বাইক রাইডের জনপ্রিয় সব স্থান

জানুয়ারি 11, 2024

বাইক রাইডের জনপ্রিয় সব স্থান
সপ্তাহের শেষ কর্ম দিবস বৃহস্পতিবার অথবা প্রথম কর্ম দিবস রবিবার ছুটি নিয়ে বের হতে চাচ্ছেন কোথাও। কিন্তু কনফিউশনে ভুগছেন কোথায় যাওয়া যায়। বাংলাদেশের সেরা পাঁচটি জায়গার তথ্য দিব আজকে আপনাদের। চটপট প্ল্যান করে ফেলুন। ঘুরে আসুন সেই জায়গা গুলো থেকে।

জয়েন করুন ৬০ হাজারের বেশি বাইকারের গ্রুপ কিউরিয়াস বাইকার

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক বাংলাদেশের গাজীপুর জেলাতে অবস্থিত। বাংলাদেশের সব থেকে বড় এবং সুন্দর পার্ক হচ্ছে এটি। এই বিশাল পার্কটি ৪৯০৯ একর ভূমি জুড়ে রয়েছে। এই পার্কে বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখির রয়েছে। যারা পশু পাখি দেখতে পছন্দ করেন তাদের দর্শনীয় স্থানের সবার উপরে থাকবে এই জায়গাটি। বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি এই পার্কে নিরাপদ ভাবে বসবাস করে থাকে। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক তৈরি করা হয়েছে থাইল্যান্ডের সাফারি পার্ক অনুসরণ করে। এই সাফারি পার্ক জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল ২০১৩ সালে। এই পার্কে বাঘ সিংহ জিরাফ কে আপনি খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে দেখতে পাবেন। এইসব হিংস্র প্রাণীদেরকে বাসে বসে আপনি খুব সহজে দেখতে পাবেন। আপনি যখন এই সাফারি পার্ক সফর করবেন তখন আপনার মনেই হবে না যে আপনি কোন পার্ক সফর করছেন। আপনার মনে হবে আপনি কোন প্রাকৃতিক জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সাফারি পার্কে আছে জলহস্তী, বাঘ, সিংহ, হাতি, সম্বর হরিণ, মায়া হরিণ, চিত্রা হরিণ, ক্যাংগারু, জেব্রা, বানর, হনুমান, ভাল্লুক, গয়াল, কুমির, গিরগিটি বিভিন্ন প্রজাতির সাপ ও বিচিত্র সব পাখি।

আরো পড়তে পারেন

টাঙ্গুয়ার হাওর

এই হাওরটি সুনামগঞ্জ জেলাতে অবস্থিত। মেঘালয় পাহাড়ের পাশে অবস্থিত এই হাওর। মেঘালয় পাহাড় থেকে ত্রিশটি ঝরনা এসে মিশেছে এই হাওরে। তবে এই হাওরটি কোন একটি হাওর নয়। ৫১ টি হাওরের সমন্বয়ে এই হাওরটি তৈরি হয়েছে। মজার ব্যাপারটি হচ্ছে এই হাওরটির দৈর্ঘ ৯৭২৭ হেক্টর। আপনি যদি খোলামেলা পরিবেশ পছন্দ করেন তাহলে এই টাঙ্গুয়ার হাওরে আপনাকে অবশ্যই যেতে হবে।

নাফাখুম ঝর্ণা

এই সুন্দর জলপ্রপাত টি বান্দরবান জেলাতে অবস্থিত। বান্দরবানের অন্যতম জলপ্রপাত নাফাখুম। এই নাফাখুম শব্দের অর্থ হচ্ছে মাছের জলপ্রপাত। এটা একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত। যেটি দেখতে প্রতিবছর অনেক মানুষ ভিড় করে। এই জলপ্রপাতকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সব থেকে বড় জলপ্রপাত বলা হয়। এছাড়াও নদীর দুপাশে সবুজে মোড়ানো উচু উচু পাহাড় রয়েছে। কোন কোন পাহাড়ের চূড়া ঢেকে থাকে মেঘের আস্তরে। নাফাখুম জলপ্রপাতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পূর্ণরুপে উপভোগ করতে হলে আপনাকে এখানে আসতে হবে শীত এবং বর্ষার মাঝামাঝি সময়ে।

সিলেট রাতারগুল জলাবন

এটি বাংলাদেশের একমাত্র মিঠা পানির জলপ্রবন। এই দর্শনীয় স্থানটি সিলেটের গোয়ান ঘাটে অবস্থিত। পুরো পৃথিবীতে মিঠাপানির জলভূমি রয়েছে ২২টি। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়াতে রয়েছে দুইটি। একটি রয়েছে শ্রীলঙ্কাতে আর একটি রয়েছে বাংলাদেশে। এই বনের আয়তন প্রায় তিন হাজার ৩২৫ দশমিক ৬১ একর। এই মিঠা পানির জলভূমি দেখতে অনেক সুন্দর। বর্ষাকালে এর প্রকৃত সৌন্দর্য অবলোকন করা যায়। নৌকাতে করে যখন আপনি এটি ঘুরবেন তখন অন্যরকম মজা অনুভব করতে পারবেন। সুন্দর এই জলভূমির তুলনা দেওয়া হয়ে থাকে আমাজন রেইন ফরেস্টের সাথে। এখানকার গাছগুলো চার থেকে সাত মাস পানির নিচে তলিয়ে থাকে।

আরো পড়তে পারেন

সাজেক ভ্যালি

সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় এবং নৈসর্গিক সুন্দর একটি জায়গা। এই সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা অবস্থিত এবং এই সাজেক ভ্যালির ক্ষেত্রফল হচ্ছে ৭০২ বর্গমাইল। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে এই ভ্যালির উচ্চতা ১৮০০ ফুট। সাজেকের চুড়াতে যখন আপনি উঠবেন তখন পাহাড়ের একটি অপরূপ দৃশ্য দেখতে পাবেন। এখানে বাঁশের ভেতর রান্না করা বিভিন্ন রকম খাবার পেয়ে যাবেন। এ খাবারের রয়েছে অন্য রকম স্বাদ। তাই সাজেক গেলে আপনিও এই খাবারের স্বাদ নিতে ভুল করেন না।