অয়েল ফিল্টার নিয়ে কিছু কথা জেনে রাখা খুবই জরুরি কারন এটা একটা ক্ষুদ্র জিনিস হলেও বাইকের পারফরমেন্স এর উপর অনেকটাই প্রভাব ফেলে।
তো আমরা জানি ইঞ্জিন অয়েল আমাদের বাইকের ইঞ্জিন কে কত ভাবে সুরক্ষা দেয়। যেমন-
১.ইঞ্জিন এঁর সব অংশ লুব্রিকেট করা,
২.ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখা,
৩.পিস্টন রিং ক্ষয় রোধ করা,
৪.ইঞ্জিনের ভেঙ্গে যাওয়া ধাতু কণা ধরে রাখা
৫.ফ্রিকশন কমানো ইত্যাদি।
এই কাজ গুলো করার জন্য ইঞ্জিন অয়েলকে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে অয়েল ফিল্টার।
ইঞ্জিনে অয়েল ফিল্টার টা ঠিক রেস্টুরেন্ট এঁর ওয়েটার বয়দের মত কাজ করে, তারা রেস্টুরেন্ট এর প্রতি টেবিলে খাবার সাপ্লাই দেয় আর অয়েল ফিল্টার ইঞ্জিনের প্রতি অংশে অয়েল সাপ্লাই দেয় 😀
#অয়েল_ফিল্টার_কিঃ অয়েল ফিল্টার হচ্ছে এক ধরনের ছাকনি যা ইঞ্জিন অয়েল কে ক্রমাগত ছাকতে থাকে।
#ফিল্টারিং_প্রক্রিয়াঃ অয়েল ফিল্টার সাধারনত একটা ক্যান এর মত হয়।। এর ভিতরে ফিল্টারিং উপাদান থাকে। এগুলো সিন্থেটিক ফাইবার দিয়ে তৈরি। ইঞ্জিন অয়েল ইঞ্জিন ব্লক থেকে সরাসরি ফিল্টারে প্রবেশ করে । যেখানে বেস প্লেটের ঘনক্ষেত্রের গর্ত থেকে ইঞ্জিনের অয়েল পাম্প এঁর মাধ্যমে সরাসরি ফিল্টারের দিকে যায় এবং ফিল্টার মিডিয়ার মাধ্যমে অয়েল চাপ খেয়ে পুনরায় ইঞ্জিনে প্রবেশ করে।
অয়েল ফিল্টার অনেক ধরনের হতে পারে
#ফিল্টারের_ধরনঃ অয়েল ফিল্টারের আকৃতি বা ধরন অনেক ধরনের হয়ে থাকে। যেমন-
১.Mechanical
২.Cartridge and spin-on
৩.Magnetic
৪.Sedimentation
৫.Centrifugal
৬.High efficiency (HE)
Gixxer Fzs, RTR, R15 ইত্যাদি বাইকগুলোতে Mechanical অয়েল ফিল্টার থাকে যেটা কিছুদিন পর পর চেঞ্জ করতে হয়।
আবার পালসারে (ডিটিএস আই) ম্যাগ্নেটিক ফিল্টার থাকে যা সাধারনত ক্লাচ প্লেটের পাশে থাকে এবং চেঞ্জ করা লাগে না ,আবার করলেও সেইটা যথেষ্ট যুক্তিসংগত হতে হবে।
আবার Hunk, Trigger, CBZ, CBR ইত্যাদি বাইকে ফিল্টারের পরিবর্তে থাকে অয়েল স্ট্রেইনার যা প্রতি ১০ হাজার পর পর ক্লিন করা উচিত।।
#ফিল্টারের_কাজঃ একটি ভালো ফিল্টার অয়েল এঁর গুণগত মান ধরে রাখে এবং অয়েল এঁর সাথে মিশে যাওয়া ছোট ছোট ধাতব অংশ ফিল্টার চুষে নেয়। তা না হলে অয়েল দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়
দ্বিতীয়ত, জৈব ফাঙ্গাস এবং ব্যাক্টেরিয়া তৈরিতে বাধা দেয় , এইসব ইঞ্জিনের চরম ক্ষতি করে।
তৃতীয়ত, সিলিন্ডার এবং ইঞ্জিন বিয়ারিং এর বিভিন্ন ধাতব কণা চুষে নেয়।এবং পুনরায় ভালো অয়েল বিয়ারিং এ পাঠায়।
এবং ইঞ্জিনের তৈরি মাড/কাদা ও শোষণ করে নেয়।
একটা বাইকের ইঞ্জিন অয়েলের পারফর্মেন্স খারাপ করতে একটা নষ্ট ফিল্টার ই যথেষ্ট।
সুতরাং যে সব বাইক এঁর অয়েল ফিল্টার পরিবর্তনশীল সেগুলো নিয়মিত চেঞ্জ করতে হবে। মিনারেল এঁর ক্ষেত্রে ৩০০০ কিমি. এবং সিন্থেটিক এর ক্ষেত্রে ৫০০০ কিমি.র বেশি একটা ফিল্টার ব্যাবহার করা উচিৎ নয় এতে ইঞ্জিন অয়েলের পারফর্মেন্স ভালো পাবেন এবং প্রতিটা অয়েলের পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।