৪ টি নিয়মিত কাজ,যা ভালো রাখবে বাইক
সেপ্টেম্বর 19, 2019
Views
Shares
বাইকের যত্নের অর্থ কেবল এটিকে সুন্দর, চক চকে দেখানো না। অভিজ্ঞ বাইকাররা সর্বদা এই সুযোগটি গ্রহণ করেন যাতে তাদের বাইকের ইঞ্জিন সহ সকল কিছু প্রযুক্তিগতভাবে সরবচ্ছ পারফর্মেন্স দেয়। আর বাইকের সরবোচ্চ পারফর্মেন্স পেতে আপনাকে খুব বেশি কিছু করতে হবে না। নিয়মিত বাইকের দিকে সু-নজর রাখা আর চালানোর ধরনের সামান্য পরিবর্তন।
বাইক ভালো রাখতে নিয়মিত কিছু কাজ করতে হবে আপনাকে। কাজ গুলা খুব সহজ কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ বাইকের পারফর্মেন্স এর জন্য। আসুন সেই সকল বিষয় গুলা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
# বাইক ওয়াশ
বাইক চালানোর সময় সামগ্রিক যে শব্দ হয় তা বাইকের মালিকের কাছে পরিচিত। অনেক সময় বাইকের এই শব্দ চেইঞ্জ হয়ে যায়। আপনি হয়তো বিরোক্ত যে আল্প কিছু চালানোর পরেই বাইকের সাঊন্ড কেন চেইঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। আসোলে এর সমাধান আপনি কোরে ফেলতে পারেন একটা ভালো ওয়াশের মাধ্যমে। আশ্চর্য হচ্ছেন যে ওয়াশের সাথে বাইকের শব্দের সম্পর্ক কি ? আছে আছে। বাইক চালানোর সময় বাইকের চেইন কভার, ইঞ্জিন গার্ড, রেয়ার চাকার ব্রেকে লেগে থাকে ময়লা কাঁদা বাইকের সাভাবিক শব্দ চেইঞ্জ করে দেয়। খেয়াল করে দেখবেন একটা ভালো ওয়াশের পড়ে বাইকের শব্দ আসোলেই চেইঞ্জ হয়ে যায়।
বাইক ওয়াশ একটা বিরক্তি কর একটা কাজ, তাই অনেকে নিয়মিত করতে চান না। তবে বিষয় টাকে একটু সহজ করে নিলেই হয়। বাইক ওয়াশের জন্য একটা ভালো জায়গা নির্বাচন করে রাখুন। বাইকে ওয়াশের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ সেই যায়গায় মজুদ রাখুন। শহরের মানুষের জন্য আরো সুবিধা। জারা বহুতল ভবনে থাকেন তাদের কাজ আরো সোজা। পাইপের সাথে একটা মাল্টী ফংশনাল কল লাগিয়ে নিবেন। ব্যাস বাইক ওয়াশের জন্য স্প্রে হয়ে গেল।
পানি দিয়ে ভিজিয়ে ১/২ মিনিট অপেক্ষা করবেন তার পরে আবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন আর মাসে একবার ভালো মত ওয়াশ দিবেন ।
# এন্টি রাশ স্প্রে
ওয়াশের পর ভালো এন্টি রাশ স্প্রে ব্যাবহার করুন। এতে পানি লেগে বাইকে কোন অংশে জং পরবে না।
# নিয়মিত টায়ার প্রেশার চেক
সবসময় টায়ার প্রেশার একুরেট রাখার চেষ্টা করুন। এক্ষত্রে সামনে এবং পিছনে কত পিএস আই প্রেশার রাখতে হবে সেটি লেখা আছে আপনার বাইকের পিছনের চাকার আশে পাশেই । একটু চেস্টা করলেই খুজে পাবেন । সাধারনত সামনে ২৯ এবং পিছনে ৩৩ রাখাই উত্তম তবে যাদের ওজন একটু বেশি বা পিলিয়ন নিয়ে চলেন তারা সামনে সর্বোচ্চ ৩৫ এবং পিছনে ৪০ পিএস আই রাখতে পারেন ।।
# কখন চেক করবেনঃ রাতে বা সকালে ঠাণ্ডা অবস্থায়। রাতে বা সকালে কেন? কারণ তাপ গ্যাসের চাপকে বাড়িয়ে তোলে তাই টায়ার গরম থাকার সময় সেগুলি পরীক্ষা করলে সঠিক প্রেশার সেট করা যায় না। সমস্ত টায়র নির্মাতারা ঠান্ডা টায়ারের জন্য প্রেশার সেট করে দেয়। গরম লাগছে কি না ঠান্ডা লাগছে বুঝতে টায়ারে হাত দিন।
# চেইন এডজাস্টমেন্ট
আপনি নিয়মিত রাইডার না হলে আপনার চেইনটি মাসে ১’বার বা প্রতি 500-700 মাইল পর পর এডজাস্ট করতে হবে। চেইন বার বার ঢিলা হয়ে জাওয়া কোন সমস্যা না। বাইক চালালে আর আপনার চালানোর ধরন ভালো না হলে এটা আরো তারাতারি হতে পারে। চেইনের কাজ হল ইঞ্জিন থেকে রিয়ার চাকাতে শক্তি স্থানান্তর করা। তাই এর গুরুত্ব কোন অংশে কম না। নিরাপদ অপারেশন বজায় রাখতে আপনার রাইডের উপর নির্ভর করে চেইনটি পরিষ্কার এবং সামঞ্জস্য করা দরকার হবে। ত্রুটিযুক্ত চেইন আপনার মোটরসাইকেলের তথা আপনাকে মারাত্মক দুর্ঘটনায় ফেলতে পারে।
# ফুয়েল লেবেল
ভালো ফুয়েল বাইকের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এইও জন্য বাইকে সর্বদা ভালো ফুয়েল ভরতে হবে। খারাপ ফুয়েল ব্যাবহার করলে বাইকের মাইলেজ কমে যাবে, ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হবে ও একটা সময় ইঞ্জিন ডাউন হয়ে যাবে। এই জন্য সব সময় ভালো ফুয়েল ব্যাবহার করতে হবে।
এখন ভালো ফুয়েল চিনবেন কি ভাবে? দুটো পধত্তি বলে দিচ্ছি। একটা হচ্ছে আপনি সচরাচর যে পাম্প থেকে ফুলে নেনে সেগুলা থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফুয়েল নিবেন ও কত কিলো গেল কোন পরিবর্তন হচ্ছে কিনা সেগুলো নটিস করে রাখবেন। প্রে সবগুলা মিলিয়ে যেটার ফল ভালো আসবে সেটা নির্ধারণ করবেন।
২য় ত ফুয়েল নেবার পর এর মোদ্ধে হাতের আঙ্গুন ভিজাবেন, এর পর একসাথে যতটুকু নিঃশ্বাস নেওয়া যায় তা নিয়ে আঙ্গুলে ফু দিবেন যদি দেখেন সাথে সাথে শুকিয়ে গেছে তবে বুঝবেন ভালো ফুয়েল। আর না শুকালে বুঝবেন ঝামেলা আছে।