সিট হাইট নিয়ে যত কথা

সেপ্টেম্বর 05, 2019

সিট হাইট নিয়ে যত কথা

বাইক কেনার সময় আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দেই বাজেট অনুসারে বাইকের লুকের দিকে। আর যে সকল বিষয় একদম ভাবি না তার মধ্যে বাইকের সিট হাইট অন্যতম। অথচ চালানোর সময় সবচেয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় এই সিট হাইট নিতে। ইমারজেন্সি ব্রেকিং এ দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারন এই সিট হাইট।

সিট হাইট বলতে দুইচাকায় বাইক দাড় করিয়ে মাটি থেকে সীটের উপর পর্যন্ত উচ্চতাকেই বোঝায়। একে সাধারনতই মিলিমিটার এ পরিমাপ করা হয়।

যদিও প্রায় সকল বাইকের সিট হাইট কমবেশ করা যায়। কিন্তু মেনুফেকচার এর পরে যে কোন বস্তুর সামান্য পরিবর্তন, সেই বস্তুর সুন্দরজ নষ্ট করে দেয়। তাই বাইক নির্বাচনের সময় এই বিষয় গুলা মাথায় রাখা চাই।

সাধারনত বাইকের ক্যাটাগরি ভেদে বাইকের সিট হাইট নির্ধারিত হয়ে থাকে। তাই আপনি কোন ক্যাটাগরির রাইডার তা আগে দেখেনিন।

কোন ধরনের বাইকের কি ধরনের সিট হাইট থাকে

স্পোর্টস বাইক
তরুনদের কাছে সবচেয়ে কাম্য বাইক। বাইকের গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স একটু বেশি রাখার প্রয়োজন পড়ে বলে এই ধরনের বাইক গুলোর সীট হাইট একটু বেশিই হয়ে থাকে। আমাদের দেশে এই ধরনের বাইকগুলোর সীট হাইট ৭৫০মিলিমিটার থেকে ৮০০মিলিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ক্রুজার বাইক
সাধারনত ক্রুজার বাইকের সীট হাইট অন্য যে কোন বাইকের থেকে বেশ নীচু হয়। ক্রুজার বাইকগুলোতে ইনজিন সাইজ কিছুটা বড় হয়ে থাকে ফলে ইনজিনকে সামান্য সামনে রেখে সীট পেছনে নীচু করে করা হয়।বাইকে আরামের পরিমান বাড়ানোর জন্যও সীটকে নীচু করা হয়।

অফ রোড বাইক
অফরোড বাইকে সীট উচু করা হয় গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স বাড়ানোর জন্য। তাই এই ধরনের বাইকে তুলনামূলক কম উচ্চতার লোকের জন্য রাইড করা কিছুটা কষ্টকর বৈকি।

কমিউটার বাইক
এ ধরনের বাইক সাধারনত সকল লোকদের কথা বিবেচনা করেই বানানো হয়। বাংলাদেশে আমাদের গড় উচ্চতা ৫ফুট ৫ইঞ্চি। সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের বাইকগুলোর সীটহাইট সাধারনত ৭০০-৮০০মিলিমিটার হয়ে থাকে।

সিটের ধরনঃ
বাইকের সিট কোম্পানি ভেদে বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। অনেক বাইকের সিট অনেক নরম ফোম দিয়ে তৈরি, ফলে রাইডারের উচ্চতা কম হলেও যখন সে বাইকে বসবে তখন সিট হাইট অনেক কমে আসবে। আবার অনেক বাইক আছে সিট গুলা পাশে চওড়া। ফলে পা দু-দিকে ছড়িয়ে পড়ার কারনে রাইডার এর উচ্চতা ঠিক থাকার পরেও সমস্যা হয়।

আপনার জন্য পারফেক্ট বাইকঃ
বাইক নির্বাচনের সময় বাইকের লুক, সিঃ সিঃ ইত্যাদি থেকে বাইকের সিট হাইটের দিকে নজর দিতে হবে। কারন চালানোর সময় বাইকের লুক/ ডিজাইন আপনাকে ঝুঁকিতে ফেলবে না কিন্তু সিট হাইট ফেলবে।

বাইক নির্বাচনের সময় যেই বাইকে বসে পা দুই দিকে সমান ভাবে মাটিতে স্পর্শ করতে পারবেন সেই বাইক নির্বাচন করুন।

আপনি যদি সৌখিন রাইডার হন, যে বাইক আপনি অল্প সময় চালাবেন যেমন স্পোর্টস বাইক বা অফরোড বাইক এই ধরনের বাইকে সীট হাইট নিয়ে খুব বেশি না ভাবলেও কমিউটার গুলোতে সাধারনতই বেশি সময় বাইকের থাকার জন্যই নেয়া হয়। তাই বাইক কিনতে আপনি অবশ্যই সীট হাইট আপনার বডিহাইটের সাথে ম্যাচ করে নিবেন।

বাইক কেনার সময় আমরা সিট হাইট নিয়ে আমরা অনেকেই ভাবি না। মনে করি আরে এতো চালাতে চালারে ঠিক অভ্যাস হয়ে যাবে। অনেকে আবার বাইকের বিভিন্ন পার্টস বদলে এর সমধানের চেষ্টা করেন। তবে কেনার সময় একটু সচেতন হলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।