রাইড শেয়ারিং না ঝুঁকি শেয়ারিং ?

জানুয়ারি 30, 2020

রাইড শেয়ারিং না ঝুঁকি শেয়ারিং ?

অদক্ষ চালকদের হাতে জিম্মি দেশের রাইড শেয়ার। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রতিদিন বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা, হুমকিতে যাত্রী নিরাপত্তা। তবে চালক অদক্ষ হলেও বেশিরভাগের হাতেই রয়েছে বৈধ লাইসেন্স। তাই বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি- বিআরটিএ’র কার্যক্রম নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেকেই ব্যবহার করেন অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ার মোটর সাইকেল। কিন্তু এর চালকরা কতটা দক্ষ?

গত বছর রাইড শেয়ার এর মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় রাজধানীতে অন্তত ছয় জন নিহত হয়েছেন। গেল ২ ডিসেম্বর উবারের বাইক থেকে পড়ে নিহত হন ইডেনের ছাত্রী আকলিমা আক্তার জুঁই। শেরেবাংলা নগরে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহমিদা হক লাবণ্য, বিমানবন্দর এলাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নাজমুল হাসান আর খিলক্ষেত এলাকায় নিহত হন লাফিজুর রহমান। মতিঝিলে লরির ধাক্কায় মারা যান পাঠাও মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী দু’জনই। এছাড়াও প্রতিনিয়ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন চালক-যাত্রীরা।
এক ভুক্তভোগী জানান, অনেকে মোটরসাইকেল চালাতে পারে না। রাস্তায় ফেলে দেয়। অদক্ষ চালকদের বিরুদ্ধে নালিশ করার জায়গাও পাই না।
শিক্ষানবিস লাইসেন্স নিয়েই রাইড শেয়ারে এ যুক্ত হচ্ছেন অনেক বাইক রাইডার। আবার অন্য জেলা থেকে আসা চালকরা ঢাকার রাস্তায় অভ্যস্ত নন।
ট্র্যাফিক সার্জেন্ট রাজীব বলেন, তারা (বাইকাররা) ঢাকায় কিভাবে ড্রাইভ করতে হয় এই নিয়মটা জানে না। তারা লেন সম্পর্কে বুঝে না। বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে ভুল ড্রাইভিংয়ের কারণে।

নিরাপদ সড়ক চাই’র সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘ঢাকায় চালাতে হলে ঢাকার কিছু বিষয় আছে। সেভাবে তাদের শিখে রাইড শেয়ারিং যুক্ত হতে হবে। তাদেরকে যদি বিআরটিএ নির্দেশনা না দেয় তাহলে বিভিন্ন রিমোট এলাকা থেকে আসলে রাইড শেয়ারিংয়ে যুক্ত হতে পারবে। তাদের শুধু টাকা কামানোর দরকার’।
পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সড়ক দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটর সাইকেল। ২০১৯ সালে চার হাজার ৭০২টি সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে এক হাজার ৯৮টির জন্যই দায়ী মোটরসাইকেল।
ট্রাফিকের এই উপপুলিশ কমিশনার মফিজ উদ্দিন বলেন, লাইসেন্স দেয়ার আগে যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব বিআরটিএর।
তবে বিআরটিএর চেয়ারম্যান কামরুল আহসানের দাবী, ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই চালকদের লাইসেন্স দেয়া হয়। তিনি বলেন, এগুলো দেখার জন্য আমরা পুলিশকে অনুরোধ করেছি। যাতে এনফোরসমেন্ট কার্যক্রমটা মাঠ পর্যায়ে আরও জোরদার করা হয়। এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও এনফোরসমেন্ট কার্যক্রম বাড়ানো দরকার।
তবে লাইসেন্স পাওয়ার প্রক্রিয়া আরও কঠোর করার তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা।

সুত্রঃ rtvonline.com