আমরা যারা 90s kid, তাদের অফরোড বাইক অথবা এডভেঞ্চার বাইক নিয়ে উত্তেজনার শেষ নেই। কারন ছোটবেলায় সিনেমায় দেখতাম নায়করা হোন্ডা XL টাইপের অফরোড বাইক নিয়ে চ্যাওওওও শব্দে আকাশ থেকে ভিলেনের ঘাড়ে লাফিয়ে পড়তো।
সেই সময় অফরোড বাইকের প্রতি সবারই একটা চরম ফ্যাসিনেশন ছিলো, রাস্তায় চলা অফরোড বাইকগুলো ছিলো আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু।
কিন্তু কালের বিবর্তনে কোনো এক অজানা কারনে আস্তে আস্তে ডার্ট বাইক আমদানি কমতে থাকে, এরপর সিসি লিমিটেশন এবং টু স্ট্রোক আমদানি বন্ধের কারনে জাপানিজ অফরোড বাইকগুলো আসা প্রায় বন্ধই হয়ে যায়৷
তবে বেশ কিছু বছর যাবত দেশের বাইকিং কালচারে ভিন্ন ভিন্ন পারপাস যোগ হয়েছে, এডভেঞ্চার প্রিয় বাইকারের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য পরিমানে বেড়েছে।
তৈরি হয়েছে এডভেঞ্চার টুরিং বাইকের চাহিদা, দেশের বাইকাররা ভালো মানের এডভেঞ্চার টুরিং বাইকের অভাব বোধ করছে অনেকদিন ধরেই।
এই চাহিদার জের ধরেই দেশে বেশ কিছু ভালো ব্রান্ডের ডার্ট এবং অফরোড বাইকের আবির্ভাব ঘটেছে, যেমন
Honda XR 150L,
Honda CRF150R
Kawasaki KLX 150
Yamaha WR155 ইত্যাদি এবং সম্প্রতি দেশের বাজারে এডভেঞ্চার বাইকের দল ভারী করতে হাজির হয়েছে
Honda CB150X
প্রথম দেখায় পছন্দ হবার মত একটা চেহারা নিয়েই বাইকটা এসেছে ইন্দোনেশিয়া থেকে।
ছোট্ট করে স্পেসিফিকেশন এর দিকে তাকালে দেখা যাবে
বাইকটিতে ব্যাবহার করা হয়েছে একটি সিংগেল সিলিন্ডার ফোরস্ট্রোক ফোর ভেলব লিকুইড কুল্ড DOHC ইঞ্জিন, যা ১৫.৬ পিএস পাওয়ার এবং ১৩.৮ নিউটন মিটার টর্ক ডেলিভারি করতে সক্ষম।
ওয়েট মাল্টিপ্লেট ক্লাচের সাথে আছে ৬ স্পিড গিয়ারবক্স।
ডায়ামন্ড ফ্রেম শ্যাশি এবং Showa ব্রান্ডের ৩৭মিলিমিটার ইনভার্টেড ফর্ক ব্যাবহার করা হয়েছে বাইকটিতে।
চাকা হিসেবে থাকছে ১০০/৮০-১৭ এবং ১৩০/৭০-১৭ সাইজের এলয় রিম ও টিউবলেস টায়ার। তবে স্টক টায়ার হিসেবে বাইকের সাথে এসেছে IRC road winner টায়ার যা মুলত সিটি রাইডের জন্য উপযোগী।
তবে যারা অফরোডিং এবং সিটি রাইড একই সাথে করতে চান তাদেরকে ডুয়াল পারপাস টায়ার ইন্সটল করে নিতে হবে।
বাইকটির সীট হাইট ৮১৭ মিমি এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৮১ মিলিমিটার যার ফলে উঁচুনিচু রাস্তায় বেশ সুবিধা পাবেন এর রাইডার৷
বাইকের ওজন ১৩৯ কেজি এবং ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি ১২ লিটার৷
বাইকটির প্রস্ততকারক বিখ্যাত জাপানিজ ব্রান্ড হোন্ডা তাই বাইকের কোয়ালিটি এবং রিলায়বিলিটি নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
কিন্ত যেহেতু বাইকটি ইন্দোনেশিয়া থেকে আনঅফিসিয়ালি দেশে আসছে তাই এর ওয়ারেন্টি, সার্ভিস সাপোর্ট এবং স্পেয়ার পার্টস নিয়ে যথেষ্ট বিড়ম্বনা পোহাতে হবে এই কথা বলাই বাহুল্য।
বর্তমান বাজারে বাইকটির দাম চাওয়া হচ্ছে ৫ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত।
আন-অফিসিয়াল বাইক হিসেবে দামটাও যথেষ্ট বেশি বলেই মনে করছেন দেশের মোটরবাইক প্রেমিরা।
আমরা আশা করবো শিঘ্রই বাইকটি অফিসিয়ালি লঞ্চ করবে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড।
আজ এ পর্যন্তই। Honda CB150X নিয়ে আপনার মতামত কমেন্টে লিখে যেতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ।
লেখাঃ ইকবাল আব্দুল্লাহ রাজ
এডমিন #Curious Biker
