বর্তমান সময়ে দানবীয় আর উন্নত সব ফিচার সমৃদ্ধ বাইকগুলো বেশ বাজার কাপালেও এমন কিছু মোটরসাইকেল রয়েছে যে মোটরসাইকেল গুলো এখন থেকে আরও এক যুগ আগে বাংলাদেশের বাজারে আসলেও এখনও সমান জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।
জয়েন করুন ৬০ হাজারের বেশি বাইকারের গ্রুপ কিউরিয়াস বাইকার
এখনো তরুণেরা এ বাইকগুলো পছন্দ করছে এবং কিনছে। মাসের শুরু এবং শেষ সময়ে বাইকগুলোর স্টক শেষ হয়ে যাচ্ছে। এখনো ওই বাইকগুলো রিসেল ভ্যালু তুঙ্গে। তো চলেন আজকের আলোচনার মাধ্যমে এরকম কিছু বাইক নিয়ে আলোচনা করা যাক এবং সে বাইকগুলোর বর্তমান দাম এবং ফিচার নিয়ে ধারনা নেওয়া যাক।
###Yamaha FZS সিরিজ
শুরুতেই বাইকটাকে নিয়ে আসার কারণ হচ্ছে এই বাইকটা এখনো এত পরিমাণ জনপ্রিয় যে আপনার বিশ্বাস করতেই কষ্ট হবে যে বাইকটা এক যুগ পার করে ফেলেছে বাংলাদেশ। ড্রাম ব্রেক আর ডুয়েল সাসপেনশন এর যুগে এই বাইকটা যখন সিঙ্গেল ডিস্ক এবং মনোসক সাসপেনশন দিয়ে সেই সাথে পেছনের চাকা মোটা দিয়ে যখন লঞ্চ হয় তখন বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে বাংলাদেশে। স্টান্ট rider, কমিউটার রাইডার সাথে সব ধরনের ক্রেতা হুমড়ি খেয়ে পড়ে বাইকটা পেতে। সেই সময় বাইকটা যার কাছে থাকতো এলাকার তরুণেরা তার সাথে আলাদাভাবে সক্ষতা রাখতে চাইতো।
####সংক্ষিপ্ত বিবরণ
Yamaha FZS FI v2.0 বাইকটি এর আগের সংস্করণের তুলনায় কিছুটা হালকা। ইতোমধ্যে এ হালনাগাদ সংস্করণটি বাংলাদেশে দারুন জনপ্রিয় হয়েউঠেছে। বিগত হয়েক বছর ধরেই ইয়ামাহা তাদের FZ সিরিজে দারুন সফল। এরই ধারাবাহিকতায় FZ সিরিজের নতুন বাইক Yamaha FZS FI v2। নতুন এ সংস্করণে জ্বালানি সাশ্রয়ীতা বেড়েছে। অধুনিক এ বাইকটিকে কিছু সুবিধা এটিকে তার প্রতিদ্বন্দীর চেয়ে আলাদা করে রেখেছে যেমন - চওড়া টায়ার, পুরু টেলিস্কোপিক ফোর্কস, কিছুটা নিছু সিট, সম্পূর্ণ ডিজিটাল Instrument Console।
এ বাইকটিতে 149 cc ইঞ্জিন ব্যাবহার করা হয়েছে, যেটি Air cooled, 4-stroke, SOHC, 2-valve। এটির সর্বোচ্চ শক্তি 12.9 Bhp @ 8000 rpm এবং সর্বোচ্চ ঘূর্ণন বল 12.8 Nm @ 6000 rpm। এত ৫ গতির ম্যনুয়াল গিয়ার, এবং এটির সর্বোচ্চ গতি ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। এটির জ্বালানি পদ্ধতি Fuel injection। ১২ লিটার জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এ বাইকটি প্রতি লিটার জ্বালানিতে গড়ে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সক্ষম।
####দাম ২,২৮,০০০
আরো পড়তে পারেন
###Bajaj Pulsar
পালসার বাংলাদেশে এমন একটা মডেল যে মডেলটা কেনার জন্য আপনাকে আলাদা করে কখনো চিন্তা করতে হবে না এটা কি আপনার সাথে ম্যাচ করবে? আপনি একজন অফিসগামী, আপনি স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছাত্র, আপনি কম্পিউটার প্রশিক্ষক, আপনি রাইড শেয়ার করবেন, আপনি প্রোডাক্ট ডেলিভারি করবেন, আপনি আপনার ব্যবসার কাজে ব্যবহার করবেন যে কাজ করেন নাই কেন আপনি যে বাইকের লিস্টটা করবেন এই লিস্টের মধ্যে আপনি হয়তো পালসার কে রাখবেন। পালসার বাইক টাকে মানুষ এত পরিমাণ ভালোবেসে ফেলেছে যে গ্রাম গঞ্জ থেকে শুরু করে শহরের অনেক মেকানিকের দোকান পর্যন্ত তাদের জীবিকা নির্বাহ করে শুধুমাত্র এই বাইকের পার্টস এবং সার্ভিস দিয়ে।
####সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বাইকটিতে 149cc, 4-stroke, DTS-i, air cooled ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে যা single cylinder এবং BS4 প্রযুক্তির। বাইকটি সর্বোচ্চ ১১৫ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। Bajaj এর দাবি এটি প্রতি লিটার জ্বালানীতে গড়ে ৪৭ কিলোমিটার পর্যন্ত অতিক্রম করতে সক্ষম।যা এই অংশের অন্যান্য বাইকের তুলনায় প্রায় অনেক বেশি। এটির ইঞ্জিন এর সর্বোচ্চ শক্তি 13.8 Bhp @ 8000 rpm এবং সর্বোচ্চ ঘূর্ণন বল 13.4 Nm @ 6000 rpm। এতে ৫ গতির গিয়ার ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত নিম্নের বিবরণীতে।
####Pulsar 150 Twin Disc Tk.217,000 ####Pulsar 150 Single Disc Tk.192,750 ####Pulsar 150 Twin Disc ABS Tk.220,900
###SUzuki Monotone
জাপানি ব্র্যান্ড হিসেবে সুজুকি তাদের লিজেন্ডারি একটা বাইককেই এখন পর্যন্ত কাস্টমারদের হৃদয় বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছে সেটা হচ্ছে সুজুকি মনটন। প্রচুর টান লাগবে, জায়গায় দাঁড়িয়ে যাবার মতন ব্রেক করা লাগবে, হাটু ছুঁয়ে কর্নার করার মতন চাকা লাগবে, পাড়ার সুন্দরী মেয়েদের নজর কাড়ার মতন ডিজাইন লাগবে সবকিছুই আছে এই বাইকে।
####সংক্ষিপ্ত বিবরণ
এতে Air-cooled, 4-stroke, 1-cylinder ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যা 2 Valve এবং ১৫৪.৯ সি সি। এটির সর্বচ্চ ক্ষমতা 14 Nm @ 6,000 rpm এবং সর্বচ্চ ঘূর্ণন বল 14.8ps@8,000 rpm। এতে BS4, Carburetor ব্যবহার করা হয়েছে, সুজুকী এর দাবি এটিও প্রতি লিটার জ্বালানিতে ৪৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সক্ষম। বাইকটি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে স্ববিস্তার বিবরণী দেখুন।
####Gixxer Dual Tone (DD) Tk.199,950.00
আরো পড়তে পারেন
###Hunk
হিরো এবং হোন্ডা একসাথে হয়ে যখন এই বাইকটা বাংলাদেশের বাজারে এনেছিল, আসার বেশ কয়েকদিন এই বাইকটা বেশ ভালো রাজত্ব করেছে তরুণ প্রজন্মের হৃদয়। শক্তপোক্ত বডি, ডিস্ক ব্রেক আর বাইকটার ওয়েট এটাই ছিল এই বাইকটার আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু। লাল কালারের হাঙ্ক বাইক নিয়ে লেডিস স্কুলের সামনে ডিউটি করতে দেখা গেছে প্রচুর তরুণকে সেই সময়ে। যদিও হিরো এবং হোন্ডা আলাদা হয়ে যাবার পরে হাংকের সেই জনপ্রিয়তা না থাকলেও বাইকটা এখনো বিচরণ করছে বাংলাদেশের বাজারে।
####সংক্ষিপ্ত বিবরণ
Hero তাদের এই Hunk 150 বাইকটিতে ব্যাবহার করেছে 149.2cc ইঞ্জিন, যেটি Air cooled, 4 Stroke 2 Valve Single cylinder OHC। বাইকটি সর্বোচ্চ শক্তি 15.6 Bhp @ 8500 rpm এবং সর্বোচ্চ টর্ক 13.50 Nm @ 7000 rpm উৎপন্ন করতে সক্ষম। বাইকটি সর্বোচ্চ প্রায় 107 Kmph গতিতে চলতে সক্ষম। Hunk 150 বাইকটি গড় মাইলেজ প্রায় 45 Kmpl।
####Hero Hunk 150R ABS Tk.191,000 ####Hero Hunk 150R DD Tk.180,500
#####আমরা এই জায়গায় সার্বজনীন কিছু বাইক নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি আপনার মনেও যদি এরকম কোন বাইক দাগ কেটে থাকে যে বাইকটা এক যুগ আগে বাংলাদেশের বাজারে আসার পরেও এখন পর্যন্ত টিকে আছে তাহলে কমেন্টস করে জানাতে পারেন আমাদেরকে।