৭ টা মন্ত্র জেনে নিন বাইক চালানোর আগে

আগস্ট 07, 2022

৭ টা মন্ত্র জেনে নিন বাইক চালানোর আগে
একেবারে বেসিক ৭ টা অংশ সম্পর্কে ধারনা থাকলে আপনার মোটরসাইকেল চালানোর শুরুটা হয়ে উঠবে আরো উপভোগ্য এবং আপনি থাকবেন কনফিডেন্ট।

নতুন রাইডার হিসেবে মোটরসাইকেল চালাতে হলে মোটরসাইকেলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা খুবই জরুরি আর এই সম্পর্ক স্থাপনের প্রধান শর্ত হচ্ছে মোটরসাইকেলের বিভিন্ন অংশের নাম এবং কাজ জানা।

যেহেতু মোটরসাইকেল প্রচুর জটিল যন্ত্রাংশ দিয়ে গঠিত তাই সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানা কঠিন।

তবে একেবারে বেসিক ৭ টা অংশ সম্পর্কে ধারনা থাকলে আপনার মোটরসাইকেল চালানোর শুরুটা হয়ে উঠবে আরো উপভোগ্য এবং আপনি থাকবেন কনফিডেন্ট।

১। শুরুতেই আমরা বাইকে বসে হ্যান্ডেলবারে হাত রাখি এবং হ্যান্ডেলবার দিয়েই আমরা বাইক ডানে বামে ঘুরাই তাই হ্যান্ডেলবারের সাথে সংযুক্ত সুইচের পজিশন এবং লিভারগুলো সম্পর্কে ভালো ভাবে জানা থাকতে হবে।

বাম হাতে সাধারণত ক্লাচ লিভার অপারেট করতে হয়। বাম হ্যান্ডেলবারে ইন্ডিকেটর সুইচ, হর্ন এবং হেডলাইটের আপার ডিপার সুইচ থাকে।

কোন আংগুল দিয়ে কোন সুইচ টা সহজে অপারেট করা যায় সেটা ভালো ভাবে প্র‍্যাক্টিস করে নিতে হবে যেন রানিং অবস্থায় সুইচের দিকে না তাকিয়েই অপারেট করা যায়।

ডান পাশের হ্যান্ডেলে পাবেন ফ্রন্ট ব্রেক লিভার এবং থ্রোটল।

সেই সাথে হেডলাইট অন অফ সুইচ, ইঞ্জিন কিল সুইচ এবং হ্যাজার্ড লাইট সুইচ পেতে পারেন ডান হ্যান্ডেলবারে৷ থ্রটল মোচড়ানোর ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হবে নতুন রাইডার হলে।

আরো পড়ুন

২। গিয়ার প্যাটার্ন সম্পর্কে জানাটাও জরুরি, কারন সব বাইকের গিয়ার শিফটিং প্যাটার্ন একই রকম না, কোনো বাইকে সব গিয়ার সামনে, কোনোটাতে সব পিছনে আবার কোনোটাতে একটা সামনে বাকিগুলো পিছনে থাকে। এই বিষয়ে জানা না থাকলে বা ভুলে গেলে চলন্ত অবস্থায় হযবরল অবস্থায় পড়তে পারেন।

৩। ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি, ট্যাংকে থাকা ফুয়েলের পরিমান এবং ফুয়েল অন/অফ এবং রিজার্ভ চাবি সম্পর্কে জেনে নিন রাইড করার আগে।

এখনকার বেশিরভাগ বাইকেই ডিজিটাল ফুয়েল গজ থাকে যার মাধ্যমে বাইকের মিটারেই ফুয়েলের পরিমান দেখা যায়। তাছাড়া ট্যাংকের সাথে সংযুক্ত তেলের চাবি কোনদিকে ঘুরালে অন হবে বা রিজার্ভে যাবে সেটা দেখে নিন৷ সব সময় চাবি অন রেখে চালাবেন যাতে তেল শেষ হয়ে গেলেও রিজার্ভ ইউজ করে ফুয়েল পাম্প পর্যন্ত যেতে পারেন।

৪। টায়ার প্রেশার ঠিক আছে কিনা দেখে নিন এবং ব্রেক ঠিকঠাক আছে কিনা এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন রাইড শুরু করার আগে৷ টায়ার প্রেশার কম বা বেশি থাকলে বাইকের ব্যালেন্স এবং ব্রেকিং নিয়ে সমস্যায় পড়বেন৷ টায়ারে কি পরিমাণ হাওয়া থাকা উচিত তা চাকার সাথে সংযুক্ত চেসিস বা চেইন কভারে স্টিকারের মাধ্যমে লেখা থাকে।

আরো পড়ুন

৫। হেডলাইট, হর্ন, ইনডিকেটর এবং ব্রেক লাইট ঠিকঠাক জ্বলছে কিনা এই বিষয়ে নিশ্চিত হোন।

কারন লাইটগুলো না জ্বললে রাস্তায় বের হয়ে নিজের ও অন্যের বিপদের কারন হতে পারেন৷

৬। বাইক চালু করার পর ইঞ্জিন থেকে কোনো অস্বাভাবিক শব্দ আসছে কিনা খেয়াল করুন এবং চালানো শুরু করার পর ইঞ্জিনের শব্দ স্বাভাবিক আছে কিনা সেটাও খেয়াল করুন।

৭। বাইকের চেইন থেকে অস্বাভাবিক শব্দ আসছে কিনা সেদিকে মনোযোগ দিন, প্রয়োজন হলে চেইন লুব করুন। ক্লাচ ফ্রি প্লে গ্যাপ নিয়েও ধারনা রাখুন কারন নতুন রাইডারদের ক্ষেত্রে ক্লাচ এবং থ্রোটলের সামঞ্জস্য রাখাটা প্রথমদিকে বেশ কঠিন মনে হয়।

সর্বপরি বাইক চালানোর সময় মাথা ঠান্ডা রাখা খুবই জরুরি। আমার পরামর্শ থাকবে বাইক চালানোর আগে অবশ্যই বাইকের ওউনারস ম্যানুয়াল বইটি বেশ ভালোভাবে পড়ে নিন। তাহলেই বাইকের ব্যাপারে চমৎকার একটা ধারনা পাবেন এবং এতে আপনার বাইক চালানো আরো সহজ হয়ে উঠবে।

আরো পড়ুন