টায়ারের যত্নে যে কাজগুলো করতেই হবে
সেপ্টেম্বর 25, 2023
Views
Shares
আপনার বাইকের মডেল ও আপনার রাইডীং এর ধরন অনুজায়ি বাইকের জন্য টায়ার নির্বাচন করুন। নির্বাচনের পরে টায়ারের যত্নে আর কি কি করা যেতে পারে
বাজারে বিভিন্ন ধরনের বা সাইজের টায়ার পাওয়া যায়। টায়ারের গায়ে বিভিন্ন ইনফরমেশন বড় করে লেখা থাকে যেমন, কত নম্বর টায়ার, সাইজ, লোড ইন্ডেক্স, প্রস্তুতকারকের নাম, কোন দেশে প্রস্তুত করা হয়েছে। টায়ার কেনার সময় এই ইনফরমেশন গুলো দেখে নেয়াটা জরুরি কারন, ভুল টায়ারের জন্য বাইক থেকে সঠিক পারফরমেন্স পাওয়া সম্ভব নয়।
যেহেতু টায়ার বাইকের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ তাই বাইক যেন নিরবচ্ছিন্নভাবে সার্ভিস দেয় সেজন্য টায়ারের প্রতি যত্নবান হওয়া প্রয়োজন, নাহলে নস্ট টায়ার অনাকাংখিত দুরঘটনার কারন হতে পারে।
জয়েন করুন ৫০ হাজারের বেশি বাইকারের গ্রুপ কিউরিয়াস বাইকার
টায়ারের যত্নে কিছু নিয়ম মেনে চললে টায়ার দীর্ঘদিন ব্যবহার করা সম্ভব হয়। আপনার সুবিধার্থে এরকমই কিছু টিপস নীচে উল্লেখ করা হলো –
১. টায়ার প্রেসার ঠিক আছে কিনা লক্ষ্য রাখুনঃ
বর্তমানে দুই ধরনের টায়ার পাওয়া যায় বাজারে এর মধ্যে একটিতে টিউব থাকে এবং অন্যটিতে থাকেনা। বাইকের ক্ষেত্রে টিউবলেস টায়ারই বাংলাদেশে বেশী চলে। টায়রে প্রেশারের পরিমান ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে। পিছনে এবং সামনের টায়ারে বাতাসের প্রেসার দুই রকম হয়। টায়ার প্রেসার ঠিক না থাকলে টায়ার বেশী ক্ষয় হবে, বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হবে ।
২. টায়ার কোথাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কিনা লক্ষ্য রাখুনঃ
রাস্তায় চলতে গেলে অনেক কিছুর সংস্পর্শে আসে টায়ার। রাস্তায় ছড়ানো থাকতে পারে বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকর বস্তু যেমন- লোহার টুকরো, পেরেক, কাঁচ। এই জিনিষগুলো টায়ারের উপরিভাগে ক্ষত তৈরি করে। এছাড়াও অনেক সময় টায়ার প্রস্তুতকারকের নিকট থেকেই ত্রুটিযুক্ত হয় আসে। কিছুদিন চলার পর বুঝতে পারা যায়। এইক্ষেত্রে সময়মত সমস্যা চিহ্নিত করতে পারলে টায়ার বদলে নিতে পারবেন প্রস্তুতকারী কোম্পানি থেকে যদি তারা টায়ার কেনার সময় গ্যারান্টি দিয়ে থাকে ।
আরো পড়তে পারেন
৩. টায়ারের উপরিভাগের পুরুত্ব ঠিক আছে কিনা লক্ষ্য রাখুনঃ
টায়ারের যে অংশটুকু রাস্তার সাথে সংস্পর্শে থাকে এখানে সেই অংশটুকুকে উপরিভাগ হিসাবে বলা হচ্ছে। ইংরেজীতে বলা হয় “ট্রিড”। যেহেতু চাকা সর্বদা ঘূর্ণায়মান থাকে তাই রাস্তার সাথে ক্রমাগত ঘর্ষণের কারনে এটি ক্ষয় হতে থাকে এবং কোন এক পর্যায়ে টায়ার ফেটে গিয়ে মধ্যপথে বাইক বিকল হয়ে যেতে পারে।
৪. চাকার এলাইনমেন্ট ঠিক রাখুনঃ
বাইকের সাথে চাকা যুক্ত করার সময় চেসিসের সাথে চাকার এঙ্গেল ঠিক আছে কিনা খেয়াল রাখতে হয়। এই এঙ্গেল বা এলাইন্মেন্ট ঠিক না থাকলে টায়ারের যেকোন একটি পাশ বেশী ক্ষয় হতে থাকবে এবং টায়ার দ্রুত নস্ট হবে।
আরো পড়তে পারেন
৫. স্পীড ব্রেকারে সাবধানে পার হতে হবেঃ
সড়কে যানবাহনের গতি কমানোর জন্য স্পিড ব্রেকার স্থাপন করা হয় এবং শহরের মধ্যেই তা বেশী দেখা যায়। দ্রুতগতিতে যখন কোন বাইক রাইডার ও পিলিওন এর ওজন নিয়ে পার হয় তখন টায়ার ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই স্পিড ব্রেকার সবসময় সাবধানে পার হওয়া উচিত।
সময়ের সাথে প্রযুক্তিগত উন্নতি সাধন হওয়ার কারনে এখন সবকিছুই ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। তাই টায়ার কেনার আগে যাচাই করে নিতে পারেন ঘরে বসেই অনলাইনে। আপনার বাইকের মডেল ও আপনার রাইডীং এর ধরন অনুজায়ি বাইকের জন্য টায়ার নির্বাচন করুন ।
ভিডিও অংকের হিসাবে খরচ কম কিসে, মিনারেল নাকি সিনথেটিক ?