Curious Biker
মুলপাতাবাইকিং টিপসটেকনিক্যাল বিষয়বাইকের দামবাইক ব্র্যান্ডবাইকিং ভিডিওমোটরবাইক যন্ত্রাংশভ্রমণ গাইড
  • মুলপাতা
  • বাইকিং টিপস
  • টেকনিক্যাল বিষয়
  • বাইকের দাম
  • বাইক ব্র্যান্ড
  • বাইকিং ভিডিও
  • মোটরবাইক যন্ত্রাংশ
  • ভ্রমণ গাইড
  • ব্যবহারের শর্তাবলী
  • প্রাইভেসি নীতি

© 2025 কিউরিয়াসবাইকার. সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ওয়েবসাইটটি তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণ করেছে গ্রাফল্যান্ড আইটি।

Version 0.2.3

Curiousbiker Facebook Group এ যোগ দিন

বাইক প্রেমীদের সাথে আলোচনা করুন এবং নতুন তথ্য জানুন

বাইক রিভিউ

NS 160 RIDING EXPERIENCE, PROBLEM, SOLUTION

এপ্রিল 12, 2020
NS 160 RIDING EXPERIENCE, PROBLEM, SOLUTION

রিভিউটি লিখে পাঠিয়েছেন Syed Shakil ভাই।
আপনি যদি আপনার বাইকের রিভিউ এই ব্লগে প্রকাশ করতে চান তবে সরাসরি আমাদের এসএমএস করুন অথবা এই curiousbikerbd@gmail.com ইমেল এ যোগাযোগ করুন।

Design:
ডিজাইন নিয়ে বলতে গেলে আমি এক কথায় বলবো যে বাইকটার ডিজাইন দেখেই কিনেছিলাম। হেড টু টেইল সুন্দর গ্রাফিক্স রয়েছে দেখলেই আমার আলাদা অনুভূতি হয়। বাইকটার ডিজাইন এক কথায় অন্যান্য সব বাইককে পিছে ফেলে দিয়েছে।

Build Quality & Structure:
প্লাস্টিক গুলো এই সেগমেন্ট এর অন্য বাইক গুলো থেকে অনেক প্রিমিয়াম মনে হয়েছে। বাইকটা পড়ে গেলে সহজেই বডি প্লাস্টিক এর তেমন ক্ষতি হবে না। এদিকে বাইকটিতে পেরিমিটার বডি ফ্রেম দেয়া হইছে যার কারণে ভালো স্ট্যাবিলিটি পাওয়া যায়।

Engine:
বাজাজ তাদের এই বাইকটিতে ডিজিটাল সিস্টেমের এর ইঞ্জিন ব্যবহার করেছে এবং এত দিনে বুঝতে পেরেছি যে, বাইকটার ইঞ্জিন যথেষ্ট ভালো। কোন প্রকার খারাপ শব্দ, অতিরিক্ত গরম হওয়া এবং ভাইব্রেশন কোন কিছুই পাইনি এখনো। বাইকটা চালিয়ে আমি অনেক স্মুথ ইঞ্জিন অনুভব করেছি। আমি দ্রুত অনেক বেশি গতি তুলতে পারি কিন্তু আমি কুল রাইডার এবং থ্রটল রেসপন্স অনেক ভালো (At Perfect Idle Speed- 1350∓)। অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন যথেষ্ট ভালো লেগেছে।

Seats & Handle Bar:
রাইডার পজিশন অনেক আরামদায়ক (Not Pillion, Also Pillion Not So Bad) স্পিলিট সিট এর কারণে পিলিয়ন নিয়ে রাইড করতে মজাই লাগে। রাইডার সিটে বসে হ্যান্ডেলবারে হাত ঠিক ঠাক এ্যাডজাস্ট হয়(Rider Height From 5.6″)সিটিং পজিশন ও হ্যান্ডলবারের পজিশন আসলেই জোশ।

Controll:
কন্ট্রোল এর দিক থেকে যদি বলি তবে আমি কমপেয়ার করে বলব প্রথমেই বলবো যে, আমার একটি Fzs V2 রয়েছে এটি সেরা কন্ট্রোলিং আমার তিনটি বাইকের মধ্যে এটিই বেস্ট। তারপর Pulsar 150 রয়েছে জাস্ট গুড কন্ট্রোল। এবং NS 160 বাইকটার কন্ট্রোলিং আমাকে ডাবল ডিস্কে অন্য দুইটা বাইক এর বিবেচনায় দুই নাম্বার মানে বেটার কন্ট্রোল দিয়েছে। কিন্তু কমপেয়ার বাদে, এন এস সিঙ্গেল ডিস্ক বাদে ডাবল ডিস্ক/এবিএস এক কথায় যথেষ্ট সুন্দর ব্রেকিং দিতে পারে (এবিএস আমি চালাইনি ডাবল ডিস্ক চালিয়েই বুঝতে পেরেছি) আর আমি ইঞ্জিন ব্রেক/ক্লাচ ব্রেক সব গুলোই পারি সব গুলোই ইউজ করি।

Tyre Section:
ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে দেখতাম অনেকেই টায়ার নিয়ে খারাপ বলছে। চিকণ চাকা দেখতে হলেও রাইড করার সময় আমার কাছে টায়ারটা তেমন চিকণ মনে হয়না এবং টায়ার স্কীড করে না। অন্যদিকে আমার হাইট বেশি হওয়ায় আমি ব্যালেন্স যথেষ্ট ভালো পাই।

Digitalized System:
মজার বিষয় হচ্ছে পালসার সিরিজের এই বাইকেরও সুইচের সাথে লাইট জ্বলে এইটা জোশ। হেলোজেন হেড লাইটের আলোটা আমাকে সন্তষ্ট করতে পারেনি তাই আমি Night Eye LED লাগিয়ে নিয়েছি একটু সিস্টেম করে লাগাতে হয় তেমন কোন ব্যাপারই না এবং হয়তো সবাই জানেন Night Eye LED এর উপর আলো আর কিছুতে হয়না বলা চলে। হাই বীম এবং লো বীম দুইটাতেই আলো সুন্দরভাবে ছড়িয়ে যায় এবং সামনে সব কিছু পরিষ্কার বোঝা যায় অনেক দূর পর্যন্ত। মিটারটা এনালগ ও ডিজিটালের কম্বিনেশন এবং যা দেখতে অনেক ভালো লাগে। বাজাজের নীল রঙয়ের লোগোটা আরো বেশি সুন্দর।

Nitrox Monoshock Suspension:
সাসপেনশন ভালোভাবেই আপ ডাউন করে তবে ২০০০ কি.মি. এর পরে এবং আরামদায়ক রাইড দেয়। খারাপ রাস্তাতেও আমি অনেক ঝাকিই টের পাইনা। এক কথায় ব্রেকিং ও সাসপেনশন নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই।শুরুতে অল্প কদিন কোমর ব্যথা হয়েছিল।

Better Side:
-ডিজাইন এক কথায় বেস্ট।
-মজবুত প্লাস্টিকের উপস্থিতি।
-সুন্দর গ্রাফিক্স।
-ডিজিটাল সিস্টেম।
-শক্তিশালী ইঞ্জিন(প্রতিটা RPM এ আলাদা POWER অনুভূত হয়)।
-আরামদায়ক সিট।
-ভালো থ্রটল রেসপন্স(When Got It Stable RPM)

Bad Side:
-সামনের চাকা বেশি চিকণ দেয়া হয়েছে পিছনের সাথে মিল রাখার জন্য, এক্ষেত্রে ভালো ব্রেকিং পেতে সর্বোচ্চ টায়ার প্রেসার ৩০ (জেল ছাড়া)।
-পিছনের চাকা ১৩০ সেকশন হলে ভালো হত কিন্তু মাইলেজ কম হতে পারতো কিছুটা তবুও ভালো হত যাদের মাইলেজ নিয়ে সমস্যা নাই যেমন আমি। রেয়ার টায়ার প্রেসার ৪০ (জেল ছাড়া)।
-৫.৬” এর নিচে যারা তাদের শখ থাকলেও এই বাইকটা কিনতে উৎসাহিত করছিনা, করলেও কষ্ট হবে রাইড করতে তখন তারা NS এর আসল মজাটা পাবেনা কারন বাইকটা বেশি ভারী- খারাপ দিক এই যে, সবাই এই বাইকটা চালাতে পারবেনা।

Problem & Solution: (যেগুলো আমি ফেস করেছি এবং কমন)

  • কেনার অল্প কদিনের মধ্যেই ব্যাটারি সমস্যা হইছিল সকালে স্টার্ট নিত না সেল্ফে, মিটার ফ্ল্যাশ হয়ে যেত, ঘড়ি রিসেট হয়ে যেত। এটা কোন সমস্যাই না, এটা আমাদের ভুল যে, আমরা চার্জ দেয়া ছাড়া ব্যাটারি লাগায়ে বাইক বাসায় নিয়ে আসি আমার এই সমস্যা হলে আমি সার্ভিস সেন্টার থেকে জাস্ট একবার চার্জ করে আনছিলাম এই চার মাসে আর কোন দিন প্রব্লেম হয়নি এখন সকাল সন্ধ্যা সব সময় সেল্ফ ইউজ করি তবে শীতের দিনে সমস্যা থাকলে কিক ইউজ করতে হবে। আর এই বাইক ১৬০ সিসি ইঞ্জিন হওয়াতে কিক বেশি হার্ড যেটি ব্যবহারে ইজি হয় এবং কিক দেয়ার স্টাইল অন্য সব বাইক থেকে আলাদা মানে একদম শেষ পর্যন্ত কিক প্রেস করতে হয় শুধু প্রেস করলেই হয়না প্রেস করে ধরে রাখা লাগে।
  • কিছু দিন পরেই রেয়ার ব্রেকে ক্যাচ ক্যাচ আওয়াজ শুরু হয়, অনেক জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ জ্ঞান দেয় যে, নতুন বাইক ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু ৫০০ কি.মি. এর পরেও ঠিক হয়না কিন্তু আমি বুঝতাম যে এটি আসলেই সমস্যা। তিন বারের মাথায় সার্ভিস সেন্টারে চাপ দিলে ডিস্ক ক্যালিপার চেঞ্জ করে দেয় এবং ১০০% ওকে হয়।
  • তারপর আসি আমার সব থেকে বিরক্তিকর সমস্যা RPM ফলিং ইস্যু নিয়ে যেটা ১০০০ এ নেমে আসতো এবং কিছু সময় রাইড করলে ১৭০০/১৮০০/২০০০ হয়ে যেত।এটা নিয়ে ভুগেছি ৩ মাস। এই গ্রুপের পুরাতন ইউজার সহ কেউ পারেনি সল্যুশন দিতে মেইন সার্ভিস সেন্টারে গেছি ৩-৪ বার কিন্তু কাজ হয়নি, আলহামদুলিল্লাহ এখন RPM 1500 এর উপর যায়না যতোই হিট হোক আর আইডল স্পীড স্টার্ট করার পরপরই ১৩০০/১৩৫০∓/= থাকে যেটা ১০০% পারফেক্ট এবং এটির জন্যই প্রতিটা আর পি এম এ পাওয়ার ফিল করা যায় এবং তখনি বুঝা যায় এন এস আসলেই একটি অস্থির বাইক। এই RPM ফলিং ইস্যুতে যেন আর না পড়তে হয় আল্লাহকে তাই বলি 😊 যে ভোগান্তি হয়েছিল 😓 বলা তো যায়না ম্যাকানিক্যাল জিনিস।
  • স্পোর্টস বাইক কিন্তু স্পোর্টি সাউন্ড প্রোডাকশন করেনা, হ্যা ভাই আসলেই করেনা কেমনে করবেন বাজাজ তো এটাই ট্রায়াল দিল বলা চলে কিভাবে এত ইম্প্রুভ করবে? আর জাত তো পালসার, পালসার সব সময় এই ঝিরি ঝিরি সাউন্ডই দিয়ে আসছে মনে করি আর ১-২ বছরের আগে সাউন্ড ফেটে যাবার কথা না, আর ভালভ্ এ্যাডজাস্টমেন্ট এর মাধ্যেমে এটির সমাধান ও আছে।

সর্বশেষ এখন আমার বাইককে ৯৯.৯৯% সুস্থ করে তুলেছি তাই এখন আমি বলতে পারি যে, হ্যা NS 160 বাইকটিই একমাত্র ৫.৬” থেকে শুরু করে রাইডারদের জন্য অনেক বেশি জোশ হাইওয়ে রাইডিং এর কথা বলতে গেলে অসাধারণ। কিন্তু আমার RPM ফলিং ইস্যু যতদিন ছিল তত দিন পাওয়ার পেতাম না, মেজাজ খিটখিটে থাকতো বাইকের প্রতি NS 160 কে খারাপ ও ভাবতাম। তবে NS এর আসলেই রোগ বেশি নতুন অবস্থায় কিন্তু এই চালাতে চালাতে সব ফিক্স হলে অনেক ভালো একটা বাইক এটাই এই সেগমেন্টে।

যে যে পড়েছেন মনে হয় ক্লান্ত হয়ে গেছেন আমিও ভাই ক্লান্ত হয়ে গেছি ২ ঘন্টা যাবৎ লিখে, আরেকটি কথা যাদের RPM প্রব্লেম আছে তারা আমাকে শুধু ইনবক্স করে রাখবেন (In Details) আমি এখন উত্তর দিব না শুধু দেখব কতজন ভুগতেছেন। আরো এক মাস পরে আমি এরকম ভাবেই আপনাদের জন্য এই সল্যুশন নিয়ে আসব অথবা সবাইকে তখন ফিরতি মেসেজে জানাই দেয়া হবে সল্যুশন। তাই আমাকে আরো ১ মাস পর্যবেক্ষণের সময় দিন

-ধন্যবাদ সবাইকে।

শেয়ার করুন
সব লেখা দেখুন

সোশ্যাল মিডিয়া

প্রাসঙ্গিক লেখা

Bajaj Pulsar F250 vs Yamaha FZ-25 vs CFMOTO NK250 বাংলাদেশের রাস্তায় কোন 250cc বাইক সবচেয়ে উপযোগী?

সেপ্টেম্বর 16, 2025

৫টি সেরা কমিউটার বাইক

সেপ্টেম্বর 03, 2024

Comparison review with Suzuki Gixxer FI Disc VS Yamaha FZS FI Double Disc vs TVS apache RTR 4V FI

জুলাই 06, 2024

জলে যাবে না এক টাকাও, বাজারের সেরা ভ্যালু ফর মানি বাইকগুলো চিনে নিন

এপ্রিল 24, 2024

সাম্প্রতিক লেখা

শীতকালে কোন ইঞ্জিন অয়েল ভালো? মিনারেল নাকি সিনথেটিক – বাইকারদের জন্য সম্পূর্ণ গাইড (2025

নভেম্বর 25, 2025

হাজারো রাইডারের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ইয়ামাহা বাইক কার্নিভ্যাল ২০২৫ | Yamaha Bike Carnival Bangladesh

নভেম্বর 12, 2025

Fuel Efficiency বাড়ানোর ৭টি উপায় – বাইকের মাইলেজ বাড়ানোর টিপস

নভেম্বর 04, 2025