৫টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস

আগস্ট 01, 2019

৫টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস

মোটর বাইক এমন একটি বাহন যার মধ্যে শেখার কোন শেষ নেই। আপনি যত বেশি রাইড করবেন তত নতুন নতুন কৌশল শিখতে পারবেন। আর যে যত বেশি কৌশল প্রয়োগ করতে পারবে সে তত বেশি এই যন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

আজ আপনাদের সাথে এমন ৫টি কৌশল শেয়ার করবো যা ফলো করে আপনি বারিয়ে ফেলতে পারেন আপনার বাইক রাইডিং এর দক্ষতা।

তো চলুন শুরু করা যাক…

# দুই আঙ্গুলের সাহায্যে ক্লাচ নিয়ন্ত্রনঃ
বাইক চালানোর সময় ক্লাচ লিভার কে দুই আঙ্গুলের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করার অভ্যাস করুন। চালানোর সময়, দুই আঙ্গুল দিয়ে ক্লাচ ও ব্রেক লিভার ও বাকি তিন আঙ্গুল দিয়ে বাইকের হেন্ডেল ধরে থাকুন। এতে দুই পাশেই সমান শক্তি সঞ্চালিত হবে ও আপনার দুই লিভারের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে। যে কোন প্রয়োজনে ৪ আঙ্গুল দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

আপনার যদি শুরুতেই ৪ আঙ্গুল দিয়ে নিয়ন্ত্রণ এর অভ্যাস থাকে তবে একটু অসন্থি হতে পারে। তবে সামান্য প্র্যাকটিস করলেই সব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে বিপদের সময় লিভার গুলো খোজা নিয়ে আপনাকে আলাদা ভাবে চিন্তা করতে হবে না । পেয়োজন মত ফিঙার ব্যাবহার করতে পারবেন।

#ক্লাচ লিভার এডজাস্টঃ
বাইক চালানোর মজা তখনোই বেশি যখন বাইক, রাইডার এর কথা মত চলবে। আপনি যে ভাবে চাচ্ছেন সেভাবে। তাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনাকে আলাদা এটেনশান দিতে হচ্ছে না।

তাই ক্লাচ লিভার টিকে আপনার সুবিধা মত এডজাস্ট করে নিন। কতটুকু ছেড়ে দিলে বা কোন যায়গা থেকে ধরলে আপনি চালাতে সাদছন্দ বোধ করেন তা নির্ধারণ করে সেই অনুপাতে এডজাস্ট করে নিন।

সাধারনত ক্লাচ লিভারের ফ্রি প্লে থাকে ১০-১৫ মিলিমিটার। আপনি যদি এতে আডজাস্ট হতে পারে খুব ভালো, না হলে আপনার ফ্রিকশান পয়েন্টে সেট করে নিন।

ক্লাচ ও থ্রটলের সঠিক কম্বিনেশান হলে , থ্রটল ঘুরিয়ে আপনি যে পাওয়ার ইঞ্জিনে দিচ্ছেন তার আসোল ফিল পাওয়া যায়। তখন মনে হয়, বাইক আপনি চালাচ্ছেন না, বাইক আপনার মনের ভাষা বুঝে চলছে।

#যায়গার সর্বোচ্চ ব্যাবহারঃ
বাইক চলানোর অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে বাহন টি ছোট যার কারনে এর চলতে যায়গা লাগে খুব অল্প, ফলে খুব তাড়াতাড়ি গন্তব্বে পৌঁছানো যায়।

এই বাহনের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে এর সব জায়গায় আপনার সমান নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। ডানে আপনি যত কনফিডেন্টলি মোড় নিতে পারেন বামেও ঠিক সেই ভাবেই নিতে হবে। আর মোড় নেবার সময় বাইকের সর্বোচ্চ করনারিং এর দক্ষতা থাকতে হবে ।

আমার দেশ জ্যামের দেশ। এখানে আপনি যায়গার সর্বোচ্চ ব্যাবহার করতে না পারলে সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন না।

#Emergency Breaking:
যারা নিয়মিত বাইক চালান তাদের Emergency Breaking ব্রেক করতে হয় নি, এমন রাইডার খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাইক চালানোর সময় আপনাকে Emergency Breaking এর জন্য রেডি থাকতে হবে এটাই বাস্তব। আর তাই Emergency Breaking এ আপনার আলাদা দক্ষতা থাকতে হবে। Emergency Breaking এর দক্ষতা আপনার এক্সিডেন্ট এর হার (০) তে নামিয়ে দিবে।

আপনার যদি এই বিষয়ে দক্ষতা না থাকে তবে যে কোন ফাঁকা রাস্থায় ভালো মত প্র্যাকটিস করে নিন। দু ভাবেই করবেন, পিলিওন নিয়ে ও পিলিওন ছাড়া।

Emergency Breaking করতে আপনাকে দুটো ব্রেকের সমন্বয় আনতে হবে। প্রথমে পিছনের টা ও পরে সামনের টা।

Emergency Breaking এর দক্ষতা আপনাকে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার শক্তি যোগাবে।

#গন্তব্য নির্ধারণঃ
প্রথমে বাইক নিয়ে আপনি কোথায় যেতে চাচ্ছেন তার একটা ছক এঁকে নিন মনে মনে। এর পড়ে রাস্থায় চলার সময় নিজেকে সকল রাইডার এর পথ প্রদর্শক ভেবে সবচেয়ে ভালো, নিরাপদ ও সহজ পথ বেছে নিন।

বাইক চালানোর সময় কোন অবস্থায় বাস বা লরির মাঝ বড়াবড় চালাবেন না বা কোন যানবাহন কে ফলো করে চালাবেন না।

জ্যামের সময় আপনার সামনের যানবাহনের বামে ওথবা ডানে থাকবেন যেন সামান্য দৃষ্টি প্রসারিত করলেই সামনের পুরো পথ টুকু দেখা যায়।

প্রয়োজনে জ্যামের রাস্তায় মোড় নেবার সময় লুকিং গ্লাসের পাশাপাশি মাথা সামান্য ঘুরিয়ে নিজের চোখে দেখে নিতে পারেন।

আসোলে বাইক চালানোর সময় সতর্কতার শেষ নেই। বাইক যেমন আপনার সময় বাচিয়ে খুব দ্রুত গন্তব্বে পৌঁছে দিবে আবার সামান্য এদিক সেদিক হলে ডেকে আনতে পারে বড় দুর্ঘটনা। আর তাই দক্ষতাই এর একমাত্র সমাধান।