Bajaj Freedom 125 CNG বাইকের মাইলেজ কি সত্যি 330 কিমি?

জুলাই 08, 2024

Bajaj Freedom 125 CNG বাইকের মাইলেজ কি সত্যি 330 কিমি?
সিএনজি বাইকের তিনটি ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ করেছে বাজাজ। বিশ্বের প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাস চালিত মোটরসাইকেল ফ্রিডম 125। দাম শুরু 95,000 টাকা থেকে। একাধিক রিপোর্টে, বাইকের মাইলেজ 330 কিলোমিটার দাবি করা হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে আদৌ এত মাইলেজ পাওয়া যাবে? এই নিয়ে কৌতূহলে পড়েছেন অনেকে।

জয়েন করুন 72 হাজারের বেশি বাইকারের গ্রুপ কিউরিয়াস বাইকার

Bajaj Freedom 125 CNG বাইকের মাইলেজ

প্রথমেই জানিয়ে রাখি, এতে দু’ধরনের জ্বালানি পাবেন। সিএনজির পাশাপাশি পেট্রল ফুয়েল ট্যাঙ্ক। বাইকের সিটের নীচে রয়েছে 2 লিটার সিএনজি সিলিন্ডার। আর ঠিক তার সামনেই রয়েছে 2 লিটার পেট্রল ফুয়েল ট্যাঙ্ক। কোম্পানির দাবি অনুযায়ী, প্রতি কেজি সিএনজিতে 102 কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যাবে। অর্থাৎ 2 কেজি সিএনজিতে 204 কিলোমিটার মাইলেজ।

আরো পড়তে পারেন

অন্যদিকে পেট্রল ট্যাঙ্ক যে তেল ভরবেন তা থেকে প্রতি কিমি যদি 60 কিলোমিটার মাইলেজও পাওয়া যায়, তাহলে 2 লিটার ক্যাপাসিটিতে 120 কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যাবে। অর্থাৎ সিএনজি এবং পেট্রল মিলিয়ে 324 কিলোমিটার মাইলেজ মিলবে বলে দাবি করেছে কোম্পানি। বাস্তব পরিস্থিতিতে এই মাইলেজ কমবেশি হতে পারে। তবে মাইলেজের দিক দিয়ে যে বাকি মোটরসাইকেলকে পিছনে ফেলবে বাজাজ ফ্রিডম 125 তা বলাই যায়।

Bajaj Freedom 125 CNG বাইকের সেফটি কেমন?

সিটের নীচে সিলিন্ডার থাকায় সেফটি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এক্ষেত্রে কোম্পানির দাবি, তারা 11টি সেফটি টেস্টের পরই বাইকটি বাজারে লঞ্চ করেছে। গাড়ির মতো এই মোটরসাইকেলেরও ক্র্যাশ টেস্ট করা হয়েছে। সেই টেস্টের সময় সিএনজি সিলিন্ডার কোনও দুর্ঘটনা তৈরি হতে পারে কিনা তা দেখার জন্য।

সিএনজি সিলিন্ডার এবং ফুয়েল ট্যাঙ্ক থাকায় নিশ্চয়ই ভালো ভারী হবে বাইকটি? কোম্পানির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফ্রিডম 125-এর কার্ব ওয়েট 149 কেজি। 170 মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এবং 785 মিলিমিটার চওড়া সিট রয়েছে বাইকে। সিটের উচ্চতা 825 মিলিমিটার।

আরো পড়তে পারেন

এতদিন সিএনজি গাড়ি দেখে এসেছেন রাস্তায়, এবার সিএনজি বাইকও চলবে পাল্লা দিয়ে। বর্তমানে পেট্রলের তুলনায় বেশ কম দাম সিএনজি গ্যাসের। তাই জ্বালানি খরচ কিছুটা হলেও কমতে চলেছে চালকদের।

Bajaj Freedom 125 CNG ফিচার্স ও দাম

ফিচার্স রয়েছে ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোল, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, LED লাইটিং, উন্নত সাসপেনশন ইত্যাদি। লুক এবং ফিচারের পাশাপাশি বাইকের দামও রাখা হয়েছে প্রতিযোগিতামূলক। বেস মডেল 95,000 টাকা এবং টপ মডেল 1.10 লাখ টাকা ইন্ডিয়াতে। বাংলাদেশে কবে নাগাদ আসবে তা এখনো জানা জায়নি ।

তথ্য সুত্রেঃ eisamay.com