ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পুনরায় বাড়তে পারে মোটরসাইকেল দাম

ফেব্রুয়ারি 05, 2024

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পুনরায় বাড়তে পারে মোটরসাইকেল দাম
যেহেতু সহসাই ডলার রেট এবং জ্বালানি সংকট কমার সম্ভাবনা কম তাই সমসাময়িক মূল্য বিবেচনা করেই আমাদের হিসাব করে বের করতে হবে কোন বাইক আমাদেরকে ভ্যালু ফর মানি বেনিফিট দিবে?

অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারনে সারা বিশ্বের সকল ইন্ডাস্ট্রি এখন কঠিন সময় পার করছে।কারন জ্বালানি তেলের সংকট ও বাড়তি ডলার রেট সরাসরি প্রভাব ফেলছে উৎপাদনে।

ইলেক্ট্রনিক্স আইটেম থেকে শুরু করে মোবাইল,গাড়ি ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান সহ সবার প্রোডাকশনের গতি কমে গেছে।

জয়েন করুন ৬০ হাজারের বেশি বাইকারের গ্রুপ কিউরিয়াস বাইকার

চাহিদা আর যোগানের সামঞ্জস্য নেই যার কারনে উৎপাদক, ক্রেতা, বিক্রেতা সহ সবাইকেই বেগ পেতে হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন চলতি হিসেবে রেকর্ড ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কেননা বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রা যত আয় করছে, তার চেয়ে ব্যয় হচ্ছে অনেক বেশি। কেননা কমেছে রেমিট্যান্স ও বেড়েছে আমদানি ব্যয়। ফলে ডলারে টান পড়েছে। আর এতেই কমছে টাকার মান।

আমাদের দেশের মোটরসাইকেল ইন্ডাস্ট্রিও একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। মূলত আমাদের দেশের মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডগুলো বাজারজাত করা হয় ডিস্ট্রিবিউশন প্রসেসের মাধ্যমে।

কেউ আনে CBU অথবা কেউ আনে CKD কন্ডিশনের বাইক৷উভয় এর ক্ষেত্রেই ডলার এবং কাঁচা মালের উপর ভরসা করতে হয়। সাথে উচ্চ ট্যাক্সের বোঝা তো আছেই। এর সাথে যোগ হয়েছে বাড়তি পরিবহন ব্যয়।

ডলার রেট বাড়ার কারনে দেশের বাজারে এভেইলেবল সকল মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড তাদের বাইকের মূল্য বৃদ্ধি করেছে, আসলে নিরুপায় হয়েই মুল্য বৃদ্ধি করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। কারন আমদানি ব্যয়, পরিবহন ব্যয়, কাচামাল সংগ্রহ এবং উৎপাদন সহ ভোক্তা পর্যায়ে পন্য সরবরাহের প্রতিটি ধাপে খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।

আরো পড়তে পারেন

এত সব কিছু মাথায় নিয়ে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে পুনরায় মোটরসাইকেল দাম আবার বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এর পেছনের কারন গুলা হল

১। বিশ্ববাজারে ডলারের দাম বৃদ্ধি ও ডলার মূল্যের অস্থিতিশীল অবস্থার কারণে। ২। LC সমস্যার কারণে। ৩। ব্যাংক সুদের হার বেড়েছে। ৪। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে Raw Materials ও শিপিং চার্জ। ৫। শিপমেন্ট খরচ বাড়ার কারণে ইম্পোর্ট খরচ বেড়েছে। ৬। গাড়ির দামও ইতিমধ্যে বেড়েছে, আগে ১৮ থেকে ২০ লাখের গাড়ি এখন দাম বেড়ে ২৫ থেকে ২৬ লাখ টাকা হয়েছে।

যেহেতু সহসাই ডলার রেট এবং জ্বালানি সংকট কমার সম্ভাবনা কম তাই সমসাময়িক মূল্য বিবেচনা করেই আমাদের হিসাব করে বের করতে হবে কোন বাইক আমাদেরকে ভ্যালু ফর মানি বেনিফিট দিবে?

বাড়তি ডলার রেট আর তেল রপ্তানিকারক দেশে যুদ্ধ এই দুইটা সমস্যা মিলে বর্তমান পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে ফুয়েল এর দাম সামনে বাড়তে পারে, এটা একেবারেই স্পস্ট। ইতিমধ্যে আমরা দেখছি বিভিন্ন পাম্পে মাথাপিছু নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি তেল বিক্রি করছে না।

তাই এরকম সংকট মোকাবিলায় ফুয়েল এফিসিয়েন্ট বাইক কেনাটাই এখন বুদ্ধিমানের কাজ হবে। অর্থাৎ যেসব বাইক মাইলেজ বেশি দেয় সেসব বাইক কিনলে বর্তমান ও ভবিষ্যতে আমরা লাভবান হবো।

আরো পড়তে পারেন

যেহেতু মোটরসাইকেল আমাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করে এবং সময় ও খরচ দুটোই বাচানোর উদ্দেশ্যে অনেকেই মোটরসাইকেল ব্যাবহারে বেশি আগ্রহী তাই লেটেস্ট FI টেকনোলজি, ABS, প্রাইস টু পারফরম্যান্স এবং রিসেল ভ্যালুর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রেখে বাইক কেনাই সঠিক সিদ্ধান্ত। উপরের বিষয়গুলোতে প্রাধান্য দিয়ে মোটরবাইক কিনতে গেলে দেখা যায় ইয়ামাহা ব্রান্ডের বাইকগুলো এখন ভ্যালু ফর মানি হিসেবে টপ লিস্টে চলে আসে।

তাছাড়া ফুয়েল এফিসিয়েন্সি, বেটার সার্ভিস, কম্ফোর্ট, লেটেস্ট সেফটি ফিচারের পাশাপাশি ইমার্জেন্সি লিকুইড ক্যাশ দরকার হলে সবচেয়ে বেশি রিসেল ভ্যালু ইয়ামাহার বাইক থেকেই পাওয়া যায়।

ডিউরেবিলিটির দিক থেকেও ইয়ামাহার বাইকগুলো বহু বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।

ইতিমধ্যেই সুজুকি মোটরসাইকেলের মূল্য বেড়েছে যা ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকেই কার্যকর হয়েছে এবং অন্যান্য কোম্পানিগুলোও দাম বাড়াতে পারে। ইয়ামাহা মোটরসাইকেল - এসিআই মটর্স ও তাদের মুল্য বৃদ্ধি করেছে। তবে কাস্টমারের কথা চিন্তা করে তারা তাদের ক্যাশব্যাক অফার চালু রেখেছে

সুতরাং যারা বাইক কেনার চিন্তা করছেন যতদ্রুত সম্ভব কিনে ফেলা উচিত এবং ১৫ ফেব্রুয়ারির আগেই কেনা উচিত।

আরো পড়তে পারেন