কোন কোম্পানির বাইক নেওয়া সুবিধে জনক হবে ?
ডিসেম্বর 18, 2022
Views
Shares
বর্তমানে প্রাতহ্যিক জীবনে বাইকের প্রয়োজনীয়তা বলে শেষ করা যাবেনা। দ্রুতগতিতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলাচল করতে বাইকের চেয়ে সেরা বাহন আর কি হতে পারে!তাহলে চলুন বাইক কেনার আগে যা জানা প্রয়োজন তা দেখে নেই ।
বাইক কেনার আগে কিছু ব্যাপার আপনার জানা প্রয়োজন। যারা নতুন বাইক কিনবেন তাদের জন্য এই সেকশনটা গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে প্রাতহ্যিক জীবনে বাইকের প্রয়োজনীয়তা বলে শেষ করা যাবেনা। দ্রুতগতিতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলাচল করতে বাইকের চেয়ে সেরা বাহন আর কি হতে পারে!
তাহলে চলুন বাইক কেনার আগে যা জানা প্রয়োজন তা দেখে নেই ।
বাইক কেনার আগে প্রথমে বাজেট নির্ধারণ করুন
বাইক কেনার আগে বাজেট নির্ধারণ করতে হবে। তবে এই কথাটা শুধুমাত্র তাদের জন্য যাদের বাজেট লিমিটেড। যাদের কাছে টাকা পয়সা কোনো ব্যাপার না তাদের জন্য এই সেকশন অগুরুত্বপূর্ণ।
তবে যাদের বাজেট লিমিটেড তারা বাজেট অনুযায়ী বাইকের খোঁজ করুন। আপনার বাজেট অল্প হলে অনেক ব্যাপার এমনিতেই বাদ পরে যাবে।
টেস্ট রাইড বা পরীক্ষামূলক রাইড দিতে হবে
যে বাইকগুলো আপনার পছন্দ হবে সেগুলো চালিয়ে পরীক্ষা করুন যে আপনার শরীরের সাথে সামঞ্জস্য হচ্ছে কিনা, চালিয়ে আরাম পাচ্ছেন কিনা ইত্যাদি।
এক্ষেত্রে পরিচিতজনের বাইক চালাতে পারেন। আর সেই বাইকগুলো যদি পরিচিতদের মধ্যে না থাকে তাহলে দোকানে যেয়ে টেস্ট করতে পারেন।
প্রায় সব বাইক কোম্পানীগুলোই এখন টেস্ট রাইডের সুযোগ দিচ্ছে। পরীক্ষামূলকভাবে না চালালে পরে পছন্দ না হলে বদলাতে তো পারবেন না!
এক্সপার্ট বাইকারদের পরামর্শ নিন
বাইক কেনার আগে অবশ্যই পরিচিত বাইকারদের পরামর্শ নিবেন। পরামর্শ নিবেন তাদের থেকে কিন্তু সিদ্ধান্ত নিবেন আপনি।
এমনও হতে পারে যার থেকে মতামত বা পরামর্শ চেয়েছেন উনার আগেই এই বাইকটি ছিলো। উনার চেয়ে ভালো পরামর্শ কে দিবে বলুন!
আবার ফেসবুকে বিভিন্ন বাইকারদের গ্রুপেও পরামর্শ চাইতে পারেন। এখন তো তথ্য যোগাড় করা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।
মাইলেজ দেখতে হবে
ডেইলি ব্যবহার এবং খরচ কম রাখতে চাইলে আপনাকে মাইলেজের দিকে নজর দিতে হবে। লম্বা দূরত্বের জন্য মাইলেজ অনেক বড় ফ্যাক্ট আসলে।
তবে হ্যাঁ, অনেকের ধারণা ভালো মাইলেজ মানেই ভালো বাইক।
তবে এই ধারণা একদমই ঠিক না। শুধু মাইলেজ দেখলেই হবেনা, ইঞ্জিনের দিকেও নজর দিতে হবে।
খুচরা যন্ত্রাংশ সহজে পাবেন কিনা তা জেনে নেয়া
এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে ভাবেন যে এটা জেনে কি করবেন!
এটা আপনাকে জানতেই হবে। কারণ যন্ত্র নষ্ট হতেই পারে। সেক্ষেত্রে যদি ওই বাইকের যন্ত্রাংশ সহজে না পাওয়া যায় বা পাওয়া গেলেই অনেক দাম হয় তাহলে বিপদে পড়বেন না?
তাই কেনার আগে যন্ত্রাংশের ব্যাপারে খোঁজ নিন যেন ভবিষ্যতে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়।
অথোরাইজ বা অনুমোদিত ডিলার থেকে কিনুন
অনেকে কমদামে বাইক দেয়ার কথা বলে। পরে দেখা যায় তার কাছ থেকে ‘আফটার সেলস সার্ভিস’ পাওয়া যায়না। সেক্ষেত্রে কেনার পর বাইক নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়লে কোনো সাহায্য পাবেন না তাদের থেকে।
এজন্য যে বাইক কিনবেন সেই কোম্পানির অথোরাইজ ডিলার থেকে কিনুন। কেনার পর কোনো সমস্যায় পড়লে তাদের থেকে সাহায্য পাবেন।
পুনর্বিক্রয়মূল্য বা রিসেল ভ্যালু
যারা ঘনঘন বাইক বদল করেন এটা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যে বাইকটি কিনছেন সেটা পরে দাম কেমন হবে, কেমন দামে বিক্রয় করতে পারবেন এসব বুঝে নিবেন।
যে বাইকগুলো অনেকদিন পর্যন্ত ভালো দামে বিক্রয় করতে পারবেন সেগুলো কিনুন। কথাটা তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা বারবার বাইক বদলাতে চান
মোটামুটি এই ব্যাপারগুলো মাথায় রাখবেন।