কথায় আছে স্বপ্ন দেখতে হয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে। হয়ত অনেকে ছুতে পারেন অনেকে পারেন না। বাইকের মালিক হবার ক্ষেত্রেও তেমন।
কে না চায়, একদম নতুন চকচকে বাইকের মালিক হতে? কিন্তু শখ ও সামর্থর দিকে তাকিয়ে পুরনো বাইকই বেছে নিতে হয়।
বাইক পুরনো বা নতুন হোক না কেন, কেনার পরে নিজের নামে নিবন্ধন করে নেওয়া প্রধান কাজ।
পুরাতন বাইকের মালিকানা পরিবর্তনের জন্য ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই BRTA তে উপস্থিত হয়ে একাধিক পেপার/ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হয়।
তো চলুন আজ আমরা জানবো পুরাতন বাইকের মালিকান পরিবর্তনের জন্য কি কি পেপার/ডকুমেন্ট BRTA তে জমা দিতে হয়
<u>মালিকানা বদলীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র</u>**<u> </u>**(**ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত মালিকানা ব্যতিত)**<u>:</u>
<u> </u><u>ক্রেতার করণীয়ঃ</u>
১। পূরণকৃত ও স্বাক্ষরিত ‘টিও’ ও ‘টিটিও’ ফরম; [এ দু’টি ফরমসহ অন্যান্য ফরম এ ওয়েবসাইটেরDOWNLOAD FORMS থেকে পাওয়া যাবে]
২। প্রয়োজনীয় ফি জমা দানের রশিদ;
৩। ক্রেতার TIN সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি (ভাড়ায় চালীত নহে এমন কার, জিপ, মাইক্রোবাস-এর ক্ষেত্রে)
৪। মূল রেজিস্ট্রেশন সনদ (উভয় কপি)/ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
৫। ছবিসহ নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে ওয়ারিশগণের হলফনামা [একাধিক ওয়ারিশ থাকলে এবং একজনের নামে মালিকানা প্রদান করা হলে অন্যান্য ওয়ারিশগণ কর্তৃক স্ট্যাম্পে আর একটি হলফনামা দিতে হবে];
৬। সংশ্লিষ্ট নমুনা স্বাক্ষর ফরমে ত্রেতার নমুনা স্বাক্ষর এবং ইংরেজীতে নাম, পিতার/স্বামীর নাম, পর্ণ ঠিকানা ও 3 কপি স্ট্যাম্প আকারের রঙ্গীন ফটোসহ ফরমের অন্যান্য সকল তথ্য প্রদান, তবে ক্রেতা কোন প্রতিষ্ঠান হলে, উপরে বর্ণিত কাগজপত্রসহ (হলফনামা ব্যতিত) অফিসিয়াল প্যাডে চিঠি।
<u>বিক্রেতার করণীয়ঃ</u>
১। ফরম ‘টিটিও’ এবং বিক্রয় রশিদে স্বাক্ষর;
২। বিক্রেতার ছবিসহ বিক্রয় হলফনামা;
৩। বিক্রেতা কোম্পানী হলে কোম্পানীর লেটার হেড প্যাডে ইন্টিমেশন, বোর্ড রেজিুলেশন ও অথরাইজেশন পত্র প্রদান;
৪। মোটরযানটি ব্যাংক অথবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট দায়বদ্ধ থাকলে দায়বদ্ধকারী প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোদ সংক্রান্ত ছাড়পত্র সংগ্রহ করে তা দাখিল করা;
ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা বদলীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। পূরণকৃত ও স্বাক্ষরিত ‘টিও’ ও ‘টিটিও’ ফরম [এ দু’টি ফরমসহ অন্যান্য ফরম এ ওয়েবসাইটেরDOWNLOAD FORMS থেকে পাওয়া যাবে];
২। কোর্ট/স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত ওয়ারিশ সংক্রান্ত সনদ;
৩। প্রয়োজনীয় ফি জমা দানের রশিদ;
৪। একাধিক ওয়ারিশ থাকলে প্রথম ওয়ারিশের TIN সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি (ভাড়ায় চালীত নহে এমন কার, জিপ, মাইক্রোবাস-এর ক্ষেত্রে)
৫। মূল রেজিস্ট্রেশন সনদ (উভয় কপি)/ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
৬। ছবিসহ নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে ওয়ারিশসূত্রে মালিকানা প্রাপ্তি সংক্রান্ত ওয়ারিশগণের হলফনামা [একাধিক ওয়ারিশ থাকলে এবং একজনের নামে মালিকানা প্রদান করা হলে সেক্ষেত্রে অন্যান্য ওয়ারিশগণ কর্তৃক সকলের ছবিসহ নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আর একটি হলফনামা];
৭। নমুনা স্বাক্ষর ফর্মে নমুনা স্বাক্ষর এবং ইংরেজীতে নাম, পিতার/স্বামীর নাম, পর্ণ ঠিকানা ও 3 কপি স্ট্যাম্প আকারের রঙ্গীন ফটোসহ ফরমের অন্যান্য তথ্য পূরণ
মালিকানা বদলির জন্য এখন পুলিশ ভেরিফিকেশনের দরকার হয়।
পুরাতন বাইক কেনার ক্ষেত্রে বাড়তি কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন বাইকটি ভালোভাবে দেখে নেওয়া, চালিয়ে পরীক্ষা করে নেওয়া ইত্যাদি। পুরাতন বাইক কেনার ক্ষেত্রে আরো কি কি সতর্কতা প্রয়োজন তা জানতে চোখ রাখুন এই ব্লগে।