তরুনেরা সাধারণত ১২৫ সিসি-র বাইক পছন্দ করে না। এর প্রধান কারন স্টাইল ও পারফমেন্স। অথচ এই কনজিউমার বাইক সেগমেন্টের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। কারণ মাইলেজ এবং কম মেন্টেনেন্সের কারণে রোজ যাতায়াতের জন্য কমিউটার বাইকই ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ। তাই আর দেরি না করে ১২৫ সিসি-র বাইকের অফিসিয়াল লঞ্চ করে দিল সংস্থা।
- The effect of water on hot disc brakes
- What are the differences, advantages, disadvantages between Disc and Drum Brake?
নতুন প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে টিভিএস রাইডারের ডিজাইন করা হয়েছে। স্টাইলিং-এর উপরে বিশেষ খেয়াল রেখেছে টিভিএস। এখন কমিউটার বাইকের মধ্যে স্পোর্টি স্টাইলিশ এলিমেন্টের খোঁজ করেন ক্রেতারা। রাইডার বাইকটি এনে ক্রেতাদের সেই চাহিদা পূরণ করার ব্যাপারে আশাবাদী টিভিএস।
ডিজাইনের কথা বললে TVS Raider বাইকে ফাঙ্কি হেডলাইট, মাস্কুলার ট্যাঙ্ক, শার্প বেলি প্যান, এবং স্প্লিট স্টাইলের সিট রয়েছে। ইন্ডিকেটর বাদ দিলে বাইকের লাইটিং সেটআপের পুরোটাই এলইডি৷ টেল লাইট ও ডিআরএলগুলো খুব ইউনিক দেখতে। ১২৫ সিসি-র বাইক হলেও অত্যন্ত অ্যাগ্রেসিভ ডিজাইন রয়েছে TVS Raider-এ, যা অন্যান্য কমিউটার বাইকে সচরাচর দেখা যায় না।
TVS Raider মেকানিক্যাল স্পেসিফিকেশন
১২৪.৮ সিসি, এয়ার কুল্ড ইঞ্জিনের সঙ্গে এসেছে টিভিএস রাইডার। এর থেকে ৭,৫০০ আরপিএম গতিতে ১১.৪ বিএইচপি পাওয়ার এবং ১১.২ এনএম টর্ক পাওয়া যাবে। গিয়ারের সংখ্যা পাঁচটি! ইলেকট্রনিক-ফুয়েল ইঞ্জেকশন প্রযুক্তির দৌলতে প্রতি লিটারে ৬৭ কিলোমিটারের মাইলেজ দেবে এই বাইক। ইকো এবং পাওয়ার রাইডিং মোডের সঙ্গে এসেছে টিভিএস রাইডার, যা এই সেগমেন্টে প্রথম। ইকো মোড আরও ভাল ফুয়েল এফিসিয়েন্সি অফার করবে। অন্য দিকে, পাওয়ার মোড সোঁ সোঁ করে দ্রুত গতিতে বাইক চালানোর জন্য; ছ’সেকেন্ডের মধ্যে ০-৬০ কিমি গতি তোলা যাবে।
সাসপেনশনের কাজ সমালানোর জন্য TVS Raider-এর সামনে টেলিস্কোপিক ফোর্কস এবং পিছনে ৫-স্টেপ প্রিলোড অ্যাডজাস্টেবল মনোশক দেওয়া হয়েছে। ব্রেকিংয়ে সেটআপে রয়েছে ২৪০ মিমি ফ্রন্ট ডিস্ক ও ১৩০ মিমি রিয়র ডিক্স। বাইকটি ১৭ ইঞ্চির অ্যালয় হুইলে দৌড়বে। TVS Raider-এর সিটের উচ্চতা ৭৮০ মিমি ও গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৮০ মিমি। বাইকের ফুয়েল ট্যাঙ্কের ক্যাপাসিটি ১০ লিটার। TVS Raider-এর কার্ব ওজন ১২৩ কেজি।
৫ ইঞ্চির ফুল-কালার রিভার্স এলসিডি ইনস্ট্রুমেন্ট ডিসপ্লে টিভিএস রাইডারের অন্যতম আকর্ষণ। এতে ট্রিপ মিটার, ইন্টিগ্রেটেড স্টার্টার জেনারেটর ইন্ডিকেটর, গিয়ার শিফট ইন্ডিকেটর, ও স্পিড রেকর্ডারের মতো প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি ফুটে উঠবে। আবার নেভিগেশন ও ভয়েস-অ্যাসিস্টের জন্য টিভিএসের SmartXonnect ব্লুটুথ সিস্টেম অপশনাল হিসেবে কেনা যাবে। বাইকের পিছনের সিটের নীচে একটি ছোট স্টোরেজ কম্পার্টমেন্ট রয়েছে। যা এই সেগমেন্টে প্রথম৷ এতে স্মার্টফোন, পাওয়ার ব্যাঙ্ক, প্রভৃতি রাখা যাবে। সেফটি ফিচার হিসেবে থাকছে সাইড স্টান্ড ইঞ্জিন কাট-অফ সুইচ।
বাইক টি এখনো বাংলাদেশে লঞ্চ হয়নি। তবে সার্ক গোষ্ঠীর দেশগুলোতে, এবং লাতিন আমেরিকার বাজারেও টিভিএস রাইডার লঞ্চ করা হবে।
ভারতে টিভিএস রাইডারের ডিস্ক ভ্যারিয়েন্টের দাম রাখা হয়েছে ৮৫,৪৬৯ টাকা। কেউ যদি ডিস্কের বদলে ড্রাম ব্রেক নিতে চান, তাহলে দাম পড়বে ৭৭,৫০০ টাকা। এগুলি দিল্লির এক্স-শোরুমের দাম৷ লাল, হলুদ, কালো, এবং নীল রঙের মধ্যে বেছে নেওয়া যাবে বাইকটিকে।
সেই হিসেব করলে বাংলাদেশে এর দাম হতে পারে ১৫০০০০ এর কাছাকাছি।