Curious Biker
বাইকিং টিপসটেকনিক্যাল বিষয়বাইকের দামবাইক ব্র্যান্ডবাইকিং ভিডিওমোটরবাইক যন্ত্রাংশভ্রমণ গাইড
Curious Biker

কিউরিয়াস বাইকার বাংলাদেশের মোটরসাইকেল প্রেমীদের জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। এখানে রিভিউ, খবর, ভিডিও কনটেন্ট এবং মোটরসাইকেল সম্পর্কিত নানা তথ্য শেয়ার করা হয়।

+880 1674884352

Quick Links

  • বাইকিং টিপস
  • টেকনিক্যাল বিষয়
  • বাইকের দাম
  • বাইক ব্র্যান্ড
  • বাইকিং ভিডিও
  • মোটরবাইক যন্ত্রাংশ
  • ভ্রমণ গাইড

Support

  • FAQs
  • Privacy Policy
  • Help

Social Media

  • Facebook
  • Youtube
  • Tiktok
  • Instagram
© 2025 curiousbike. All Rights Reserved. Developed and maintained by Graphland

বাইক নিয়ে দীর্ঘ যাত্রার ১৩ মন্ত্র

অক্টোবর 09, 2022
1287 ভিউ
2 শেয়ার
Post thumbnail
বাইক নিয়ে লং রাইড পছন্দ করেন এবং সময় সুযোগ পেলেই প্রিয় মোটরবাইক নিয়ে দীর্ঘ ভ্রমনে বেড়িয়ে পড়েন এমন বাইকারের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অনেকে অভিজ্ঞ রাইডারদের লং টুরের ভিডিও দেখে বা গল্প শুনেও বাইক নিয়ে লম্বা ভ্রমনে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তবে হাইওয়ে এবং পাহাড়ি এডভেঞ্চার রাইডে যাওয়ার আগে কিছু বিষয়ে খুব বেশি সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। আজ সেই বিষয় গুলো নিয়েই আলোচনা করবো, অবশ্যই উপকৃত হবেন।

বাইক নিয়ে লং রাইড পছন্দ করেন এবং সময় সুযোগ পেলেই প্রিয় মোটরবাইক নিয়ে দীর্ঘ ভ্রমনে বেড়িয়ে পড়েন এমন বাইকারের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অনেকে অভিজ্ঞ রাইডারদের লং টুরের ভিডিও দেখে বা গল্প শুনেও বাইক নিয়ে লম্বা ভ্রমনে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তবে হাইওয়ে এবং পাহাড়ি এডভেঞ্চার রাইডে যাওয়ার আগে কিছু বিষয়ে খুব বেশি সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। আজ সেই বিষয় গুলো নিয়েই আলোচনা করবো, অবশ্যই উপকৃত হবেন।

১। প্রথমেই নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে। বাইক রাইডের ক্ষেত্রে মাথার সুরক্ষা সবচেয়ে বেশি জরুরি তাই ভালো মান এবং ব্রান্ডের সার্টিফাইড হেলমেট ব্যবহার করুন। যেই হেলমেট টি কিনবেন তাতে যেন অবশ্যই শার্প রেটিং থাকে। অথবা নুন্যতম ডট বা ইসিই সার্টিফিকেশন থাকতেই হবে৷ হেলমেট লাইট ওয়েট এবং ভালো ওয়েল ব্যালেন্সড হলে দীর্ঘযাত্রায়ও মাথায় অস্বস্তি লাগবে না।

২। সূর্যের আলো যতই প্রখর হোক, হাইওয়েতে সবসময় হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন। এতে করে আপনার উপস্থিতি হাইওয়েতে অনেক দূর থেকে দেখা যাবে। একই কারণে কালো কাপড় পরিহার করে যথাসম্ভব উজ্জ্বল যেমন হলুদ বা টিয়া কালার এর উইন্ডব্রেকার পড়ুন। এতে আপনার রোড প্রেজেন্স অনেক বেড়ে যাবে।

৩। লং রাইডে পিলিয়ন না নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ তবুও পিলয়িন নেন তাকেও সার্টিফাইড হেলমেট পরিয়ে নিন৷ আর পিলিয়ন যদি ফিমেল হয়, তাহলে তারও বাইকারের মত সেফটি পোশাক পড়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য রাইডারের মত দুই পা দুই দিকে দিয়ে বসাবেন। এতে ব্যালান্সিং নষ্ট হবে না।

৪। গ্লাভস, এলবো গার্ড, নী গার্ড অবশ্যই ব্যাবহার করুন। ভালো সেফটি গার্ডস শুধু আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে না, পড়ে গেলে আঘাত থেকেও বাচাবে।

৫। হাইওয়েতে বাইক চালানোর গ্রামার আলাদা তাই অভিজ্ঞ রাইডারদের নিয়ে এটা আগে আয়ত্ত করতে শিখুন। তাছাড়া বড় রাস্তায় বাইক চালানো সহজ মনে হলেও মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতির ভিতর দিয়ে যেতে হবে, যেটা কাটাতে হলে আপনাকে যথেষ্ঠ দক্ষ হতে হবে। বাইক চালানো শিখার পরে শহরে কিংবা ছোট রাস্তায় অন্তত ৫০০০-৭০০০ কিমি চালানোর অভিজ্ঞতা থাকলে হাইওয়েতে লং জার্নির জন্য আসতে পারেন। একা লং রাইডে না গিয়ে এক্সপার্ট কাউকে সাথে নিয়ে যেতে পারেন৷

৬। বৃষ্টির সিজনে রেইনকোট অবশ্যই রাখবেন। বাজারে যে গ্লাভস পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই ওয়াটারপ্রুফ হয় না। এজন্য ফার্মাসি থেকে সার্জারি গ্লাভস কিনতে পারেন। দাম খুবই কম। সার্জারির গ্লাভসের উপর মেইন গ্লাভস পড়লে হাতে পানি ঢুকবে না।

৭। হাইওয়েতে রাতের বেলায় সাদা আলোর LED বাতির থেকে হ্যালোজেন অথবা হলুদ বাতি বেশী কার্যকর। এতে রাস্তার কন্ডিশন ভালো বুঝা যায়। আমাদের চোখে হলুদ আলো সবচেয়ে বেশী অনুভূতির সৃষ্টি করে। আপনার বাইকে সাদা আলোর ফগ লাইট থাকলে তার উপর হলুদ ফিল্ম লাগিয়ে আলো হলদেটে করে নিতে পারেন৷ তাহলে হ্যালোজেনের একটা ফিলিংস পাবেন।

৮। রাস্তায় হঠাৎ বৃষ্টি হওয়া শুরু হলে বাইক রাস্তার পাশে থামান। এসময় রাস্তার বালু-মাটি পানির সাথে মিশে খুবই পিচ্ছিল থাকে। ৫-৭ মিনিট বৃষ্টি হওয়ার পর রাস্তার মাটি ধুয়ে যাবে। আবার বাইক স্টার্ট দিন। এর মাঝে আপনার রেইনকোট পড়ে নিন। চাকার হাওয়া কমিয়ে নিন।

৯। যতই এক্সপার্ট হোন না কেন, হাইওয়েতে রাতের বেলা বাইক চালানো পরিহার করুন। বৃষ্টির রাতে একেবারেই না। কারন রাতে রাস্তা শুকনো না ভেজা তা বোঝা কঠিন হয়ে যায়।

১০। একজন ডিসেন্ট এবং দক্ষ বাইকার সবসময় ইনডিকেটর ব্যবহার করেন। লেন পরিবর্তনের জন্য ইনডিকেটর ব্যবহার করুন। কাউকে সাইড দিতে চাইলে বাম পাশের ইনডিকেটর জ্বালান, সাইড না দিতে চাইলে কিংবা নিজে ওভারটেক করতে চাইলে ডান পাশের ইনডিকেটর জ্বালান। বাইক থামাতে চাইলে বাম পাশের ইনডিকেটর জ্বালিয়ে আস্তে আস্তে ব্রেক করে থামান।

১১। তিন চাকার যানবাহনের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন। এদের সামনের চাকা বডি দিয়ে ঢাকা থাকে বলে মুভমেন্ট বোঝা যায় না।

১২। দুরের জার্নিতে অবশ্যই বেশি বেশি পানি পান করুন সাথে গ্লুকোজ বা স্যালাইন মিশিয়ে নিতে পারেন। খেজুর নিতে পারেন পথে খাবার জন্য। এতে ইন্সট্যান্ট এনার্জি পাবেন।

১৩। ইমার্জেন্সি ব্রেকিং এর ক্ষেত্রে কখনই ক্লাচ চাপবেন না। ভেজা রাস্তায় দুই ব্রেকের সাথে ইঞ্জিন ব্রেক এপ্লাই করুন। স্পিড নিয়ন্ত্রণে রাখুন ।

আপনার রাইডিং হোক নিরাপদ ও আনন্দময়।

Share Post on:
See All Posts

সোশ্যাল মিডিয়া

প্রাসঙ্গিক লেখা

Yamaha FZ-S Fi Hybrid: বাংলাদেশের প্রথম 150cc হাইব্রিড বাইক?
জুন 16, 2025
ঈদ উপলক্ষে কোন ব্র্যান্ড দিচ্ছে সবচেয়ে বড় ডিসকাউন্ট? জানুন বিস্তারিত
মে 10, 2025
বাইকের জন্য ফুয়েল এডেটিভ: কি, কেন এবং কখন ব্যবহার করবেন?
এপ্রিল 29, 2025
Chain Vs Belt Vs Shaft Drive Motorcycle Final Drive Systems Explained With Their Characteristics
এপ্রিল 21, 2025

সাম্প্রতিক লেখা

Yamaha FZ-S Fi Hybrid: বাংলাদেশের প্রথম 150cc হাইব্রিড বাইক?
জুন 16, 2025
ঈদ উপলক্ষে কোন ব্র্যান্ড দিচ্ছে সবচেয়ে বড় ডিসকাউন্ট? জানুন বিস্তারিত
মে 10, 2025
বাইকের জন্য ফুয়েল এডেটিভ: কি, কেন এবং কখন ব্যবহার করবেন?
এপ্রিল 29, 2025

Related Posts

 Yamaha FZ25 Vs Bajaj Dominar 250: Features, specifications and price comparison

Yamaha FZ25 Vs Bajaj Dominar 250: Features, specifications and price comparison

এপ্রিল 04, 2025
Yamaha FZ 25, Price, Review, Feature

Yamaha FZ 25, Price, Review, Feature

এপ্রিল 01, 2025
হ্যান্ডেল কাঁপে বা বাইক কাঁপে – এর পেছনের কারণ কী?

হ্যান্ডেল কাঁপে বা বাইক কাঁপে – এর পেছনের কারণ কী?

মার্চ 22, 2025
চেইন লুজ বা চেইন স্লিপ – কিভাবে বুঝবেন এবং সমাধান

চেইন লুজ বা চেইন স্লিপ – কিভাবে বুঝবেন এবং সমাধান

মার্চ 20, 2025