বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে মোটরবাইকের দাম খুব শিঘ্রই চলে যেতে পারে নাগালের বাইরে

নভেম্বর 19, 2022

বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে মোটরবাইকের দাম খুব শিঘ্রই চলে যেতে পারে নাগালের বাইরে
আমদানিনির্ভরতা বেশি বলেই বাংলাদেশ শুরু থেকেই ডলারের দর কৃত্রিমভাবে ধরে রাখার চেস্টা করেছিলো। ৮০ টাকার ওপরে ওঠা যাবে না—এই নীতি ছিল দীর্ঘদিন। কিন্ত শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ-ব্যাংক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারেনি।

বিশ্ব অর্থনীতির নানা সংকটের প্রভাব পড়ছে আমাদের দেশেও। বাড়ছে মূল্যস্ফীতি, চাঙা ডলারদর এই সংকট বাড়াচ্ছে আরও বেশি।

বিশ্বজুড়েই ডলারের দর চড়া।

এক বছরে ডলারের দর বেড়েছে ১৬ শতাংশ।

গত ২০ বছরের মধ্যে বিশ্বে ডলারের দর এখন সবচেয়ে বেশি। আর চাঙা ডলারের প্রভাবে বিপাকে আছে ছোট অর্থনীতির দেশগুলো।

বিপদে পড়েছে বাংলাদেশও।অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা।

আরো পড়ুন

আমদানিনির্ভরতা বেশি বলেই বাংলাদেশ শুরু থেকেই ডলারের দর কৃত্রিমভাবে ধরে রাখার চেস্টা করেছিলো। ৮০ টাকার ওপরে ওঠা যাবে না—এই নীতি ছিল দীর্ঘদিন। কিন্ত শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ-ব্যাংক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারেনি।

প্রতিযোগী দেশগুলোও তাদের মুদ্রা অবমূল্যায়ন করছে। স্থিতিশীল সময়ে ডলারের দর আরেকটু বাজারমুখী করা হলে তখনই পরিস্থিতির সঙ্গে সমন্বয় করা এখনকার তুলনায় সহজ হতো। সেটা করা হয়নি বলে ডলারের বাজার এখন অস্থির।

ইতিমধ্যে ফুয়েল বা জ্বালানি তেলের মুল্যে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। এই মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপক প্রভাব পড়েছে পরিবহন ও উৎপাদনমুখী ইন্ডাস্ট্রি সেক্টরে। ফলাফল পন্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি।

#

আরো পড়ুন

আমদানীর ক্ষেত্রে Non Essential Goods এর সকল LC বন্ধ আছে বর্তমানে। ব্যাংক নতুন করে LC ওপেন করাও স্থগিত রেখেছে। যদিও মোটরসাইকেল এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য হয়ে দাড়িয়েছে কিন্ত সরকারের নীতিনির্ধারকেরা এখনো এটাকে শৌখিন পন্য ক্যাটাগরিতে আটকে রেখেছে যা অযৌক্তিক।

ডলারের দামের অস্থিতিশীল অবস্থার কারনে দেশের অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মত মোটরবাইক বাজারে এর বেশ বড়সড় প্রভাব পড়েছে।

যেহেতু মোটরবাইক এবং এর যন্ত্রাংশ ডলারে কিনতে হয় তাই ডলারের দাম বাড়লে মোটরসাইকেলের দাম সংগত কারনেই বেড়ে যায়।

গণপরিবহনের ভাড়াও চলে গেছে নাগালের বাইরে। সময় এবং খরচ বাচাতে মোটরসাইকেল এখন অন্যতম প্রয়োজনীয় বাহন হয়ে দাড়িয়েছে।

অনেকে অপেক্ষায় ছিলেন হয়তো কিছুদিন অপেক্ষা করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, মোটরবাইকের দাম কমে আসবে কিন্ত বর্তমানে দেখা যাচ্ছে পরিস্থিতি উল্টোদিকে মোড় নিয়েছে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে মোটরসাইকেল ইন্ডাস্ট্রি ৩০ শতাংশ নেগেটিভ গ্রোথের স্বীকার।

তারউপর LC খোলা বন্ধ থাকার কারনে বাইক আমদানি চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে, এতে বাইকের দাম খুব শিঘ্রই আরো অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।

তাই, যাদের মোটরসাইকেল কেনা প্রয়োজন তারা অপেক্ষা না করে এমন কোনো মোটরবাইক কিনে ফেলুন যেটা ফুয়েল সাশ্রয়ী এবং ম্যাক্সিমাম রিসেল ভ্যালু দেয়। এমন কোনো মোটরবাইক কেনায় ইনভেস্ট করুন যেটা স্বস্তিদায়ক চলাফেরার সংগী হবার পাশাপাশি ক্যাশ ডিপোজিট হিসেবে ভুমিকা রাখবে।

লেখাঃ ইকবাল আবদুল্লাহ রাজ

এডমিন #কিউরিয়াস বাইকার ডট কম।