রাইডিং এ মাস্ট হ্যাভ এক্সেসরিজ
এপ্রিল 04, 2023
Views
Shares
মোটরসাইকেল চালাতে গেলে যে কোনো রাইডারের জন্য কিছু গিয়ার এবং এক্সেসরিজ খুবই জরুরি। শুধুমাত্র নিরাপত্তার জন্য নয়, দীর্ঘ যাত্রার সময় নিরাপত্তার পাশাপাশি আরামও কিন্ত একটা বিগ কন্সার্ন। একজন রাইডার চাইলে তার চাহিদা এবং পছন্দ অনুসারে তার মোটরসাইকেলটিকে জরুরি এক্সেসরিজ ক্যারি করার জন্য চমৎকার ভাবে কাস্টমাইজ করতে পারে।
মোটরসাইকেল চালাতে গেলে যে কোনো রাইডারের জন্য কিছু গিয়ার এবং এক্সেসরিজ খুবই জরুরি। শুধুমাত্র নিরাপত্তার জন্য নয়, দীর্ঘ যাত্রার সময় নিরাপত্তার পাশাপাশি আরামও কিন্ত একটা বিগ কন্সার্ন। একজন রাইডার চাইলে তার চাহিদা এবং পছন্দ অনুসারে তার মোটরসাইকেলটিকে জরুরি এক্সেসরিজ ক্যারি করার জন্য চমৎকার ভাবে কাস্টমাইজ করতে পারে।
জয়েন করুন আমাদের ফেইসবুক গ্রুপে
আমাদের আলোচনায় আজকে আমরা এমনই কিছু গুরুত্বপূর্ণ মোটরসাইকেল আনুষাঙ্গিক নিয়ে করব যা চলার পথে আপনাকে আরেকটু বেশি স্বস্তি দেবে।
১। হেলমেট ক্যারিয়ার অথবা লক:
একটি হেলমেট যে কোনো রাইডারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেফটি গিয়ার। হেলমেট বিভিন্ন ডিজাইন এবং আকারে আসে যার মধ্য থেকে সঠিকটি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে হতে হবে স্মার্ট। সাধারত ফুল-ফেস হেলমেটই সর্বাধিক সুরক্ষা প্রদান করে।
ভিডিওঃ বাইকে কোন ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করবো এবং কেন
তবে হেলমেট বাইকে রেখে দূরে যাওয়া কঠিন কারন চুরি হবার ভয় থাকে। আবার সেটা হাতে নিয়ে ঘুরাও কস্টকর, তাই দুইটা উপায়ে আপনি হেলমেট ক্যারি করার যন্ত্রণা থেকে বাচতে পারেন। এক. পিঠে হেলমেট বহন করার জন্য স্কুল ব্যাগের মত এক ধরনের ব্যাগ পাওয়া যায় সেটা কিনে নিতে পারেন অথবা দুই. ২০০-৩০০ টাকায় হেলমেট লক কিনে নিতে পারেন যেটা দিয়ে সহজেই হেলমেট বাইকের সাথেই লক করে রাখতে পারবেন। সাইকেলের দোকান বা বাইকের এক্সেসরিজ শপে হেলমেট লক পেয়ে যাবেন৷
ভিডিওঃ সার্ভিস সেন্টারে না গিয়ে নিজেই কার্বন ক্লিন করবেন যেভাবে
২। থাই ব্যাগ :
গ্লাভস রাইডারের হাতকে ঠান্ডা, বাতাস এবং রোদ থেকে রক্ষা করে, হ্যান্ডেলবারে ভালো গ্রিপ দেয় আর এক্সিডেন্ট হলে হাতকে প্রোটেকশন দেয়। কিন্ত বাইক থেকে নেমে এদিক সেদিক গেলে গ্লাভস রেখে যাবেন কোথায়? তাছাড়া বাইকের কাগজপত্র, সানগ্লাস এসব দরকারী জিনিস সাথে রাখার জন্য ব্যাবহার করতে পারেন থাই ব্যাগ। এই ব্যাগগুলো উরুতে বাধার ব্যাবস্থা থাকে যা রাইডিং টাইমে বেশ কাজে দেয়।
ভিডিওঃ ওয়াশের পরেও চকচকে হচ্ছে না, কারণ কি ?
৩। স্যাডেল ব্যাগ:
বাতাস, বৃষ্টি এবং ঠান্ডা থেকে বাচার জন্য অবশ্যই আপনি রাইডিং জ্যাকেট ব্যাবহার করেন। কিন্ত প্রয়োজন শেষ হলে জ্যাকেট রাখা নিয়ে বিড়ম্বনার স্বীকার হন তাই লং রাইডে যাবার আগে বাইকে ইন্সটল করে নিতে পারেন স্যাডেল ব্যাগ। এই ব্যাগগুলো বাইকের পিছনের সীটের দুইপাশে সেট করে নেয়া বেশ সহজ আর এতে আপনি পেয়ে যাবেন বেশ বড়সড় স্টোরেজ সুবিধা।
ভিডিওঃ চায়না বাইক কাঁদায় নাকি হাসায় ?
৪। বাঞ্জি কর্ড:
রাবারের তৈরি দেখতে ফিতার মত, দুই প্রান্তে হুক।
এই জিনিসটার নাম বাঞ্জি কর্ড। টুরে গেলে ছোট খাট ব্যাগ বাইকে সুন্দরভাবে বাধতে বাঞ্জি কর্ড অনেকটা আশীর্বাদের মত। ঝামেলাবিহীন ভাবে যেকোনো জিনিসকে চমৎকার ভাবে বাইকের সাথে বেধে ফেলতে ২ বা তার বেশি বাঞ্জি কর্ড সাথে রাখা যেতে৷ পারে। ১০০-১৫০ টাকার এই জিনিসটা কতটা কাজের তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
ভিডিওঃ Why fzs fi v2 dd best selling bike in Bangladesh
৫। বটল হোল্ডার:
পথে পিপাসা পেলে যেন হাতের নাগালেই পানি পেয়ে যান তাই বাইকের সাথে মাউন্ট করে নিতে পারেন বটল হোল্ডার। খুব অল্প দামের এই জিনিসটা দুরের যাত্রায় আপনাকে অনেক হেল্প করবে। বটল হোল্ডার থাকলে ১-২ বোতল পানি খুব সহজেই আপনি বহন ও পান করতে পারবেন।
৬। চার্জিং পোর্ট ও মোবাইল হোল্ডার :
দুরের যাত্রায় মোবাইলের চার্জ ফুরাতেই পারে, আর পথে মোবাইল চার্জ করার সুযোগ পাবার কোনো নিশ্চয়তা নেই, তাই একটা চার্জিং পোর্ট বাইকে ইন্সটল করে নিলে বাইক থেকেই সহজে মোবাইল ফোন টা চার্জ করে নিতে পারবেন, আর গুগল ম্যাপ দেখে পথ চলতে বার বার যেন পকেট থেকে ফোন বের করতে না হয় সেইজন্য হ্যান্ডেলবারে ইন্সটল করতে পারেন মোবাইল হোন্ডার। বাজারে খুব অল্প দামে চার্জিং পোর্ট সহ মোবাইল হোল্ডার পেয়ে যাবেন।
আরো টুকটাক অনেক ছোট ছোট গ্যাজেট আছে যা আপনার বাইক রাইডিং ও টুরে অনেক হেল্প করে, সেগুলো নিয়ে আরেকদিন কথা বলবো।
আজ এ পর্যন্তই৷ লেখাটি হেল্পফুল মনে হলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
আরো পড়তে পারেনঃ-
লেখাঃ ইকবাল আবদুল্লাহ (রাজ)