মোটরসাইকেলের যত্নে পাঁচটি সহজ কাজ

ফেব্রুয়ারি 10, 2024

মোটরসাইকেলের যত্নে পাঁচটি সহজ কাজ
কোন মোটরসাইকেল স্বয়ংসম্পূর্ণ না। মানুষের সৃষ্টি সব ধরনের যন্ত্রের ই খারাপ দিক আছে। তবে বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে সঠিকভাবে মেনটেনেন্স এর মাধ্যমে সেই খারাপ দিকগুলোকে ঘটতে না দেওয়া।

জয়েন করুন ৬০ হাজারের বেশি বাইকারের গ্রুপ কিউরিয়াস বাইকার

মোটরসাইকেলের নিয়মিত এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো যদি আপনি ফলো করেন তাহলে আপনাকে মেকানিক এর কাছে অনেক ভারি কোন সমস্যা নিয়ে যেতে হবে না। তো চলেন আলোচনা শুরু করি।

ইঞ্জিন অয়েল এবং সব ধরনের ফ্লুইড

মোটর সাইকেলের ইঞ্জিন মেইনটেনেন্স এবং ইঞ্জিন অয়েললে আমাদের বিস্তার ভিডিও এবং আর্টিকেল আছে আপনি যদি আমাদের ইউটিউব চ্যানেল এবং facebook ও ওয়েবসাইট এর মধ্যেও অনেক আর্টিকেল আছে। এরপর ছোট করে বলে দিচ্ছি মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন অয়েল চেঞ্জ করার ক্ষেত্রে মোটর সাইকেলের ইঞ্জিন সাউন্ড এবং গিয়ার শিফটিং এর অবস্থা, সবকিছু বিবেচনা করে নিয়মিত ইঞ্জিনিয়ার পরিবর্তন করুন।

আপনি কোন গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করবেন সেটা লেখা আছে আপনার বাইকের সাথে সরবরাহ কর ওনার্স ম্যানুয়াল এ সেখান থেকে গ্রেড নির্বাচন করে ইঞ্জিন অয়েল উৎপাদন করে এমন কোন কোম্পানিকে আপনার বাইকের জন্য নির্বাচন করুন। সেই সাথে ব্রেক ফ্লুইড ব্রেক লিভারের ফ্লুইড এই ধরনের যত ফ্লুইড আছে সেগুলাসময় সময় পর পর পরিবর্তন করতে হয় সেটাও আপনি আপনার ওনার্স ম্যানুয়াল থেকে দেখে নিতে পারেন।

আরো পড়তে পারেন

টায়ার এবং তার প্রেশার

মোটরসাইকেলের টায়ার এবং টায়ার প্রেসার কতটা যে গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সচরাচর উপলব্ধি করতে পারি না। আমাদের অনেকেরই সবচেয়ে বড় অভিযোগ মোটরসাইকেলের স্পিড এবং মাইলেজ। এ দুটো সাবজেক্টটাই অনেক শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখায় মোটরসাইকেলের টায়ার এবং টায়ার প্রেসার এ। নিয়মিত আপনার মোটরসাইকেল এর টায়ার পর্যবেক্ষণ করতে হবে কোন হুক ঢুকে আছে কিনা কোথাও ফেটে যাচ্ছে কিনা। আপনি যদি সিটি রাইডার হন সে ক্ষেত্রে দেখা যাবে মোটরসাইকেলের মাঝ বরাবর বেশি ক্ষয় হচ্ছে সেক্ষেত্রে পয়সা ঢুকিয়ে সে ক্ষয় টার পরিমাপ করে রাখতে হবে পাশাপাশি রাস্তা, ট্যুর, এবং আপনার ওজন ভেদে মোটরসাইকেলের টায়ার প্রেশার সেট করে রাখতে হবে।

মেকানিক্যাল যতকিছু

মোটরসাইকেলের যাবতীয় মেকানিক্যাল অটো পার্টস চেক করে নেওয়া। আপনার বাইকের ব্রেক প্যাডগুলো কতখানি পুরু রয়েছে সেটা ভালোভাবে খেয়াল করে দেখুন। এর রোটর গুলো যেন ফাটা না থাকে, আর সবকিছু ঠিকঠাক কাজ করছে কি না। যদি আপনার মোটরসাইকেলের পেছনে ব্রেক ড্রাম থাকে, তাহলে চোখে সরাসরি দেখার কোনো উপায় নেই। আপনি বড়জোর ব্রেক প্যাডেলে পা রেখে প্রেশার কতটুকু ভালো আছে তার একটা ধারণা নিতে পারেন।

চেইন কিংবা শ্যাফট ড্রাইভের অবস্থাও পরখ করে দেখুন।সবশেষে আপনার বাইকের আয়নাগুলো নেড়ে চেড়ে ঠিকমত এডজাস্ট করে নিন আর সেগুলো চাপ নিতে পারছে কি না তা নিশ্চিত হয়ে নিন।

নিরাপত্তা ইন্ডিকেটর

রাস্তায় বের হওয়ার আগে আপনার বাইকটি চালু করে এর সব রকম ইন্ডিকেটরগুলো পরীক্ষা করে নিন। হেডলাইট, হাই বীম এগুলো ঠিক ভাবে কাজ করছে কি না, টার্ন সিগন্যাল গুলো ঠিকমত জ্বলছে কি না, বিশেষ করে ব্রেক লাইট কাজ করছে কি না, এসব ভালো ভাবে পরখ করে নিন।

আরো পড়তে পারেন

ইলেকট্রিকাল সামগ্রী

বাইকের সব রকম তার, ব্যাটারি, হার্নেস, এই সবকিছু চেক করার কোনো সহজ উপায় নেই। কেননা এগুলোর বেশিরভাগই ভালোভাবে চেক করতে গেলে বাইকের বিভিন্ন পার্টস খুলতে হবে। অতএব সরাসরি চোখে যতটুক দেখা যায় সেটুকুই ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখে নিন কোনো তার বের হয়ে আছে কি না, অথবা ঘষা লেগে ভেতরের তার উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে কি না ইত্যাদি।