রোজা অবস্থায় মোটরসাইকেল চালানোর জন্য কিছু টিপস

মার্চ 31, 2022

রোজা অবস্থায় মোটরসাইকেল চালানোর জন্য কিছু টিপস

শুরু হচ্ছে রমজান মাস। যেহেতু আমাদের এই দেশ মুসলিমপ্রধান দেশ তাই একটা বড় সংখ্যক বাইকারের তাদের জীবন পরিচালনা এবং কর্মব্যস্ত জীবন টাকে সচল রাখতে রমজান মাসেই তাদের বিভিন্ন রকম কাজ কর্ম পরিচালনা করতে হবে।

এরই ধারাবাহিকতায় তাদের হয়ত দৈনিক রাইড করতে হবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অথবা ঢাকা শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে।

রমজান মাসে যেরকম সিয়াম সাধনা করতে হবে ঠিক সেভাবেই দৈনন্দিন কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখতে হবে।

যেহেতু আমাদের খাদ্যাভাসের একটা পরিবর্তন ঘটবে আমরা দিনের বেলায় পানি এবং কোন প্রকার খাবার গ্রহণ করব না বা করতে পারব না সুতরাং আমাদের রাইডিং এ কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে।

কিভাবে আপনি রমজান মাসে স্বাভাবিক দিনের মতন এনার্জেটিক ভাবে বাইক রাইডিং করতে পারবেন বা জীবনধারণ মান আগের মতোই চালিয়ে যেতে পারবেন সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব

কাজ ও পরিশ্রম সমন্বয়

যেহেতু শুরুতেই আপনার লম্বা সময় ধরে খাবার না গ্রহণ করে থাকতে হবে সুতরাং একদম রমজানের শুরুতেই আপনি স্বাভাবিক সময়ের মতন পরিশ্রম করতে যাবেন না।

আপনার কাজের পরিধি এবং পরিশ্রম আস্তে আস্তে রমজান মাস বড় হতে হতে বাড়াবেন।

প্রথম রোজায় আপনি যে পরিমাণ পরিশ্রম করেছেন দ্বিতীয় রোজায় একটু বেশি, তৃতীয় রোজা একটু বেশি, এভাবে আস্তে ধীরে আপনি আপনার কাজের পরিমাণ বা পরিধি বাড়াবেন।

প্লান করুন

স্বাভাবিক সময় আমরা যখন লং রাইড এ বের হই তখন স্বাভাবিক ভাবেই আমরা আমাদের পুরো ট্যুরের একটা প্ল্যান রেডি করি যে আমরা রাস্তার মাঝ পথে কোথায় থামবো, কোথা থেকে আমরা খাবার গ্রহণ করব, কোন কোন হোটেলে থাকবো, প্রথম কোথায় যাব, এরপরে কোথায় এবং শেষ কোথায় করব

রমজান মাসেও আপনাকে এরকমই প্ল্যান করতে হবে প্রতিদিন সকালবেলা যে আমি আজকে নির্দিষ্ট যে জায়গায় যেতে চাচ্ছি তার মাঝ পথে কোন কোন জায়গা গুলোতে জ্যাম কম আছে কোথায় ছায়াযুক্ত রাস্তা বেশি আছে কোন জায়গা গুলোতে আমি গিয়ে থামবো কিছু সময় রেস্ট নিব এরকম একটা প্ল্যান করে ফেলতে হবে আপনাকে।

পরিমিত খাদ্য গ্রহণ

যেহেতু আমরা একদম ভোরে সেহরির সময় খাদ্য গ্রহণ করব এবং ঘুম থেকে উঠে আমরা যেহেতু খাদ্য গ্রহণ করব সুতরাং সেই সময় আমাদের খাবার গ্রহণে কিছুটা অনীহা দেখা দিতে পারে।

সুতরাং আমরা সবসময় চেষ্টা করব সকালবেলা সেহেরির সময় যে খাবারটা খাব সেটা যেন যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টিকর হয় এবং সে খাবারের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে মিনারেল থাকে।

যেমন আপনি খাবারের মধ্যে ডিম রাখতে পারেন কারণ ডিম খেলে একটা লম্বা সময় ধরে আপনার ক্ষুধা আসবেনা, খেজুর খেতে পারেন, কলা খেতে পারেন এগুলো আপনাকে বাড়তি শক্তি দিবে।

রাস্তায় নজর রাখতে হবে

দিনের শেষ অংশে যেহেতু ক্ষুধার্ত থাকবেন সেই অংশে সবচেয়ে বেশি রাস্তায় আপনার তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে। ইফতারের আগ মুহূর্তে কোন অবস্থায় তাড়াহুড়া করবেন না। একটা জিনিস মাথায় রাখবেন আপনি যেরকম ইফতার করার জন্য বাসার দিকে তাড়াহুড়া করে ছুটে চলছেন আপনার পাশে যে যানবহনে রয়েছে সেটাও কিন্তু ঠিক সেই গতিতেই সেই চিন্তাতেই বাসার দিকে ছুটে চলছে।

সুতরাং যে কোন প্রকার অসতর্কতা ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

ইতিবাচক চিন্তা

মানুষ ক্ষুধার্ত থাকলে তার মেজাজ একটু খিটখিটে থাকে সেই সাথে এই ক্ষুধার সাথে যোগ হবে আপনার পরিশ্রম সুতরাং আপনি যেরকম রাস্তায় রোজা রেখে পরিশ্রান্ত, ক্ষুধার্ত ঠিক আপনার পাশে রাইডার টাও কিন্তু সেই অবস্থায়।

কোন ভাবেই আপনার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটানো যাবে না।

আপনি যেরকম ক্ষুধার্ত এবং পরিশ্রান্ত খুব অল্পতেই আপনি রেগে যাচ্ছেন ঠিক আপনার পাশে রাইডার কিন্তু সেভাবে রেগে যাচ্ছে সেই সামান্য রাগারাগি তে ঘটে যেতে পারে বড় কোন ঘটনা সুতরাং রাস্তায় আপনি আপনার রাগকে নিয়ন্ত্রণ রেখে পরিপূর্ণ দৃষ্টিতে রাস্তায় চলাচল করবে।

আজকের আলোচনা বড় করলাম না রোজায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস রয়েছে যদি আপনার কাছে মনে হয় আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন ছিল তাহলে আপনি কমেন্টে আমাদের আরও বিস্তারিত জানাতে পারেন।