আমি টিটু তালুকদার, বর্তমানে আমি ঝালকাঠি থাকি। আমার বয়স ৪৩+।
এখন আমি চালাচ্ছি HONDA CBR 150R REPSOL VERSION. যেটা ইতিমধ্যে চলেছে প্রায় ৯০০০ কিমি। আজ আমি এই বাইকটির একটি রিভিউ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমার জীবনের প্রথম বাইক কিনি HONDA H100S CDI. তাও ১৯৯০ সালে, এটি আমাদের ঘরে প্রথম বাইক।
বাইক ভালোভাসি কারণ বাইক এমন একটা বাহন, যার মাধ্যমে টাকা ও সময়, দুটোই সাশ্রয় হয়। সাথে বাড়তি পাওনা হিসাবে পাওয়া যায় স্টাইল। যখন খুশি যেখানে যাওয়া যায়। এটা কেবল বাইক দিয়েই সম্ভব। সুতরাং বাইককে না ভালোবেসে কি পারা যায়…?
জীবনে প্রথম যখন বাইক কিনি তার ফিলিংস ভাষায় প্রকাশ করার মত না। ১৯৯০ সালে HONDA H100S CDI. এটা কেনার পরে যে অনুভূতি হয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। যদিও বাবার টাকায় কেনা।
এখন আমি চালাচ্ছি HONDA CBR 150R REPSOL VERSION. যেটা ইতিমধ্যে চলেছে প্রায় ৯০০০ কিমি। বর্তমান বাইকটি বেছে নেবার কারন হচ্ছে আমি মনে করি স্টাইলের দিক দিয়ে বাংলাদেশের সেরা হোন্ডা রেপসল। যখনই রাইড করি, লোকজন তাকিয়ে দেখে। তখন নিজেকে খুব গর্বিত মনে হয়।

বাইকটি আমি কিনেছিলাম ঢাকা থেকে। তখন এর দাম পড়েছিল ৪৫২০০০/- টাকা ( রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া )
বাইকটি প্রথমবার চালানোর অনুভুতি ছিল অন্যরকম, তখন নিজেকে স্বার্থক মনে হয়েছিলো। কারন, আমার স্বপ্নের বাইক আমি নিজের টাকা দিয়ে কিনেছি। এ এক অন্যরকম অনুভূতি। যদিও নিজের টাকায় এর আগেও বাইক কিনেছি। তখন এতো ফিলিং ছিলোনা। আর এটা…? স্বপ্নের বাইক বলে কথা।
এর আউটলুক অসাধারণ। ব্রেকিং সিস্টেম প্রসংশনীয়। আর কি বলবো, সবই ভালো।
বাইকটির ২০০০ কিমি এর আগে মাইলেজ ছিলো ৩৭/৩৮ KMPL. আর ২০০০ কিমি এর পরে মাইলেজ মানে বর্তমানে ৪১ KMPL.
বাইকের যত্ন ও মেইনটেন্যান্স বিষয়ে বলতে গেলে প্রতি মাসে নুন্যতম ১ বার ওয়াশ করি, প্রতি সপ্তাহে চেইন লুব করি, সাধারণ ধুলো পরলে পরিস্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলি। প্রতিদিন চাকার হাওয়া চেক করি। আর কোনো ম্যান্টেইনেন্স নাই। কারন, নতুন বাইকে তেমন ম্যান্টেইনেন্স লাগেনা।
ইঞ্জিন অয়েল হিসেবে আমি সাধারনত MOTUL 10W40 ব্যাবহার করি, যার দাম ১২০০/- টাকা।

এখন পর্যন্ত মেজর কোন পার্টস আমাকে বদলাতে হয়নি শুধুমাত্র ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেকের প্যাড বদলেছি।
বাইকের কোন মোডিফিকেশান নেই। কারন, আমি মোডিফাই পছন্দ করিনা।
বাইকটি দিয়ে আমার তোলা সর্বোচ্চ স্পীড ১৩০ KMH. ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়েতে। সেপ্টেম্বর’১৯।
কিছু ভালো দিক বলতে হলে আমি বলবো স্টাইল এর দিক থেকে আমার বাইক সেরা, অন্য স্পোর্টস বাইকের তুলনায় বসতে আরামদায়ক, তেল খরচ কম।
আর খারাপ দিক বলতে গেলে, এখন পর্যন্ত কোন মেজর খারাপ দিক পরিলক্ষিত হয় নি। তবে বাইকটির ডাবল স্ট্যান্ড সংযোজন করা উচিত ছিলো। যদিও স্পোর্টস বাইকে ডাবল স্ট্যান্ড থাকেনা। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দরকার।
বাইকটি দিয়ে লং ট্যুর ব্যাপারে বলতে গেলে সেপ্টেম্বর’১৯। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি, নেত্রকোনা বিজয়পুর, বিরিশিরি। এটা একটা অসাধারণ ট্যুর ছিলো।.

নতুন কেউ কিনতে চাইলে আমি বলবো বাইকটি সবদিক দিয়েই ভালো। কিন্তু এর স্পেয়ার পার্টসগুলো একটু সহজলভ্য ও সহজপ্রাপ্য হওয়া দরকার। আর কিছু বলার নেই।
সর্বশেষে কথা একটাই HONDA CBR 150R REPSOL VERSION IS BEST.
I LOVE YOU HONDA.
