয়েল নিতে হচ্ছে।

আবার নিজের হিসেব মিলাতে বসলেন, দেখলেন না সব ঠিক আছে। এই একই হিসেব মিলিয়ে অন্যরা সঠিক ফলাফল পাচ্ছে। আপনি পাচ্ছেন না।

আপনার চুল পাকানোর দরকার নেই। হিসেব মিলিয়ে দিচ্ছি আমরা। বাইকের সঠিক মাইলেজ পেতে এমন কিছু টিপস আজ শেয়ার করবো যা ফলো করলে খুব সহজেই বাড়বে আপনার বাইকের মাইলেজ…

# স্টার্টিং
দিনের শুরুতে বাইক স্টার্ট করে অন্তত ১ মিনিট অপেক্ষা করুন। বাইক নিয়ে বের হয়ে প্রথম ৪০০ মিটার RPM, ৩৫০০ এর নিচে রাখুন। আস্তে আস্তে গতি আর RPM বাড়াবেন। একবারে হঠাৎ গতি বাড়াবেন না। বাইকের RPM যত বেশি ফুয়েল খরচ তত বেশি হবে।

# শান্ত ভাবে চালান

বাইক চালানোর সময় তাড়াহুড়া করবেন না। হঠাৎ গতি বারিয়ে আকস্মিক ব্রেক বাইকের ফুয়েল খরচ বাড়িয়ে দেয়। তাড়াহুড়া রাইড আর শান্ত ভাবে রাইড, গন্তব্যে পৌছানোর ব্যবধান ৫/১০ মিনিট। এই ৫/১০ মিনিট বাঁচাতে তাড়াহুড়া করে রাইড আপনার বাইকের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি আপনার জীবনের জন্যও। চেষ্টা করুন বাইকের গতি ৫ম গিয়ারে ৬০/৬৫ এর মধ্যে রাখার। এই গতিতে বাইকের মাইলেজ ভাল পাওয়া যায়।

# টায়ার প্রেশার
সবসময় টায়ার প্রেশার একুরেট রাখার চেষ্টা করুন। এক্ষত্রে সামনে এবং পিছনে কত পিএস আই প্রেশার রাখতে হবে সেটি লেখা আছে আপনার বাইকের পিছনের চাকার আশে পাশেই । একটু চেস্টা করলেই খুজে পাবেন । আবার আপনার বাইকের সাথে দেওয়া অনার্স ম্যানুয়ালে লেখা আছে কত রাখতে হবে।

সাধারনত সামনে ২৯ এবং পিছনে ৩৩ রাখাই উত্তম তবে যাদের ওজন একটু বেশি বা পিলিয়ন নিয়ে চলেন তারা সামনে সর্বোচ্চ ৩৫ এবং পিছনে ৪০ পিএস আই রাখতে পারেন ।

# ভালো ফুয়েল বেবহার খারাপ ফুয়েল ব্যাবহার করলে বাইকের মাইলেজ কমে যাবে, ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হবে ও একটা সময় ইঞ্জিন ডাউন হয়ে যাবে। এই জন্য সব সময় ভালো ফুয়েল ব্যাবহার করতে হবে।

এখন ভালো ফুয়েল চিনবেন কি ভাবে? দুটো পধত্তি বলে দিচ্ছি। একটা হচ্ছে আপনি সচরাচর যে পাম্প থেকে ফুলে নেনে সেগুলা থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফুয়েল নিবেন ও কত কিলো গেল কোন পরিবর্তন হচ্ছে কিনা সেগুলো নটিস করে রাখবেন। পরে সবগুলা মিলিয়ে যেটার ফল ভালো আসবে সেটা নির্ধারণ করবেন।

২য় ত ফুয়েল নেবার পর এর মোদ্ধে হাতের আঙ্গুন ভিজাবেন, এর পর একসাথে যতটুকু নিঃশ্বাস নেওয়া যায় তা নিয়ে আঙ্গুলে ফু দিবেন যদি দেখেন সাথে সাথে শুকিয়ে গেছে তবে বুঝবেন ভালো ফুয়েল। আর না শুকালে বুঝবেন ঝামেলা আছে।

এছাড়াও কোথাও দাড়াতে হলে ছায়া আছে এমন যায়গায় দারাবেন। ৩০/৪০ সেকেন্ড এর বেশি সময় দাড়াতে হলে বাইকের স্টার্ট বন্ধ করে রাখবেন।