স্পার্ক প্লাগের অজানা রহস্য!

অক্টোবর 12, 2022

স্পার্ক প্লাগের অজানা রহস্য!
বাইক স্টার্ট না হওয়া, এক্সিলারেশন ছেড়ে দেয়া, মিসফায়ার করা, মাইলেজ কমে যাওয়া সহ নানান সমস্যা কেন হচ্ছে তা জানার অন্যতম চাবিকাঠি হচ্ছে স্পার্ক প্লাগ।

স্পার্ক প্লাগ মোটরসাইকেলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বাইক স্টার্ট না হওয়া, এক্সিলারেশন ছেড়ে দেয়া, মিসফায়ার করা, মাইলেজ কমে যাওয়া সহ নানান সমস্যা কেন হচ্ছে তা জানার অন্যতম চাবিকাঠি হচ্ছে স্পার্ক প্লাগ। তাছাড়া প্লাগে সমস্যা হলেও বাইক নানান রকম অদ্ভুত আচরন করতে পারে। তাই প্লাগ সম্পর্কে ভালো একটা ধারনা রাখলে সহজেই বাইকের সমস্যা ও সমাধান খুজে পাবেন। তো চলুন জেনে নেই স্পার্ক প্লাগের সেই অজানা রহস্য।

আরো পড়ুন

আসুন প্রথমেই জেনে নেই একটি প্লাগের বিভিন্ন অংশের নাম। (ছবিতে দেখুন)

এবার আসুন শিখে নেই প্লাগ দেখে কি করে বাইকের বর্তমান অবস্থা বা সমস্যা আইডেন্টিফাই করা যায় ।

ইঞ্জিন ঠান্ডা অবস্থায় প্লাগ রেঞ্চ দিয়ে প্লাগটি খুলুন,

(এন্টি-ক্লকওয়াইজ), গরম ইঞ্জিনের প্লাগ খুলতে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করুন, কেননা প্লাগ খুব বেশি গরম থাকে ।

এবার প্লাগের মাথাটা ভালো করে লক্ষ্য করুন এবং ছবির সাথে মিলিয়ে নিন।

1. প্লাগের মাথা হাল্কা বাদামী মানে হল প্লাগ এবং কম্বাসন প্রসেস পারফেক্ট ।

2. প্লাগের ইলেক্ট্রোড বাদামী এবং ইন্সুলেটর এর আশে পাশে ছাই পাওয়ার অর্থ হল ফুয়েল কোয়ালিটি খারাপ, চেম্বারে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফুয়েল চলে আসা এবং ফলাফল হচ্ছে মিসফায়ার ।

3. প্লাগের মাথায় শুকনো কার্বন জমে থাকলে বুঝবেন মাত্রাতিরিক্ত ফুয়েল এবং এয়ার মিক্স হচ্ছে, দুর্বল স্পার্কিং হচ্ছে কেননা কার্বন বিদ্যুৎ অপরিবাহী এবং সম্ভাব্য কারন হল ময়লা এয়ার ফিল্টার অথবা ত্রুটিপূর্ণ চোক ।

4. প্লাগের মাথায় ইঞ্জিন অয়েল চলে আসার মানে হল বাইকের রিং পিস্টন দুর্বল অথবা ভালব গাইডের মিস এডজাস্টমেন্ট, দুর্বল স্পার্ক ও মিসফায়ার আর টু স্ট্রোক বাইকের প্লাগে অয়েল পাওয়ার মানে, ইঞ্জিনে পরিমানের চেয়ে বেশি অয়েল থাকা ।

5. ফোস্কা পড়া ইন্সুলেটর ও গ্লোসি ইলেক্ট্রোড এর অর্থ হচ্ছে ইগনিশন সমস্যা অথবা বাইকের কুলিং সিস্টেমের সমস্যা, অসম ফুয়েল মিশ্রন বা ইঞ্জিন ওভার হিট হওয়া ইত্যাদি ।

6. ক্ষয়ে যাওয়া ইলেক্ট্রোড দেখলে বুঝতে হবে ত্রুটিপূর্ণ স্টার্টিং (গরম বা ঠান্ডা অবস্থায়) এবং এইক্ষেত্রে জ্বালানী তেলের অপচয় হতে থাকবে তাই প্লাগ চেঞ্জ করে নতুন প্লাগ ব্যাবহার করলে সমস্যার সমাধান হবে।

মনে রাখতে হবে প্লাগ চেঞ্জ করার প্রয়োজন হলে অবশ্যই তা চেঞ্জ করতে হবে তবে যেই সমস্যার কারনে প্লাগের চেহারা ও আকার আকৃতির পরিবর্তন হলো সেটিও সমাধান করা সমান জরুরি।

প্লাগ চেঞ্জ করার সময় রিকমেন্ডেশন অনুযায়ী সঠিক মডেলের প্লাগ ব্যাবহার করবেন। প্লাগের গ্যাপ ঠিক আছে কিনা সেটাও নিশ্চিত হয়ে নিবেন।

সাধারণত প্রতি ৮ হাজার কিমি পর পর স্পার্ক প্লাগ পরিবর্তন করে ফেলা উচিত, এতে বাইকের মাইলেজ ও পার্ফমেন্স ১০০ তে ১০০ অবস্থায় থাকবে।

লেখা : ইকবাল আব্দুল্লাহ রাজ

এডমিন # Curious Biker